প্রস্টেট ক্যান্সার: আতঙ্ক নয়, ধৈর্য চাই

প্রস্টেট ক্যান্সারের খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে আধুনিক সময়ে। তাই ভয় না পেয়ে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জানাচ্ছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডাঃ দিলীপ কর্মকার।

প্রস্টেট ক্যান্সার: আতঙ্ক নয়, ধৈর্য চাই গ্ল্যান্ড থাকে পুরুষের। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডকে সেকেন্ডারি সেক্সুয়ালি অর্গ্যান বলা হয়। সাধারণভাবে এই গ্ল্যান্ড থেকে কিছু ফ্লুইড বেরয় যা সেক্সুয়াল অ্যাকটিভিটিতে কাজে লাগে। প্রস্টেট গ্ল্যান্ড থাকে প্রস্রাবের থলির নীচে। এই গ্ল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রস্রাবের নালী যায়। প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের ওজন ১৬-২০ গ্রামের মধ্যে। বয়স হলে যেমন চুল পাকে, চোখে ছানি পড়ে, তেমনই প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের আকারও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধদের প্রস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি পাওয়ার একটা আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়।

প্রস্টেটের আকার বাড়লে কী হয়? প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের আকার বাড়লে প্রস্রাবের নালীর উপর চাপ পড়ে। ফলে প্রস্রাবের রাস্তা সরু হয়ে যায়। তাই প্রস্রাব করার সময় খুব কষ্ট হয়। থাকে আরও কিছু লক্ষণও। উপসর্গ • ইউরিনের ফ্লো কমে যায়। প্রস্রাব সরু হয়ে পড়ে। • চাপ দিয়ে প্রস্রাব করতে হয়। ৷ প্রস্রাব করতে সময় লাগে। • রোগীর মনে হয় প্রস্রাব জমে আছে। • অনেক সময় বারবার টয়লেট যেতে হয়। • প্রস্রাব পেয়ে গেলে একেবারেই ধরে রাখা যায় না।

প্রস্টেট ক্যান্সার প্রস্টেট ক্যান্সারেও প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের আকার বড় হয়ে যায়। সেক্ষেত্রেও উপরিউক্ত উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে। তবে বাইরে থেকে শুধু উপসর্গের উপর ভিত্তি করে ক্যান্সার হয়েছে কি না তা বলা সম্ভব নয়। তবে চিকিৎসক রোগীর ক্লিনিক্যাল একজামিনেশনের সময় ক্যান্সার হয়েছে কি না তা সন্দেহ করতে পারেন। ক্লিনিক্যাল একজামিনেশনের মধ্যে রয়েছে, মলদ্বারের মধ্যে আঙুল প্রবেশ করিয়ে প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের অবস্থা বোঝা। চিকিৎসক বোঝার চেষ্টা করেন প্রস্টেট গ্ল্যান্ড শক্ত কি না। এছাড়া গ্ল্যান্ডের উপরি তল মসৃণ কি না তাও বোঝার চেষ্টা করা হয়।