শতবর্ষে ভারতী দেবী

প্রায় সকলের অগোচরেই শতবর্ষ পূরণ করলেন বাঙালি তথা ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তী শিল্পী ভারতী দেবী! তাঁর জীবনের গল্প লিখলেন সায়ক বসু

বি শ্বযুদ্ধ না এলে বোধ হয় এমন ভাগ্যাহত হতে হত না তাঁদের। এবং বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমা পেত না এমন প্রতিভাময়ী, কিংবদন্তী শিল্পীকে। অথচ দেখুন, তাঁর ১০০ বছরের জন্মদিন কী নীরবেই না কেটে গেল। তিনি ভারতী দেবী! উত্তমকুমারকে যতবারই জিজ্ঞেস করা হয়েছে, কোন নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করে তিনি শিখতে পেরেছেন, আনন্দ পেয়েছেন, তিনি সুচিত্রার নাম অনেক পরে নিয়েছেন। প্রথমে নাম উচ্চারণ করেছেন ভারতী দেবীর। ‘সহযাত্রী’ ছবিতে উত্তমের নায়িকা ছিলেন ভারতী দেবী। প্রথম নায়িকা। তারপর বহু বাংলা ছবি তো বটেই, হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন। ছবির গল্প লিখেছেন, চিত্রনাট্য লিখেছেন। বলতে গেলে, সিনেমায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। অবশ্য ওই, বিশ্বযুদ্ধ না এলে, এসব কিছুই হত না। কারণ হ্যারিসন রোডে পাঁচিল ঘেরা রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান ভারতী এবং তাঁর ভাইবোনেরা। বলা একটু ভুল হল, ভারতীর নাম তখন মহামায়া। তাঁর পিতা হরেন্দ্রকৃষ্ণ দাস ছিলেন গয়না ব্যবসায়ী। বলতে গেলে, বাড়িতে একটু ব্যতিক্রমীই ছিলেন হরেন্দ্রকৃষ্ণ। উদার ছিল তাঁর মন। ফলে মেয়ে মহামায়াকে বিদ্যাভারতী স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি গান শেখানো, সাঁতার কাটা, খেলাধুলো করাতেন তিনি। তখন স্বদেশী যুগ। তাঁদের বাড়ির পিছনেই ছিল ক্লাব। সেই ক্লাবে মহামায়া লাঠি খেলাও শেখেন। এর ফলে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে দাস পরিবারের উপর। দু’বার বাড়ি সার্চ হয়েছিল তাঁদের। মহামায়া গানের ঝোঁক পেয়েছিলেন কাকার কাছ থেকে। বড় কাকা এবং ছোট কাকাদের সঙ্গে ভাইবোনেরা মিলে যাত্রা-যাত্রা খেলা, গান তৈরি করা...

শিল্পীসত্তার বীজ তখন থেকেই বপন হচ্ছিল মহামায়ার মধ্যে। কিন্তু এর মধ্যে পরপর কয়েকটি ঘটনা ঘটে যায় তাঁর জীবনে। J •