মেয়েদের ইউরিনে অসংযম

পরামর্শে এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সুভাষ বিশ্বাস।

-  লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়

পাড়া-প্রতিবেশী হোক বা আত্মীয়স্বজন, কারও বাড়িতেই কোনও সামাজিক নিমন্ত্রণে পা যান না সুষমাদেবী। বাড়িতে এই নিয়ে অল্পবিস্তর বিরক্তও হতে দেখেন কর্তা বা ছেলেকে। তাঁরা চান, তাঁদের স্ত্রী বা মা আর সকলের সঙ্গে মজা করুন, নানা ঘরোয়া আড্ডায় যান। সুষমাদেবীর নিজেকে এই গুটিয়ে নেওয়া নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি আছে তাঁদের। তবু নাচার তিনি। ইচ্ছে থাকলেও লোকসমক্ষে মেলামেশা করতে কুণ্ঠা হয়। শুধু সুষমাদেবী নয় একটা বয়সের পর বিশেষ করে মেনোপজের পর বহু বয়স্ক মহিলাই বাইরের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। কাছের পরিজনরা অনেক সময় একে সামাজিক না হতে পারার সমস্যা হিসেবে ধরে নিলেও আদতে এই সমস্যার বীজ অনেক গভীরে প্রোথিত। দেখা গিয়েছে, এইসব মহিলার অসাড়ে ইউরিন নিঃসরণ হয়ে যায়। অনেকের শরীর থেকে মূত্রের গন্ধ বেরয়। লোকসমক্ষে তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু এই অসম্মানের ভয়েই বহু মহিলা একটা বয়সের পর নিজেকে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বদ্ধ করে ফেলেন। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অসুখের নাম ‘ইউরিনাল ইনকনটিনেন্স'।