গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়

পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল

- লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

চোখের অত্যন্ত জটিল সমস্যা গ্লুকোমা। শিশুর জন্মের সময় যেমন এই রোগ হতে পারে, চে তেমনই একটু বেশি বয়সেও এমন রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

আমাদের চোখ কৃত্রিমভাবে এক ধরনের ফ্লুইড তৈরি করে যার নাম হল ‘অ্যাকুয়াস হিউমর'। দেখা গিয়েছে, অ্যাকুয়াস হিউমর সঠিকভাবে চোখের বাইরে বেরতে না পারলে চোখের অন্দরের প্রেশার বাড়তে শুরু করে। এই প্রেশার চোখের নানা রক্তবাহী নালী ও অপটিক ফাইবারের ক্ষতি করে। ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে।

কেন হয়? চোখের ট্র্যাবিকুলার মেসওয়ার্ক বা ট্র্যাবিকুলার কোষের সজ্জায় সমস্যা তৈরি হলে এমন জটিলতা দেখা দিতে পারে। গ্লুকোমার ধরন ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা এবং ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা। ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লকোমা এই সমস্যায় চোখের ভিতরের চাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আশপাশের দৃষ্টিও ক্রমশ নষ্ট হতে থাকে।

ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমার উপসর্গ এক্ষেত্রে রোগীর চোখের আশপাশের দৃষ্টি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রত্যেক ব্যক্তিরই ভিস্যুয়াল ফিল্ড থাকে। ফলে একজন ব্যক্তি কোনও একটি নির্দিষ্ট বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করার সময়েও ওই বস্তুটি ছাড়াও আশপাশের বস্তুগুলিও একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র পর্যন্ত দেখতে পান বা তাদের উপস্থিতি টের পান। ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমায় ভিস্যুয়াল ফিল্ডের সোজাসুজি থাকা বস্তুকে তাই রোগী দেখতে পান। আশপাশে থাকা কোনও বস্তুকে দেখতে পান না। বিষয়টা অনেকটা এইরকম যে, রোগীর মনে হয় তিনি পাইপ বা টিউবের মধ্যে দিয়ে কোনও একটি দিকে তাকিয়ে আছেন। সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর সমগ্র দৃষ্টিশক্তি চলে যায়।