ত্বকে দাগছোপ? সমাধান কীভাবে?

কারও ক্ষেত্রে ত্বকের গায়ে সাদা দাগ ভোগায়। কেউ আবার সমস্যায় পড়েন কিছু কালো দাগছোপ নিয়ে। কোন দাগ কেমন? কেন হয়? জানালেন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ সঞ্জয় ঘোষ।

ত্বকের মূল যে সমস্যাগুলো আমাদের ভাবায়, তার অন্যতম হল কয়েক রনের সাদা ও কালো দাগ। সাদা দাগের মধ্যে রয়েছে শ্বেতী, ছুলি ও পেট্রিয়াসিস অ্যালবা ইত্যাদি। কিছু জন্মদাগ বা জডুলের রংও সাদা হয়। ত্বকের এইসব দাগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা ভুল ধারণা থাকে। প্রথমে এই সাদা দাগগুলির কথাই ধরা যাক।

ভিলেন যখন সাদা দাগ শ্বেতী: ত্বকের উপর দুধসাদা রঙের যে দাগ দেখতে পাওয়া যায়, যা অসাড় নয়, এককথায় সেটাই শ্বেতী। এতে ত্বকের মেলানোসাইট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। ভারতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। একটা সময় শ্বেতীকে কেবল অটোইমিউন ডিজিজ বলে ধরা হতো। তবে ইদানীং ভারতে শ্বেতীর এই বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ হিসেবে রাসায়নিককে দায়ী করা হয়। নানা পরীক্ষা ও সমীক্ষাতেও প্রমাণিত, রাসায়নিক সামগ্রীর অতিরিক্ত ব্যবহার এই অসুখ ডেকে আনতে সক্ষম। এখনকার সময়ে চুলের ডাই, ডিওড্রেন্ট, পারফিউম, অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো শেভিং জেল, নানারকমের শ্যাম্পুর ব্যবহার বেড়েছে। এইসবের হাত ধরেই শ্বেতীর মতো অসুখও হু হু করে ড়ছে। বিশেষ করে মাথার ডাইয়ে থাকা পিপিডি (প্যারাফেনিলেনেডিয়ামাইন) শ্বেতী ডেকে আনতে পারে। এমনকী, এই উপাদানসমৃদ্ধ ডাই বাড়ির কোনও সদস্য ব্যবহার করলে ও তাঁর সংস্পর্শে কোনও শিশু এলে শিশুর শরীরেও শ্বেতী দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত স্যানিটাইজার, অ্যান্টিবায়োটিক, রঙিন মাস্কের নানা রাসায়নিক রং থেকেও শ্বেতী হয়। মেয়েদের ব্যবহৃত সিঁদুর, টিপের আঠা, জামাকাপড়ের গাঢ় রং থেকেও শরীরে শ্বেতী হতে পারে।