স্মবেশ ধরা সারা পৃথিবীর মানুষদেরই একটা পুরনো প্রথা বা রীতি। নিছক রঙ্গতামাশা বা নির্দোষ আমোদপ্রমোদের জন্য অথবা বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষ ছদ্মবেশ ধরত। কখনও বা দু’টি তরুণ জীবনের প্রেম ভালোবাসার মধুর পরিসমাপ্তি ঘটত ছদ্মবেশ ধারণের মধ্য দিয়েই, যা মনকে প্রসন্ন করে তুলত। চিন্তা বা উদ্বেগের কারণ ঘটে যখন গুরুতর অপরাধ করে অপরাধী ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে। আর সেই অপরাধীকে ধরার জন্য বা খোঁজার জন্য আর একদল যখন ছদ্মবেশ ধরতে বাধ্য হয়। এ ছদ্মবেশ ধারণে
আনন্দ কৌতুক নেই, বরং প্রাণ সংশয়ের ভয় আছে! শত্রুপক্ষের বল ও ক্ষমতা বোঝার জন্যও সন্ন্যাসী, ভিক্ষুক, সাপুড়ে, জ্যোতিষীর বেশ ধারণের অনেক নজির আছে মধ্যযুগের কাব্য-নাটকে। মেয়েরাও বেশ ধরত নর্তকী বা গায়িকার, কদাচিৎ গণিকার।
এদেশে চিত্ত বিনোদনের জন্য লোকসাংস্কৃতিক এক বিশেষ ধারা ছিল বহুরূপীর সাজ। বহুরূপী অর্থাৎ বহু রূপ ধরা। নানা সাজ— দেবদেবী, রাক্ষস কিংবা জন্তু জানোয়ার, সাধু বাউল এমন কত কী। সাধারণ লোকের মনোরঞ্জন করাই ছিল বহুরূপীদের উদ্দেশ্য। এইসব বহুরূপী জাতিগত সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী নয়। বরং বলা যায়, পেশাগত সম্প্রদায়। বহুরূপ বা ছদ্মবেশ ধারণের জন্য প্রয়োজন হতো নানা ধরনের রং। মুখোশ পরচুলা, বেশভূষা, গয়না এবং বাঘ, ভালুক, সিংহ ইত্যাদির পশুচর্ম। সেই সঙ্গে ত্রিশূল, খাঁড়া, তিরধনুক, গদা, লাঠি ইত্যাদি নানা উপকরণ। বহুরূপী হতো যারা, তাদের শিখতে হতো সূক্ষ্ম অভিনয়। ভাবপ্রকাশের নীরব অভিব্যক্তি। নাচ, গানও বাদ যেত না। রং, মুখোশ, পরচুলা বিচিত্র বেশভূষা— এইসব উপকরণের সাহায্যে শিব-পার্বতী, রাম-সীতা, কৃষ্ণ, রাক্ষস, সন্ন্যাসী, বাউল, বাঘ ভালুক হনুমান সেজে হাটে বাজারে নেমে পড়া। মেলা পার্বণে
অথবা গৃহস্থপল্লিতে নানারূপে বিচিত্র সাজে ঘুরে সাধারণ লোকের মনোরঞ্জন করাই ছিল বহুরূপীদের কাজ। কখনও একজন। কখনও বা দু'তিন জন মিলে থাকত। দর্শকরা খুশি হয়ে পয়সা দিত। গৃহস্থবাড়িতে পয়সার সঙ্গে খাবারদাবার, পুরনো কাপড়চোপড়ও মিলে যেত।
Esta historia es de la edición February 2023 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor ? Conectar
Esta historia es de la edición February 2023 de Sukhi Grihakon.
Comience su prueba gratuita de Magzter GOLD de 7 días para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9,000 revistas y periódicos.
Ya eres suscriptor? Conectar
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।