সীমাহীন বেড়ানোর বয়স

ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছেটাই বড় কথা। বয়স কখনও বাধা হতে পারে না। লিখেছেন জেরিয়াট্রিক সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার ফেলো ডাঃ ধীরেশ চৌধুরী।

কবি বলে গিয়েছিলেন ‘আমার 쉬 | এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ'। সেই কথাটি বোধহয় সবচেয়ে বেশি খাটে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে। শুধু চাওয়ায় কেন, চলাতেও আনন্দ...। ৮৬ বছরের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রমলবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে এলেন সুন্দরবন, শুধু তাই নয় বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তুলেছেন মনের আনন্দে। আশি ছুঁই ছুই প্রাক্তন বিচারপতি অরুণবাবু মাস

দু’য়েক আগে ঘুরে এলেন কাশ্মীর ও লাদাখ! শুধুমাত্র বয়সটাই বড় বিষয় নয়, উনি একজন অ্যাডভান্সড পার্কিনসনস রোগে আক্রান্ত, যদিও এক্ষেত্রে ওনার স্ত্রী ও কেয়ার গিভারদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। ৮৭ বছরের পবিত্র স্যার, প্রাক্তন উপাচার্য, এখনও বছরে প্রায় পনেরো বার বাংলাদেশ যান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একা। যাঁদের কথা বলা হল, যাঁদের গল্প করা হল তাঁরা কোনও কাল্পনিক চরিত্র নয়, বানানো গল্পও নয়। ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে এনাদের সঙ্গে আমি বহু বছর যুক্ত। বলা ভালো ওনাদের থেকে বাঁচার রসদ পাই। তাই যদি কেউ মনে করেন বয়স হয়ে গেছে তাই আর ভ্রমণের বয়স নেই, তাহলে একেবারেই ভুল ভাবছেন। বরং জীবনের এই দ্বিতীয় ইনিংসকে পুরোদমে উপভোগ করতে হলে ঘুরতে যাওয়া ভীষণ জরুরি। ভ্রমণ শুধু মানসিক আনন্দই দেয় না, শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতেও ভ্রমণের কোনও বিকল্প নেই। তবে হ্যাঁ, প্রবীণদের ভ্রমণ বা ঘোরার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদেরকে অতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ● কী কী ওষুধ বা জিনিস সঙ্গে রাখবেন: নিয়মিত যে সমস্ত ওষুধ খান সেগুলো অতি অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন।