জাভির ফিটনেস রহস্য ‘ফাইভ মিলস আ ডে’

বয়স? ফ্যাক্টরই নয় তাঁদের কাছে। অবসরের পরেও ক্রীড়া প্রশাসন, কমেন্ট্রি, বিজ্ঞাপনী প্রচার, বিনোদন— কোথায় নেই তাঁরা! স্ট্রেস, টেনশনে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার সময়ে কীভাবে পারেন ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে? টিপস দিচ্ছেন তারকারা। এবারের ব্যক্তিত্ব জাভি হার্নান্ডেজ৷ লিখেছেন সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়।

ফু টবল ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্ডেজ। তাঁর পায়ের জাদুতে বিশ্বকাপ, ইউরো জিতেছে স্পেন। ক্লাব বার্সেলোনাতেও ফুল ফুটিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে আল সাদে খেলোয়াড়ি জীবনে ইতি টানার পরও বিশ্রামে যাননি ‘দ্য পাপেট মাস্টার’। সেবছরই কোচ হিসেবে তাঁর অভিষেক হয়। আর এখন স্প্যানিশ কিংবদন্তি বার্সেলোনার ডাগআউটে। জীবনের ধ্যানজ্ঞান সবই ফুটবল। প্লেয়ারের পর কোচ হিসেবেও নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। ৪৪ বছর বয়সি জাভির ফিটনেস এখনও অনেক তরুণকে লজ্জায় ফেলবে। আর স্প্যানিশ তারকা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর সাফল্যের জন্য ফিটনেসকেই কৃতিত্ব

দিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আপনি যদি ফিট না হন, কখনও ভালো ফুটবলার হয়ে উঠতে পারবেন না। সবুজ গালিচায় কোথায় মুভ করব, কখন কাকে পাস বাড়াব, তা মাথায় ম্যাপিং হতে থাকে। কিন্তু সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সবার প্রথমে ফিট থাকা জরুরি।' জাভি হার্নান্ডেজের এমন ফিটনেসের রহস্য কী? স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ফাইভ মিলস আ ডে।' তাঁর সংযোজন, ‘ফিট থাকতে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন খুবই জরুরি। এটা ১১ বছর বয়সে লা মাসিয়াতেই শিখে গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমার অভ্যেস দিনে পাঁচবার খাওয়া। আর ঘুমানোও আবশ্যক। খেলা ছাড়ার পর অভ্যেসের অনিয়ম হয় না। কোচকে মাঠে খেলতে হয় না ঠিকই। তবে প্লেয়ারদের থেকে মানসিক চাপ অনেক বেশি থাকে। তাই ফিটনেস জরুরি।'