লুচি আর কষা মাংসের স্বাদ জীবনে ভুলব না

প্রায় ন'বছর আগে কাশ্মীর থেকে আরব সাগরের তীরে মায়ানগরী মুম্বইতে এসেছিলেন এক তরুণ। দু’চোখে ছিল একরাশ স্বপ্ন। ধীরে ধীরে স্বপ্ন পূরণের পথে লীনেশ মাট্টু। ‘ঈশকবাজ’, ‘দিল বোলে ওবেরয়’, ‘ব্রহ্মারাক্ষস টু’-সহ নানা টেলিসোপে মন জয় করেছেন তিনি। এখন সোনি চ্যানেলের ধারাবাহিক ‘বড়ে আচ্ছে লগতে হ্যায় টু’-তে ‘অঙ্গদ’-এর চরিত্রে অভিনয় করছেন লীনেশ। খাওয়াদাওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথায় দেবারতি ভট্টাচার্য।

খেতে কতটা ভালোবাসেন? •• ছোটবেলা থেকেই নানা ধরনের ক্যুইজিন পছন্দ আমার। খাবার আমাকে রিল্যাক্সড রাখে! ভালো খেলে ভালো ভালো চিন্তাভাবনা করা যায়। আর সঙ্গে জীবনটাও উপভোগ করা যায়। শ্যুটিংয়ের সময় তাই সুস্বাদু আর পুষ্টিকর খাবার খাই। ভেতর থেকে ফুরফুরে লাগে। কাজেও ফোকাস ঠিকঠাক থাকে।

শুনেছি আপনি খুব মেপেজুপে খান? •• একদমই তাই। সকালে নিয়ম করে ওয়ার্কআউট করি। তারপর প্রোটিন স্মুদি খাই। দুপুরে সাধারণত চিকেন সেদ্ধ, ডাল আর ভাত খাই। অনেক সময় আবার মসুর ডাল আর পনির অথবা টফু থাকে। সব খাবারই কম তেল আর হালকা মশলা দিয়ে রান্না করা। শটের মাঝে খিদে পেলে কাজু, আমন্ড, পেঁপে, বেদানা, আঙুর আর আনারস— কিছু একটা খাই। আর দিন শেষ হয় দুটো মাল্টিগ্রেন রুটি আর চিকেন দিয়ে।

• ছোটবেলা থেকে আপনি নানা ক্যুইজিন খেয়ে এসেছেন। সবথেকে প্রিয় ক্যুইজিন কোনটা? ভারতীয় আর চাইনিজ। তবে আমার মতে দেশি খাবারকে কেউ হারাতে পারবে না। নানা মশলা মিশে আমাদের ক্যুইজিনকে এক স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে। ভারতীয় খাবারে এত বৈচিত্র্য... আপনি এক স্বাদে বেঁধে রাখতে পারবেন না। প্রতিটা রাজ্যের প্রতিটা অঞ্চলের খাবারের নিজস্ব মশলা, স্বাদ, আর গন্ধ আছে। এর জন্যই আমি ভারতীয় ক্যুইজিন এত ভালোবাসি।