ছোটদের অসুখ বিসুখে হোমিওপ্যাথি

পরামর্শে পি.সি.এম.এইচ হসপিটাল অ্যান্ড কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ আশিষকুমার শাসমল

হো -মিওপ্যাথি ওষুধ মিষ্টি হওয়ায় সহজেই বাচ্চাদের খাওয়ানো যায় এবং বাচ্চাদের অত্যন্ত প্রিয়। বাচ্চাদের অ্যাকিউট ও ক্রনিক উভয় ক্ষেত্রেই খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এখানে বাচ্চাদের কতগুলি সাধারণ অসুখ ও চিকিৎসা সম্বন্ধে আলোচনা করা হল। জ্বর: জ্বর বাচ্চাদের বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর কারণ ও লক্ষণ অনুযায়ী নিম্নলিখিত ওষুধগুলি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

১. অ্যাকোনাইট: হঠাৎ করে ঠান্ডা হাওয়া লেগে বা গায়ে ঘাম বসে যদি জ্বর আসে, সঙ্গে যদি বাচ্চা ভয় পেয়ে থাকে, মানসিক অস্থিরতা ও ঘন ঘন জল পিপাসা পায় তাহলে দিতে অ্যাকোনাইট ৩০ দেওয়া যেতে পারে।

২. ব্রায়োনিয়া: আবহাওয়ার তারতম্য বা ঠান্ডা গরমে বা অতিরিক্ত গরমে এসি ঘরে থাকা এবং যখনতখন ঘর থেকে বেরনর ফলে বা হঠাৎ করে আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংকস খেয়ে ঠান্ডা লেগে জ্বর এলে এবং বাচ্চা চুপচাপ শুয়ে থাকলে, মুখ, ঠোঁট শুকিয়ে গেলে, জল পিপাসা থাকলে এবং সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ব্রায়োনিয়া ৩০ দেওয়া যায়।

৩. বেলেডোনা: হঠাৎ করে জ্বর, চোখ, মুখ লাল হয়ে যাওয়া সঙ্গে ভুল বকার মতো উপসর্গ থাকলে বেলেডোনা ৩০ দিতে হবে।

৪. রাসটক্স: জলে বা বৃষ্টিতে ভেজার পর বা বেশিক্ষণ স্নান করার ফলে জ্বর আসলে, সঙ্গে গা, হাত, পায়ে ব্যথা ও অস্থিরতা থাকলে, জিভের ডগা লাল হয়ে গেলে রাস টক্স ৩০ দিন। এছাড়াও জেলসিমিয়াম, ইউপটেরিয়াম, আর্সেনিকাম অ্যালবাম ইত্যাদি ওষুধও ভালো কাজ করে।