-তীতের দিকে ফিরে দেখলে বোঝা যায় সেই সময়ের দুর্গাপুজো ঘিরে ছিল আতিশয্য এবং বাহুল্যের প্রকাশ। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসে পড়ত এক রাজবাড়ির সঙ্গে অন্য রাজবাড়ির রেষারেষি। ওই সময় রাজবাড়ির পুজোয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রবেশানুমতি ছিল না। পক্ষান্তরে আজকের রাজবাড়িগুলির পুজো অনেকটাই খোলামেলা। অনায়াসে বহিরাগতরাও শামিল হতে পারেন রাজবাড়ির পুজোয়। কিন্তু কেমন ছিল সাবেক আমলের রাজবাড়ির পুজো? আর এখনই বা কেমন আয়োজন হয়, তা দেখে নেওয়া যাক।
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো: নদীয়ার রাজবংশের আদি পুরুষ ভবানন্দ মজুমদার ছিলেন মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের অধীনে একজন কানুনগো। সম্রাটের কাছ থেকে তিনি বেশ কয়েকটি পরগণা পেয়েছিলেন। তাঁর রাজপ্রাসাদ ছিল নদীয়ার মাটিয়ারিতে। বর্তমান রাজপরিবারের মতানুসারে ওই স্থানেই তিনি ১৬০৩ সাল নাগাদ দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। শোনা যায় তিনি রাজবংশের প্রথা অনুযায়ী অন্নপূর্ণার পুজো করতেন। তাঁর পৌত্র রাজা রাঘব রায় মাটিয়ারি থেকে রেউই বা কৃষ্ণনগরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। পরবর্তীকালে তাঁর পুত্র মহারাজ রুদ্র রায়ের আমলেই রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় সর্বসাধারণের প্রবেশানুমতি মিলেছিল।
কথিত আছে মহারাজ রুদ্র রায় বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা শহর থেকে আলাল বক্স নামে একজন স্থপতিকে নিয়ে এসেছিলেন চকবাজার, কাছারিবাড়ি, হাতিশালা, আস্তাবল, নহবতখানা সহ পঙ্খ অলংকৃত (পঙ্খ সজ্জিত অর্থাৎ ঠাকুর দালানের মাথায় হাতে টানা পাখার ব্যবস্থা রাখা যাতে দেবীকে বাতাস করা যায়) দুর্গা দালান নির্মাণের জন্য। যদিও রাজা ভবানন্দের সময়ই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল। কিন্তু এই রাজবাড়ির পুজো বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হতো মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর সময়ে। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ৰই প্রথম জনসাধারণের জন্য দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন যা কি না পরবর্তীকালে সর্বজনীন স্বীকৃতি পায়। তাঁর আমলেই দূরদূরান্ত থেকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে নদীয়ার রাজবাড়িতে প্রজারা আসতেন এবং উৎসবে শামিল হতেন। সেই সময়ে প্রজাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম ছিল এই উৎসব।
Esta historia es de la edición October 2022 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición October 2022 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।