নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে বেরিয়ে ভিড়ভাট্টার পথ ছেড়ে গাড়ি দৌড়ল মসৃণ রাস্তা ধরে। দু'পাশে সবুজের সমারোহ। চলেছি এনজেপি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সিকিমের বারফুংয়ে। সেখানে পর্যটকের আনাগোনা, হইহুল্লোড় এখনও কম।
সমতল থেকে পাকদণ্ডী পথ ধরল গাড়ি। মাথার উপর শরতের নীল আকাশ। সঙ্গী ঝকঝকে রোদ্দুর। বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। ঘণ্টাখানেক যাওয়ার পর প্রাতরাশের জন্য থামা হল একটি পাহাড়ি রেস্তোরাঁয়। মোমো ও থুকপায় প্রাতরাশ সেরে আবার চলা শুরু। পাকদণ্ডী পথ কখনও সরু, কখনও চওড়া। দু'পাশ ঘন সবুজ। নীলাকাশ মাঝেমধ্যেই ঢেকে যাচ্ছে মেঘে।
গ্যাংটক থেকে ৭২ কিলোমিটার আর রাবংলা থেকে মাত্র ছ'কিলোমিটার দূরে বারফুং। সিকিমের ৩২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এটি একটি। লোকবসতি বেশ কম।
বারফুংয়ের কাছাকাছি হতেই পাহাড়ের দু'পাশের পরিবেশটা অন্য রকম হতে শুরু করল। ঘন হয়ে এল দু'পাশের জঙ্গল। বহু প্রাচীন সব গাছ, তাদের ডালপালা, শিকড়, শুকনো পাতা জড়াজড়ি করে আছে। বোঝা যায়, এখানে মানুষের চলাচল কম। ঘরবাড়িও বেশ কম। মাঝেমধ্যে নিস্তব্ধতা ভেঙে ডেকে উঠছে নানা পাখি। কোথাও বা খাদের পাশে সার দিয়ে সাদা প্রার্থনা পতাকা।
বছরের যে-কোনও সময়ই আসা যায় বারফুংয়ে। তবে গাড়ির চালক সুনীল বললেন, এখানে আসার উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে মার্চ। বারফুংয়ে সৌন্দর্য উছলে পড়ে বর্ষায়। কিন্তু সে সময় সিকিমের পাহাড়ি পথঘাটে চলা বেশ ঝুঁকিবহুল হয়ে পড়ে। সুনীলের সঙ্গে কথা বলতে বলতে একটা তোরণ পেরিয়ে প্রবেশ করলাম বারফুংয়ে। পথ কিছুটা সরু হল। অল্প কিছু দূর গিয়ে গাড়ি থামল হোমস্টের গেটে। গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতেই মন জুড়িয়ে গেল!
প্রকৃতির কোলে সাজানোগোছানো সুন্দর হোমস্টে। সবুজ লন, চারদিকে নানা রকমের ফুল, ফার্ন, অর্কিড। তারই মাঝে কাঠের ছোট ছোট কটেজ। হোমস্টের পিছনে গ্রিনহাউস। নানা রকম আনাজপাতি ফলে। সেই জৈব আনাজই রান্না করে দেওয়া হয় অতিথিদের।
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।