মায়ের টানেই ফাটাকেষ্টর কালীপুজোয়

বারবার এই কালীপুজোয় এসেছেন মহানায়ক। মাতৃমূর্তি দর্শন করেছেন। সেখানকার সুশৃঙ্খল আবহ তাঁকে মুগ্ধ করেছে। কীভাবে এই পুজোয় মহানায়কের আগমন? সেই কথাই বিস্তারিত জানালেন পুজোর তৎকালীন সেক্রেটারি সুকৃতি দত্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিয়ব্রত দত্ত।

• মায়ের টানেই আসতেন মহানায়ক। নিজ মুখে সে কথা বলেও ছিলেন। উত্তমকুমার। আমহার্স্ট স্ট্রিট, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিট, সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের ত্রিবেণী সঙ্গমে লক্ষ জনতার মুগ্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে। নব যুবক সংঘর কালীপুজোর মঞ্চে দাঁড়িয়ে। যে পুজোটি রাজ্যবাসীর মুখে মুখে ফাটাকেষ্টর কালীপুজো বলেই বিখ্যাত।

১৯৭৫ সাল। দুর্গাপুজো সবে মিটেছে। বিসর্জনের বিষণ্ণতা তখনও তামাম বঙ্গের মন জুড়ে। মণ্ডপে মণ্ডপে বাঁশ খোলার শব্দে দীর্ঘশ্বাসের শূন্যতা। সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের আবহ অবশ্য ভিন্ন। সেখানে ইতিমধ্যেই খুঁটি পোঁতা হয়ে গিয়েছে। বাঁশ পড়ার মিঠে মন্তাজ। আর তো মাত্র কয়েকদিন। মা আসবেন। পল্লির প্রত্যন্তে তখন আর এক আগমনীর সুর। গলি জুড়ে গড়ে উঠবে চোখধাঁধানো মণ্ডপ। সেই মণ্ডপের সুউচ্চ বেদীতে যাবতীয় বিপন্নতা দূর করতে আসীন হবেন ‘ফাটাকেষ্টর মা কালী'। সেটা অবশ্য পুজো শুরুর বছর নয়। তার অনেক আগেই শুরু হয়েছে এই পুজো। নব যুবক সংঘের সভ্যদের শ্বাস ফেলার সময় নেই। পুজো তো মাত্র এক

রাতের। কিন্তু মা তো থাকবেন সপ্তাহ জুড়ে। তাঁকে ঘিরেই উৎসব। আলোর আনন্দগান। লক্ষ মানুষের জমায়েত। মেলা আর মানুষের যুগলবন্দি। তাঁদের জন্যই প্রতি সন্ধ্যায় হাজার ভোল্টের ‘ফাংশন’। তারকাখচিত সেই রাতজাগা জলসায় রুপোলি আকাশ থেকে খসে পড়েন টলিউড শুধু নয়, বলিউডেরও স্বপ্নসুন্দর ও সুন্দরীরা। ‘ফাটাকেষ্টর ফাংশন' মানে বিনে পয়সায় ভগবান দর্শন। প্রতি বছরের এত আয়োজন, এত বিনোদন তবুও কোথায় যেন ফাঁক রয়ে যাচ্ছে।