গা ড়োয়াল হিমালয়ের চির-চেনা পথের কাছাকাছি অল্পচেনা কিছু জায়গারও হদিশ রইল এই লেখায়। কলকাতা থেকে ট্রেনে হরিদ্বার হয়ে শুরু করতে পারেন গাড়োয়াল ভ্রমণ অথবা কলকাতা থেকে বিমানে চলুন দেরাদুনের জলিগ্রান্ট এয়ারপোর্টে। এখান থেকে আগামী কয়েক দিনের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন।
হরিদ্বার গঙ্গানদীর সমভূমিতে প্রবেশ হরিদ্বারে। প্রতি ১২ বছর অন্তর এখানে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। নদীর পাড় জুড়ে নানান ঘাট। দিনভর পূজাপাঠ, গঙ্গাস্নান চলেছে। হর-কি-পৌড়ি ঘাট সন্ধের গঙ্গারতির জন্য বিখ্যাত । হরিদ্বারের গা ঘেঁষে রয়েছে শিবালিক পর্বতমালা। হর-কি-পৌড়ি ঘাটের অদূরে বিশ্ব পর্বতের চূড়ায় মনসাদেবীর মন্দির। কেবল কারে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে। নীল পর্বতের মাথায় চণ্ডী মন্দিরেও ওঠার জন্য রয়েছে কেবল কার। এই মন্দিরের গর্ভগৃহের চণ্ডী বিগ্রহটি অষ্টম শতকে আদি শঙ্করাচার্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়।
হৃষীকেশ হরিদ্বার থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে হৃষীকেশ। চারদিকে পাহাড়, তারই মধ্য দিয়ে বইছে গঙ্গা। সব মিলিয়ে হৃষীকেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। হরিদ্বারের মতো এখানেও রয়েছে নানান ঘাট। এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য লক্ষ্মণঝুলা। কিংবদন্তি অনুসারে, দশরথপুত্র লক্ষ্মণ হিমালয়ের পবিত্রভূমিতে যাওয়ার আগে, এই সেতু নির্মাণ করেছিলেন। তবে বর্তমানে যে-সেতুটি লক্ষ্মণঝুলা নামে পরিচিত, সেটির নির্মাণ ১৯৩৯ সালে। সেতু পেরিয়েই দেখা মিলবে লক্ষ্মণ মন্দিরের। এছাড়াও রয়েছে প্রস্তরনির্মিত বিশাল শিবের মূর্তি, কৈলাস আনন্দ আশ্রম, কালীকমলি আশ্রম, কালীকমলি বাবার সমাধি, রামঝুলা, গীতা ভবন, ভরত মন্দির, বালাজি মন্দির, চন্দ্রমৌলীশ্বর মন্দির।
ঘুঘুতিয়ানি-সিক্রেট ফলস হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ঘুঘুতিয়ানি-সিক্রেট ফলস দেখতে। হৃষীকেশ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপর জঙ্গলে ঘেরা ঘুঘুতিয়ানি। তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বাইক বা গাড়িতে পৌঁছলেও পরবর্তী চার কিলোমিটার শৌখিন গাড়ি আর উঠতে পারবে না। পথ বলে কিছু নেই। পাথর বিছানো, দু'পাশে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলের গোপন কোনও অন্তরাল থেকে তীব্র বেগে ছুটে আসছে জলধারা। দু'একটা ঝুপড়ি চায়ের দোকান ছাড়া কোথাও কিছু নেই। ঝরনার জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন।
Esta historia es de la edición July 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición July 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।