এত্য প্রিলের কাঠফাটা রোদে হ্যানয় শহরে সারা দিন ঘুরে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় দোতলা কাঠের বাড়ির ঘরে ফিরেই সাপা গ্রামের ‘মিস অ্যান হোমস্টে’র বুকিং সেরে নিলাম। এরপরে এগোলাম 'গা ইয়েন ভিয়েন'-এর দিকে। ‘গা’ মানে স্টেশন। ভিয়েতনামের অ্যাপ ক্যাব গ্র্যাব বুক করার সময় ম্যাপে দেখাল, দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। লাগেজ নিয়ে গলি থেকে বেরিয়ে বড় রাস্তার কাছে এসে দাঁড়ালাম। রেড রিভার পেরনোর পর জমজমাট শহরের ছবিটা কিছুটা বদলে গেল। এদিকটা ওল্ড সিটি। পুরনো, জীর্ণ বাড়িঘর। ইয়েন ভিয়েন স্টেশনে পৌঁছলাম রাত প্রায় ন'টায়। চার দিক নিরিবিলি। বিশেষ দোকানপাট নেই। কেবল স্টেশন লাগোয়া একটা রেস্তোরাঁর বড় লনে জন্মদিনের পার্টি চলছে।
স্টেশনে ডিউটিরত ভদ্রমহিলা ইশারায় আমাদের টিকিট দেখতে চাইলেন। মোবাইল খুলে ই-মেলের স্ক্রিনশট দেখাতে কাগুজে টিকিট হাতে ধরিয়ে ওয়েটিং রুমে বসতে বললেন। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার দরজা তালাবন্ধ। ট্রেন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। চান্দ্রেয়ীকে লাগেজের পাহারায় বসিয়ে, আমি আর লিপিকা রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করতে বেরলাম। রেস্তোরাঁর পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছি, জন্মদিনের পার্টি থেকে আমাদের ডাকাডাকি শুরু হল। পার্টি জয়েন করো, বিয়ার খাও, ডিনার করো। কোনও মতে পালিয়ে বাঁচলাম। আর-একটু এগিয়ে, একটা দোকান থেকে বান মি কিনে ফিরে এলাম ওয়েটিং রুমে।
বান মি অনেকটা হটডগের মতো মোটা লম্বাটে পাঁউরুটি। তাকে লম্বালম্বি চিরে সেদ্ধ সবজি, সেদ্ধ পর্ক, সস, মেয়োনিজ দিয়ে স্টাফ করে গ্রিল করা হয়। এ দেশে সর্বত্রই এটা খুব জনপ্রিয় খাবার। একটা খেলেই যথেষ্ট! দশটা বেজে গিয়েছে। ওয়েটিং রুমে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন আমরা ছাড়া আরও তিন জন, তাঁদের মধ্যে দু'জন ট্যুরিস্ট, একজন স্থানীয়। এতক্ষণ বসে আছি, কিন্তু কোনও ট্রেন যেতে দেখিনি। ঠিক সোয়া দশটায় প্ল্যাটফর্মে ঢোকার দরজার তালা খুলে দেওয়া হল। ঘুটঘুটে অন্ধকার প্ল্যাটফর্ম। দূর থেকে অন্য এক জন মহিলা ব্যাটারির লণ্ঠন দলিয়ে এগিয়ে এলেন।
Esta historia es de la edición May 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición May 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস