সঞ্চয় ও বিনিয়োগের প্রথম পাঠ

আপনার হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ কম, অথচ সঞ্চয় করাটা খুব জরুরি। কিংবা সঞ্চয়ের মতো অর্থ আছে। কিন্তু কীভাবে সঞ্চয় করতে হয় তা জানা নেই? পরামর্শ দিলেন নেতাজী মহাবিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক অনিন্দ্য ভুক্ত৷

শুরুতেই বলে রাখি এই লেখা তাঁদের জন্য, যাঁদের হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ কম, অথচ সঞ্চয় করাটা খুব জরুরি। এই লেখা তাঁদের জন্যও যাঁদের হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ আছে, কিন্তু কীভাবে সঞ্চয় করবেন তা জানা নেই। সোজা কথায়, এই লেখাটিকে বলা যেতে পারে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের প্রথম পাঠ।

সঞ্চয় একটি অভ্যাস সঞ্চয় করাটা কিন্তু সবার জন্যই জরুরি। যাঁদের হাতে সঞ্চয়ের মতো বিশেষ অর্থ নেই তাদের জন্যও যেমন, আবার যাঁদের হাতে সঞ্চয়ের মতো অর্থ আছে তাদের জন্য তো বটেই। সঞ্চয় যে কতটা জরুরি সেটা বোধহয় সবচেয়ে ভালো বুঝতেন আগেকার দিনের মা ঠাকুরমারা। তখনও মেয়েদের মধ্যে পড়াশোনার চল ততটা গড়ে ওঠেনি, চাকরি-বাকরি তো দূরস্থান। সেইসময়ও কিন্তু মেয়েদের কাছে, যারা ছিলেন নিছকই গৃহবধূ, তাদের হাতেও একটা ছোটখাট পুঁজি থাকত। এমনকী বাড়ির যারা কর্তাব্যক্তি, যারা ছিলেন সংসারের ঘানির তেলের জোগানদাতা, তাঁরাও মাঝেমধ্যে বিপদেআপদে পড়লে গিন্নির কাছে হাত পাততেন। এই টাকাটা কোত্থেকে আসত?

আসত সংসার খরচের জন্য গিন্নির হাতে তুলে দেওয়া টাকা থেকেই। সেই টাকা থেকেই নিয়মিত একটুআধটু সরিয়ে রেখে এই তহবিল গড়তে শিখেছিলেন সেইসব তথাকথিত আটপৌরে ঘরোয়া গৃহবধূরাও। তাঁরা সঞ্চয়ের প্রয়োজন বুঝতে শিখেছিলেন, অথচ তাঁদের হাতে সঞ্চয়ের মতো আলাদা কোনও অর্থ কিন্তু ছিল না। সঞ্চয়ের প্রয়োজন বুঝতে পেরেই তাঁরা সঞ্চয়ের একটি অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন।