বিকল্প শক্তির সন্ধানে: বায়ু—শক্তি

১৩-১৪ হাজার ফিট উচ্চতার লাদাখও ৩০ জুলাই পার করল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! পৃথিবী জ্বলছে। দূষণে আরও অন্ধকার হচ্ছে পৃথিবী। তাহলে? তাহলে কিছু তো একটা করতে হবে। যাতে বাঁচে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, জীবিকা ও জীবন। শুরু হল বিকল্প শক্তি ও সাধনের খোঁজে নতুন বিভাগ।

০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি সই হল। বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা মাথায় রেখে ওই চুক্তিতে স্থির হয়, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে বাড়তে না পারে, তার দিকে নজর রাখা হবে। শিল্পবিপ্লব কালের আগে পৃথিবীর তাপমাত্রার যা ছিল তার নিরিখে দুই ডিগ্রির চরমসীমা তৈরি করা হয়েছিল। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল কার্বন ফুটপ্রিন্ট এবং কার্বন নিঃসরণের উপর। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে সবুজ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ২০২২ সালের মধ্যে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ, ৬০ গিগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ এবং ১০ গিগাওয়াট জৈব বিদ্যুৎ রয়েছে। ক্ষুদ্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ নেওয়া হবে। ২০২২-২৩ সালের আর্থিক বর্ষে আমাদের দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪.৪৩% তৈরি হয়েছে বায়ু শক্তির মারফত।