যাত্রাপথের যন্ত্রণা পেরিয়ে

যাত্রাই জীবন। যে জীবনের সোজা পিঠে আত্মতৃপ্তি, | আবেগ আর অমরত্বের স্বর্গ সুখ। উল্টো পিঠে উদাসী | বাউলের বিনয়ী যাপন। বৈভবহীন বোহেমিয়ানতা। আর জারণ করা যন্ত্রণা। এটা শিল্পের অভিশাপ না, শিল্পীর নিয়তি?
সর্বস্ব সমর্পণ করেও যখন স্বীকৃতি মেলে না। অতৃপ্তির অছিলায় প্রাপ্য মূল্য ও মর্যাদায় কোপ পড়ে, তখন রাগ নয়, রক্তক্ষরণটাকে সন্তর্পণে সামলে রাখাটাই রীতি। ‘সবাইকে তো আর খুশি করা সম্ভব নয়। তাই বলে সেই সুযোগে দশ-বিশ হাজার কম দেবে, কর্মীদের আটকে রেখে দেবে, গাড়ি ছাড়তে দেবে না, এ কেমন আচরণ? এমন অভব্যতামিটা বাড়ছে।' আটপৌরে অনাড়ম্বরতায় বেহালার বাড়ির বৈঠকখানায় বসে বলছিলেন যাত্রা জগতের উত্তম-সুচিত্রা হিসেবে পরিচিত অনল-কাকলি।
সে একটা সময় ছিল। চৌধুরী বাড়ির ঠাকুর দালানে যাত্রার আসর বসলে দত্ত, দাস, চক্রবর্তী, গাঙ্গুলিদের হেঁশেলে হইচই পড়ে যেত। সেই সকাল সকাল কলকাতা থেকে রওনা হয়েছেন ওঁরা। বেলাবেলি গ্রামে এসে পৌঁছলে | আগে থেকেই ঠিক করা আছে পালেদের বাড়ি জলখাবার | খাবেন বীণা দাশগুপ্ত। মধ্যাহ্নভোজটা না হয় চৌধুরীদের বাড়িতেই সারবেন ওঁরা। অরুণ দাশগুপ্তর বিকেলের জলখাবারটা যাবে বোসবাড়ি থেকে। ‘এমন আপ্যায়নের আতিশয্য আমরাও উপভোগ করেছি। আমি কার বাড়িতে ফ্রেশ হব, কাকলি কোন বাড়ির অন্দরমহলে বিশ্রাম নেবে। আর বাকি শিল্পী, কলাকুশলীরা কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন, সেই নিয়ে গ্রামের বর্ধিষ্ণু পরিবারগুলির মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যেত।' অতীতের অনাবিল দিনগুলোয় ফিরে যান পালাকার, গীতিকার, সুরকার, নায়ক, গায়ক, প্রযোজক অনল চক্রবর্তী। পালার সংলাপ ধরার মতো অনলের কথার মধ্যেই যাত্রা জগতের শীর্ষ নায়িকা কাকলি চৌধুরীর সংযোজন, ‘এমনও হয়েছে রাতের খাবারটাও ওঁরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। সাধারণ খাবার। রুটি-তরকারি। অথচ কী আন্তরিক। মনটা ভরে যেত। যাত্রা করে কত পয়সাই বা পাওয়া যায়।
Esta historia es de la edición March 22, 2025 de Saptahik Bartaman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición March 22, 2025 de Saptahik Bartaman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar

জীবন ঘিরে যত জিজ্ঞাসা
মানুষের জীবন নানা রঙের গল্পে ভরা, যেখানে প্রতিটি সম্পর্ক, চাওয়া-পাওয়া ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আইভি চট্টোপাধ্যায়ের ‘বারো ২ আরো’ গল্প সংকলন জীবনের সেই সূক্ষ্ম বাস্তবতাকে গভীর সংবেদনশীলতায় তুলে ধরে।

প্রেতসাধনা কী? এই সাধনায় গৃহস্থের কী মঙ্গল হয় ?
প্রেতসাধকেরা বলেন, প্রেতাত্মারাই হল ভূত। এদের ভেতরও ভালো-মন্দ— দু'টি শ্রেণি আছে। ভালো প্রেত মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে মঙ্গল করে। আর দুষ্ট প্রেতাত্মারা অনিষ্টের কারণ। শ্মশান কিংবা শিবস্থল ছাড়া প্রেতসাধনা হয় না। ক্ষুধার্ত প্রেত আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। সাধকের প্রাণ থেকে মন একটু আলগা হলেই তারা সব মনকে প্রাণের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করার খেলায় মাতে। প্রাণ হল মানুষের নাভিচক্রে থাকা তেজ। এই তেজকেই বলবান করেন প্রেতসাধুরা। প্রেতবাহনা ও মোহিনীপ্রেতের উপাসনা কী? প্রেতপীঠ কোথায়? গৃহস্থের সাংসারিক মঙ্গলের জন্য প্রেতসাধকরা কী উপায় বলে গিয়েছেন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।

ইউরোপের সৌন্দর্য
ইউরোপের সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে রীতা ঘোষের বই ‘অপরূপ ইউরোপ’, যেখানে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, তুরস্কসহ নানা দেশের মনোমুগ্ধকর ভ্রমণকথা উঠে এসেছে।

ফিরে দেখা
হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের হুইসেল, স্মৃতির পাতায় পুরোনো গল্পের ঝলক! কিছু মুহূর্ত শুধু মনে থাকে, হারায় না! 🚂✨ #স্মৃতিরপাতা #ভ্রমণ

পুরাণ ও ইতিহাসে সিদ্ধিদাতা
গণেশ ঠাকুর সর্বজ্ঞ ও সিদ্ধিদাতা, যাঁর কাহিনি সীমাহীন। ভারতসহ বহু দেশে ভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন, সমৃদ্ধ পুরাণ ও ইতিহাসের সঙ্গে।

পদ্মকুমার
পদ্মকুমার, যিনি অগ্রমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যুবরাজ হিসেবে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, মায়ের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে চোরপ্রপাতে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু নাগরাজের সহায়তায় তিনি বেঁচে ফিরে, তপস্যায় মনোনিবেশ করেন।

পঞ্চচুল্লি আর চেরিফুলের দেশে
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে অজানা এক সফর, যেখানে প্রতিটি বাঁকেই লুকিয়ে আছে নতুন বিস্ময়!

গদ্যের ভিতরে রবীন্দ্র অন্বেষণ
কালীকৃষ্ণ গুহের ‘গদ্যসংগ্রহ ১’ বাংলা কবিতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাহিত্য বিশ্লেষণের এক অনন্য সংকলন, যেখানে কবিদের সৃষ্টিজগতের গভীর অনুভূতি ও ব্যাখ্যা চিত্রের মতো উঠে এসেছে।

খনা কে? কেন প্রাসঙ্গিক তাঁর বচন?
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫-এর 'সাপ্তাহিক বর্তমান'-এ বিদূষী নারী খনার জন্মবৃত্তান্ত এবং তাঁর বচন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর বচনে কৃষক সমাজের গভীর প্রতিফলন দেখা যায় এবং খনার আবির্ভাব প্রায় চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে।