অ্যাজমার জুজু তাড়ান

পরামর্শে বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট ডাঃ রাজা ধর।

হাঁপানি বা অ্যাজমা কী? • হাঁপানি বা অ্যাজমা এমন একটি অসুখ ●● যাতে শ্বসনতন্ত্রে লালচে ও ফোলাভাব দেখা যায়। এই অসুখে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সেই পথে কফ জমে, শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয়, রোগীর একটানা কাশি দেখা দিতে পারে। ●

অ্যাজমা কেন হয়? •• এই অসুখের মূলে দুই কারণ। ১) জিনঘটিত, ২) পরিবেশগত। কারও দেহে অ্যাজমার বৈশিষ্ট্যবহনকারী জিন থাকলে তার এই রোগ হওয়ার শঙ্কা বাড়ে। তাই অ্যাজমাকে বংশগত অসুখ বলা হয়। এই

জিন পরিবেশগত বা পরিপার্শ্বজনিত কারণে সক্রিয় হয়। তবে কারও জিনে এই অসুখ লুকিয়ে আছে মানেই তার এই রোগ হবে এমন কিন্তু নয়। পরিবেশ বা পরিপার্শ্ব এই জিনকে উত্তেজিত না করলে এই অসুখ দেখা দেয় না। তাই অ্যাজমা যেকোনও বয়সে দেখা দিতে পারে।

• অ্যাজমা তাহলে পুরোটাই ওই জিনের কারসাজি যাকে সোজা বাংলায় বংশগত বলি? হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ বংশগত। রোগীর বাবা বা মা কারও না কারও এই রোগ নিশ্চয় আছে, হয়তো তাঁর শরীরে এই রোগের প্রভাব প্রচ্ছন্ন। তাই কখনও রোগটি নির্ণীতই হয়নি। সেক্ষেত্রে

আক্রান্ত রোগীর বাবা-মা যদি দাবি করেন, তাঁদের এই অসুখ নেই, তখন জিজ্ঞেস করতে হবে, তাঁদের সর্দি-কাশির ধাত আছে কি না। সহজে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে কি না, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর বাবা কিংবা মা সম্মতিসূচক উত্তর দেন। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রে এই অসুখটি জিনে প্রচ্ছন্ন থাকায় অ্যাজমার মতো বড়সড় সমস্যা দেখা দেয়নি কিন্তু ঠান্ডার ধাতটা থেকে গিয়েছে। এবং সেই জিন থেকেই তাঁর সন্তানের শরীরের জিনে অ্যাজমা এসেছে এবং তা প্রকট বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

এই পরিবেশগত কারণগুলো কী কী? নানাবিধ কারণ আছে। ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ও আবহাওয়ার পরিবর্তন যেমন একটি কারণ। এছাড়া ধুলো, ধোঁয়া, ফুলের পরাগরেণু, পশুর রোম ও কিছু খাদ্যদ্রব্য থেকেও এই রোগ হয়।