সরল ব্যায়ামে হোক কোলেস্টেরল কন্ট্রোল

অল্প আয়াসের ভুজঙ্গাসনে কাঁধ, কোমর, শিরদাঁড়া, পেট, হিপের মাংস পেশি ক্রমশ পুরুষ্ট হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কয়েকটি অসুখ যখন শরীরে বাসা বাঁধে তখন প্রথমদিকে রোগগুলি সম্পর্কে সেভাবে কিছু বোঝা যায় না! কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস এমন সব ক্ষতিকর উপাদান যা রক্তে বেড়ে গেলেও শরীরে কোনও উপসর্গ প্রকাশ পায় না। তবে দীর্ঘদিন ধরে রক্তে এই সকল উপাদানের বাড়বাড়ন্ত ঘটলে তখন নানাবিধ রোগ দেখা যায়। কোলেস্টেরল হল চর্বিজাতীয় পদার্থ। শরীরে বেশিরভাগ কোলেস্টেরল তৈরিই হয় লিভারে।

লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে এই ফ্যাট রক্তে মিশতে থাকে। এইভাবে দীর্ঘদিন ধরে রক্তে কোলেস্টেরল থাকার কারণে আর্টারিগুলির দেওয়ালে কোলেস্টেরল থিতিয়ে পড়তে থাকে ও জমতে থাকে। এইভাবে আর্টারির দেওয়ালে কোলেস্টরল জমে আর্টারি সরু ও শক্ত হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা হাইপারটেশনের সমস্যাও দেখা যায়।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা হাইপারটেশনের সমস্যাও দেখা যায়। প্রশ্ন হল, কেন এমন হয়? মূল কারণ হল কায়িক শ্রমের অভাব। কায়িক পরিশ্রম, তা ব্যায়াম করেও হতে পারে, আবার কর্মজনিত কায়িক পরিশ্রমও হতে পারে। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির পিছনে আরও একটি বৃহৎ কারণ হল ধূমপান। বিড়ি, সিগারেটে অত্যন্ত ক্ষতিকর কিছু পদার্থ থাকে যা রক্তে মেশে এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস-এর সমস্যা ত্বরান্বিত করে।

এই কারণেই কখনও হার্ট অ্যাটাক, কখনও সেরিব্রাল স্ট্রোকের সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায়। কীভাবে? এই যে আর্টারির অন্দরের গ্রাত্রে যে কোলেস্টেরল জমছে তাকে বলে প্লাক। এই প্লাকের সঙ্গে রক্তের অণুচক্রিকার ধাক্কা লেগে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থেকে যায়। এই জমাট রক্ত হার্টের বা ব্রেনের আর্টারিতে আটকে গিয়ে সেই আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ থামিয়ে দিতে পারে। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা। আবার প্লাকের কোনও অংশ ভেঙে গিয়ে আর্টারির মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েও ঘটতে পারে বিপদ।