নির্জন সৈকতে, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের সামনে একটি নিঃসঙ্গ দুর্গ! এমন একটি দৃশ্য দেখতে পাবেন কেবল শিল্পীর আঁকায় আর তামিলনাড়ুর ট্রাঙ্কেবারে। জায়গাটির আসল নাম তরঙ্গমবাড়ি। অর্থাৎ যেখানে ঊর্মিমালা গান করে। পন্ডিচেরি থেকে ট্রাঙ্কেবারের দূরত্ব তিন ঘণ্টার মতো। পন্ডিচেরিতে যেমন চারদিকে ফরাসি ফরাসি গন্ধ, ট্রাঙ্কেবারে তেমনই ড্যানিশ মেজাজ! আদতে তরঙ্গমবাড়ি ছিল সমুদ্রপাড়ের একটি গ্রাম। সযত্নপালিত এক রাজকন্যার মতো। দামাল সমুদ্র তার পায়ের পাতা ভিজিয়ে দেয়। নারকেল আর পাম গাছের সারি তাকে হাওয়া করে। বুনোফুলের গন্ধ মেখে সে ঘুমিয়ে পড়ে! একদিন তার ঘুম ভাঙিয়ে ধুম লাগিয়ে দিল সুদূর ডেনমার্ক থেকে আসা কিছু লোকজন।
সেটা ১৬২০ খ্রিস্টাব্দ। করমণ্ডল উপকূলের তরঙ্গমবাড়িতে এসে জাহাজ নোঙর করলেন তরুণ ড্যানিশ নৌসেনা অ্যাডমিরাল, ওভে জেডি। কিছু কাল পর তিনি তাঞ্জোরের মহারাজা রঘুনাথ নায়কের কাছে দরবার করে বার্ষিক ৩,১১১ টাকার বিনিময়ে ড্যানিশ ব্যবসায়ীদের জন্য বাণিজ্যের অধিকারও আদায় করে নিলেন। ক্রমে ডেনমার্ক থেকে আগত দশ-বারোটি অভিজাত পরিবার পা রাখল তরঙ্গমবাড়িতে। ড্যানিশ জিহ্বার জড়তায় তরঙ্গমবাড়ি হয়ে গেল ট্রাঙ্কেবার। ২২৫ বছর পর, ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে ১২.৫ লক্ষ টাকায় ট্রাঙ্কেবার চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে।
বেলাভূমিতে ড্যানিশরা বানিয়েছিল সমুদ্রের দিকে মুখ করা একটি দুর্গ, ড্যান্সবর্গ। দোতলা দুর্গ। বন্দরের সঙ্গে দুর্গ, অর্থাৎ বাণিজ্য আর সুরক্ষা, দুই-ই নিশ্চিত করার চেষ্টা। তবে ভারতের জমকালো দুর্গগুলির সঙ্গে ড্যান্সবর্গের কোনও তুলনা চলে না। স্ক্যান্ডিনেভীয় মানুষেরা বাহুল্যের থেকেও বেশি দেখে উপযোগিতা। সেই দিক থেকে ড্যান্সবর্গ দুর্গের হাঁকডাক নেই, কিন্তু শক্তপোক্ত। এই সাদামাটা দুর্গটাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ড্যানিশ দুর্গ! প্রথমটি, ডেনমার্ক আর সুইডেনের সীমানায় নবৰ্গ, শেক্সপিয়ার তাঁর হ্যামলেট নাটকে যাকে বিখ্যাত করে গেছেন ।
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición September - October 2024 de Bhraman.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।