হাঁটু প্রতিস্থাপনের খুঁটিনাটি জানুন

পরামর্শে বেলভিউ ক্লিনিকের অর্থোপেডিক সার্জেন ডাঃ সন্তোষ কুমার

- লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়

একটা সময় অবধি ছুটে বেড়িয়েছেন পরিতোষ হাজরা। ব্যবসার প্রয়োজনে হিল্লিদিল্লি করেছেন। এখন ষাট হতেই হাঁটু জানান দিতে শুরু করেছে। প্রথমে সিঁড়ি ভাঙতে গেলে হাঁটুতে একটুআধটু সমস্যা হতো। ব্যথা হতো। পরে এই ব্যথা বেড়েছে। একটা সময় তো এমন এল যে বেশিক্ষণ হাঁটলে এমনকী, দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁটুতে ব্যথা হয়। ধীরে ধীরে হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়। নানা ওষুধ, ব্যায়াম কোনও কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। তখনই হাঁটু প্রতিস্থাপনের শরণ নিয়েছিলেন পরিতোষ। ইদানীং পরিতোষবাবুর মতো অনেকেই হাঁটু প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আবার একাংশ এই বিষয়ে বেশ শঙ্কায়। হাঁটু প্রতিস্থাপনের পর আদৌ আরোগ্য মিলবে কি না এই নিয়েও ভাবনা রয়েছে কারও কারও মনে। অনেকেই ভাবেন, হাঁটুতে একমাত্র বাত বা অস্টিওআথ্রাইটিস হলে তবেই নি রিপ্লেসমেন্ট করতে হয়। কিন্তু এই নি রিপ্লেসমেন্ট কখন প্রয়োজন? কাদের দরকার? এইসব আলোচনার আগে অসুখটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা দরকার।

নি অস্টিওআথ্রাইটিস কী? হাঁটুর বাতকে নি অস্টিওআর্থাইটিস বলে। এই বাতকে দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রাইমারি অস্টিওআথ্রাইটিস এবং সেকেন্ডারি অস্টিওআথ্রাইটিস।

প্রাইমারি অস্টিওআর্থ্রাটিস বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুরও কিন্তু বয়স বাড়ে। হাঁটুর উপর শরীরের ভার পড়ে। ব্যথা শুরু হয় ও নড়াচড়া কমে। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা বাড়ে, কারও ক্ষেত্রে কম। তবে অস্টিওআথ্রাইটিসে কমবেশি সকলেই কাবু হন। একটা সময় ছিল যখন এগুলোকে ‘বয়সকালের অসুখ' বলে মনে করা হতো। কিন্তু ইদানিং জীবনশৈলীর নানা দোষ ও ওবেসিটির কারণে ৩০-এর কোঠা পেরনোর পর থেকেই প্রাইমারি অস্টিওআথ্রাটিসের অসুখে ভুগছেন অনেকে।