হাঁটুর ব্যথা বেদনায় আকুপাংচার

কেন্দ্রীয় সরকারের উৎসাহ ও সাহায্যে বিভিন্ন গবেষণা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আকুপাংচার চিকিৎসা ও তার রোগ নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে একাধিক গবেষণামূলক কাজ হয়েছে।

- লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়

বেশ কয়েক বছর ধরেই তথাকথিত মূলস্রোতের মডার্ন চিকিৎসার বে চেয়ে আকুপাংচারের মতো বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতিগুলি বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। রোগীরা অনেক বেশি ভরসা করছেন আকুপাংচারের উপর। বস্তুতপক্ষে চিকিৎসাক্ষেত্রে আকুপাংচারের বিস্তার প্রভূত। আমাদের ভারতে এই ধরনের চিকিৎসা শুরু হয় ১৯৫৮-৫৯ সালে। তার প্রায় ৪০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে ১৯৯৬ সালে এই চিকিৎসাকে সরকার স্বীকৃতি দেয়। তৈরি হয় পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল। বর্তমানে গোটা পৃথিবী জুড়েই নানা ধরনের অসুখ সারাতে রোগীরা আকুপাংচারের শরণ নিয়ে থাকেন। গত ৪০ বছর ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা ও পরিসর বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। পৃথিবীবিখ্যাত সমস্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে আকুপাংচার চিকিৎসা শিক্ষার বিভাগ রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার এই প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জায়গা মডার্ন মেডিসিন বা অ্যালোপ্যাথির পরেই। এই বিশেষ চিকিৎসার গবেষণা খাতে বিনিয়োগের হারও বেশি। হাঁটুর ব্যথার ক্ষেত্রে এই চিকিৎসাপদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়া ঘাড় ও কোমরের যাবতীয় ব্যথা, বাতের অসুখ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এই চিকিৎসাপদ্ধতি ভালো কাজ করে।

হাঁটুর আথ্রাইটিসে আকুপাংচার পদ্ধতি স্টেরয়েড সহ নানা ওষুধে কাজ হয় না, ব্যায়াম করেও আরাম মেলে না এমন বহু রোগী ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন (ইরিম)-এ আসেন। এমন বছর ৫২-র এক মহিলা এসে বলেছিলেন, হাঁটাচলায় এতই কষ্ট যে কাছাকাছি থাকলেও ইনডোরে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে চান। তাঁর তখন ওজন প্রায় ৭০ কেজি। এখন যদিও ৩৫-৪০ বছর বয়সের যুবক-যুবতীরাও নানা ধরনের আথ্রাইটিসের শিকার। একটু মেদবহুল রোগী হলে আমরা প্রথমেই তাঁর দেহের ওজন হ্রাসের দিকে নজর দিই। এতে কোমর ও হাঁটুর অস্থিসন্ধির উপর চাপ কম পড়ে। ফলে চিকিৎসায় আরও ভালো ফল মেলে।