CATEGORIES
ক্ষয় হয়, ভয় হয়
অম্বেডকরকে গ্রহণ করিনি, হয়তো করতে ইচ্ছুকও নই, শুধু নিজেদের স্বার্থে জড়িয়ে রেখেছি তাঁর নাম।
সংখ্যালঘুরা এখন পরীক্ষাগারের গিনিপিগ
বাংলাদেশ ও ভারতে ভিন্ন-ভিন্ন ধর্মের মানুষের বাস। দেশভাগের আগে ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে পারস্পরিক বন্ধন বজায় ছিল। ধর্ম বর্তমানে রাজনীতিবিদদের ক্রীড়নক, তাই এখন সে তার সর্বনাশা চরিত্র চতুর্দিকে বিস্তার করছে।
তিনটি সাম্প্রতিক বাংলা ছবি
বছরশেষে ওটিটিতে এল ফেলুদা। সঙ্গে মুক্তি পেল দু'টি বড় বাজেটের বিনোদনধর্মী ছবি।
ক্রান্তিকালের আখ্যান
বিশ শতকের একটি বিশেষ সময়পর্বে গ্রাম এবং শহর জুড়ে যে-সমস্ত মানুষ রুজি রোজগার ও আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে শামিল হয়েছিলেন, তাঁরা ছড়িয়ে আছেন লেখার পাতায় পাতায়।
লিপস্টিক
শকুনের চোখে আমরা হয়তো শিক্ষার উৎস। তাদের ভাষা নেই, না হলে হয়তো বলত, \"মানুষের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে।\" খাবারের জন্য লড়াই আর মানুষের অমানবিকতা যুদ্ধের দিনে সব সীমা ছাড়ায়। শকুনেরা তবুও ঝগড়া না করে ভাগ করে খায়। মানুষের কাছেও এই সাদামাটা শিক্ষাটুকু যেন আসে।
ন্যায়বিচার ফিরুক, আসুক মর্যাদা ও সমতা
পতাকায় আঘাত মানে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করা। অন্য দিকে হাইকমিশন বা দূতাবাস বা কূটনৈতিক স্থাপনা সংশ্লিষ্ট দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা বাংলাদেশের সার্বভৌমিকতার উপর হামলা এবং পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষ মর্মাহত, ক্ষুব্ধ।
বাংলাদেশের মুখ আমি দেখিয়াছি
বাংলাদেশের প্রকৃত মুখ অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে অবগুণ্ঠনে ছিল। যে মুখ আমরা অনেকেই আগেই বলেছি, তা আজ প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ হতবাক, কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে, মন্দির ভাঙা, হিন্দু আইনজীবীদের উপর হামলা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আক্রমণের মতো ঘটনা এখন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে।
নতুন ভোরের স্বপ্ন
পুরনো ইতিহাস সরিয়ে রাখলে ভারত ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ও স্বাধীন আলাদা দু'টি দেশ। দু'দেশের মানুষের রুচি ও বৈশিষ্ট্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভিন্ন। খাবার ও পোশাকে কিছু মিল থাকলেও সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশ
হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা বা পাকিস্তান, কারও সম্পর্কই বিশেষ অন্তরঙ্গ ছিল না। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠেছিল। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে আমেরিকা চাপ বাড়াচ্ছিল। আমেরিকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কিছু সামরিক সুবিধা চেয়েছিল। যা ছিল মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি।
দ্বেষ, দেশ ও রাজ্য
বঙ্গ রাজনীতির বেশির ভাগটা এখন ধর্মীয় মেরুকরণসর্বস্ব। আর জি কর-উত্তর উপনির্বাচনে জয়ের ‘ছক্কা’ হাঁকিয়ে শাসক তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী। বাইরের বিরোধীদের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি মনোযোগী ভিতরের উচ্চাভিলাষ দমনে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসু রাজ্যের শাসকের পক্ষে ক্রমশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে।
সাহিত্য, দর্শন ও শিকড়সন্ধানী কবি
শতবর্ষে নিসিম ইজিকিয়েল। ভারতীয় ইংরেজি ভাষার কবিতায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক নাম, একজন চিন্তক।
কেন্দ্রে আসছে জাপান
ইংরেজিতে লেখা গল্প-উপন্যাসের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে অনূদিত জাপানি গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা।
‘তোমায় ভালবাসি'
গণতন্ত্রের সমর্থক হিসেবে এ কথা বলার দায় থেকে যায়, যে-কোনও দেশেই বিরোধীরা, তা তিনি রাজনৈতিক দলের হন বা সংবাদমাধ্যমের, তাঁকে, তাঁদের বিনা কারণে কারাগারে বন্দি করা গণতন্ত্রের চরম লঙ্ঘন, মানবতাকে অস্বীকার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্মৃতি ও ইতিহাসে বাংলাদেশের বিবর্তন
১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, আমার বাবা শিশিরকুমার বসু কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ১৭ জানুয়ারি ধানমণ্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “আমাদের কিছু নাই।” বাবার জবাব ছিল দৃঢ়—“আপনাদের সব আছে।” এই সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে নেতাজির প্রেরণাকে তুলে ধরেছিল, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাহসিকতার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
শিখিয়েছে কে? উন্নতির পথ দেখিয়ে দিয়েছে কে? তুমি।”
সমরেন্দ্রর জীবনাবসানের পর, প্রযুক্তি আর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে এক মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা। পেশাদারি অ্যাপ, আধুনিক শ্মশানসেবা, আর মানবিকতার দ্বন্দ্ব এই গল্পের মূল সুর। জীবনের শেষে, সম্পর্কের হিসেব কি আসলেই মুছে যায়?
রবীন্দ্র-অনুবাদে অনুভবী স্বর
উইলিয়াম রাদিচের জীবন এক ভাষাপ্রতিভার জ্বলন্ত উদাহরণ, যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে বিশ্ব সাহিত্যে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প ছিল। তাঁর অনুবাদ কর্ম এবং সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মানবতার স্পর্শ রেখে গেছেন।
দাপট বাড়ছে হিন্দির
মাতৃভাষা না-জানা যে সবচেয়ে বড় অশিক্ষা, এই সহজ সত্যটুকু বাঙালি ভুলতে বসেছে।
শিশুমনস্তত্ত্ব ও ভিন্ন দৃষ্টির ইতিহাস
দু'টি ভিন্নধর্মী প্রযোজনা। একটি শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে ছোটদের নাটক, অন্যটি ইতিহাসনির্ভর।
রোবট
সমরেন্দ্রের ছেলে, অনুপম, বিদেশে থাকলেও প্রযুক্তির মাধ্যমে তার বাবা-ছেলের সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে। তবে, পুরনো দিনের স্মৃতির মাঝে সমরেন্দ্র নিজের পছন্দে জীবন কাটাতে চান, আর অনুপম তার বাবার প্রতি চিন্তিত হলেও, আধুনিক দুনিয়ায় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করছে।
সুখের লাগিয়া
বইটি রচনার নেপথ্যে আছে লেখকের জীবনের অনেক দুঃসহ অভিজ্ঞতা ও তা থেকে বেরিয়ে আসার স্মৃতি। জীবন সংগ্রামের হতাশায় যারা ন্যুব্জ, তাদের ভরসা দেবে সেই আশায় লেখা হয়েছে এই বই।
আবু এব্রাহামের কার্টুন: দ্বিবিধ বাস্তব
এই প্রদর্শনীতে দর্শক হাঁটতে থাকেন ইতিহাসের বিবিধ উত্তাল দশকের স্মৃতিচিহ্নের মধ্য দিয়ে।
আবেগের স্মারকলিপিকার
শতবর্ষে রাজ কপূর। যতটা বিতর্কিত, ততটাই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাঁর ভূমিকার যথার্থ মূল্যায়ন এই সময়ে অতি জরুরি।
ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখকসত্তা
চলতি বছরের শেষ মাসের প্রথম সংখ্যা সমরেশ বসুর সাহিত্য-জীবন ও বিবিধ কর্মের এক জীবন্ত দলিল। ছ'টি লেখাই সুপাঠ্য। ‘কালকূট' ছাড়াও সমরেশ বসু 'ভ্রমর' ছদ্মনামে বারোটি উপন্যাস লিখেছিলেন ১৯৭৫-১৯৮৫ পর্যন্ত। সমরেশ বসুর শতবর্ষে ‘ভ্রমর’ বিষয়ে কিছু কথা থাকলে ভাল হত।
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।
দেখি ফিরে ফিরে
বামপন্থী ইন্টেলেকচুয়াল, নাক উঁচু প্রগতিশীল মহল থেকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে যে, বিবর শুধু অশ্লীল নয়, সাহিত্য-সমাজের জন্য অতি ক্ষতিকর। অতএব এই বই বর্জন, এই বই যে-পড়বে তাকেও বর্জন! তবে শুধু বর্জন নয়, অন্যদিকে প্রশংসাও ছিল।
মুক্তিপণ
শহরটা এই দিকটায় বেড়েছে কম।
সমরেশ বসুর সন্ধানে
‘কালকূট’ ছদ্মনামে সমরেশ বসু লিখলেন দীর্ঘ উপন্যাস কোথায় পাবো তারে। সে-ই উপন্যাসে পুরনো ঢাকার একরামপুর, নারিন্দার পুল, ডালপট্টি, দোলাইখাল, কলুটোলা, সূত্রাপুর বাজার, দোলাইখালের ওপর লোহারপুল আর গেণ্ডারিয়ার কথা আছে। বুড়িগঙ্গার কথা তো আছেই।
বিধ্বংসী পৌরুষের ভাষ্যকার
সমরেশ বসুর \"বিবর,\" \"প্রজাপতি,\" এবং \"পাতক\" উপন্যাসের অনামা নায়কদের মাধ্যমে বিষাক্ত পৌরুষের গভীর দিকগুলি উন্মোচিত হয়েছে। নারীর শরীরের উপর আধিপত্য, আগ্রাসী আচরণ, এবং সমাজের তৈরি পৌরুষের ছাঁচে পুরুষ-নারীর সম্পর্কের জটিলতা—সবই এই উপন্যাসগুলিতে জীবন্ত। আজকের টক্সিক ম্যাস্কুলিনিটির আলোচনার সঙ্গে এই চরিত্রগুলি যেন আরও প্রাসঙ্গিক।
যে-হাতের খোঁজ মেলেনি
গামার চোখে স্তালিনের প্রতিকৃতি কেবল একজন নেতার ছবি নয়; তা ছিল সাম্য, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতীক। এই আখ্যান বস্তির নিঃশ্বাসহীন ঘর থেকে বিপ্লবের মশাল জ্বালানো এক সাধারণ মজদুরের অসাধারণ গল্প।
টিকিট
এই গল্পটি একটি দূর গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া একজন হেডমাস্টারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি গ্রামে এসে স্কুলের অবস্থান ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে স্থানীয় চরিত্রদের বিভিন্ন রকম আচরণ, হাস্যরস, এবং বাস্তব চিত্রের সম্মুখীন হন। একদিকে নীহারবাবুর মতো মহৎ ব্যক্তি, অন্যদিকে তার স্বার্থপর ভাই দিবে। এই দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় শিক্ষার অবস্থা এবং ব্যক্তিগত লড়াইয়ের একটি রূপক চিত্র ফুটে উঠেছে।