‘কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবার হজম করায় না, উল্টে ক্ষতি করে’

ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। বাঙালি এসময় বাঁধনছাড়া, আগলহীন। উৎসবের মেজাজে চলে খাওয়াদাওয়াও। অনিয়ম তো হয়ই। কীভাবে তার পরেও ভালো থাকবেন? জানালেন বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাঃ সত্যপ্রিয় দে সরকার। লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়৷

• পুজোয় অনিয়ম হবেই! পুজোর পরে স্বাস্থ্যোদ্ধারের উপায় কী? •• অনিয়ম হলেও তা যেন মাত্রাছাড়া না হয়। পুজোয় অনিয়ম করব বলে সবেতেই সীমা ছাড়িয়ে ফেললে কিন্তু কোনওভাবেই ক্ষতি আটকানো যাবে না। তাই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলে রাশ টানুন। পুজো কিন্তু পাঁচদিনের। এর পর বাকি বছরটা নিজের স্বাস্থ্য ও পেটকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।

• কোনও টিপস দেবেন নাকি?

•• পুজোর অনিয়মকে কিছুটা নিয়মের মোড়কে মুড়ে ফেললে লাভবান হবেন আপনিই। যেমন, প্রথমেই মনে রাখুন চারবেলাই ভুলভাল খাওয়া নয়। দিনের একটা বা দুটো মিল বাইরে হোক, ক্ষতি নেই। কিন্তু দিনের বাকি মিল বাড়িতেই সারুন। ব্রেকফাস্ট কিছুতেই বাদ দেওয়া যাবে না। বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর কোনও খাবার দিয়ে সকালের টিফিন সারুন। এবার প্রশ্ন, তাহলে কি পুজোর দিনগুলোয় সকালের লুচি-কচুরি বাদ? বাদ দিতে পারলেই ভালো হয়। একান্ত না পারলে পরিমাণে কম খান। বাড়িতে বানিয়ে খান। চারবেলাই বাইরের খাবার নয়। বাড়িতে যে খাবার এই সময় বানাবেন, তা যতই স্পেশাল পদ হোক না কেন, চেষ্টা করুন, তেল-ঘি কম দিয়ে ও মশলা পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করে রান্না করতে। যেহেতু এই সময় খুব অনিয়ম হয়, অন্তত একটা বেলা বাইরে খান প্রায় সকলেই, তাই বাড়ির খাবার একটু হালকা রাখুন। এতে ক্ষতি কিছুটা কম হবে। তবে লিভারের রোগী হলে বা সম্প্রতি জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিংবা নানা অসুখের কারণে মশলাদার খাবার খাওয়া বারণ হলে, দু’বেলাই বাড়ির হালকা রান্না খান।