মনের গভীরে
Sarir O Sasthya|January 2024
পরামর্শে পিয়ারলেস হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ সায়নদীপ ঘোষ।
মনের গভীরে

আমি এখন বৃদ্ধ ৬৯ বৎসর বয়স। আমার দুটি কন্যা। ওদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আমি দুটো ব্যবসা হিসেব লেখার কাজ করতাম। ব্যক্তিগত কিছু ক্লায়েন্টও ছিলেন। রোজগার খারাপ ছিল না। একজনের পরামর্শে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেতে শুরু করলাম। খুব রোগা ছিলাম। একটানা দীর্ঘ ১০ বছর খাওয়ার পর মোটা হতে শুরু করলাম। ওজন বাড়তে লাগল।

ম্যানহোলের একদিন খুব বৃষ্টি হয়েছিল। অ্যাকাউন্টস-এর কাজ সেরে বাড়ি ফিরছি। রামরাজাতলায় একটু বৃষ্টি হলেই প্রচুর জল জমে। ঢাকনা খোলা ছিল। না দেখতে পেয়ে বাঁ পা ঢুকে যায়। তারপর কয়েকজন এসে আমাকে তোলে। তখন বুঝতে পারিনি। কোনও ব্যথাও ছিল না। এরপর পা ও হাঁটু নিয়ে চলতে পারছিলাম না। ডাক্তার দেখানো হল। এক্স-রে করতে বললেন চিকিৎসক। কিন্তু এক্স-রে করেও কোনও জায়গায় ভাঙা বা চিড় ধরা পড়ল না। আমাকে পেনকিলার দেওয়া হয়। কিছু খাওয়ার ওষুধ ও ব্যথার জায়গায় লাগানোর ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও উপকার হয়নি। এটা হয়েছিল ২০১২ সালে। তখন আমার ওজনও বাড়তে থাকল। আরও মোটা হতে শুরু করলাম। ২০১৭ সালে অক্টোবরে ভোরবেলায় বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে পড়ে যাই। তিনবার চেষ্টা করেও কিছুতেই উঠতে পারিনি। তখন ওজন ৮২ কেজি। আমার স্ত্রী ছুটে আসে কিন্তু তুলতে পারে না। আর আমিও কোমর নিয়ে উঠতে পারছিলাম না। মেঝেতেই সারাদিন শুয়ে থাকার পর ওরা পাড়া-প্রতিবেশীদের এনে কোনওরকমে বিছানায় তুলল। এরপর কিছুই খেতে পারছিলাম না। তিন মাস জলীয় জিনিসের সঙ্গে ওষুধ খেতে হয়েছিল। এরপর তিন মাস পরে ওজন কমতে চার পাওয়ালা স্টিক কিনে বাথরুম ও ঘরের মেঝেতেই এঘর ও ঘর যাওয়া শুরু করলাম। এইভাবে তিনটে বছর গৃহবন্দি ছিলাম। না পেরেছি দোতলার সিঁড়িতে উঠতে না পেরেছি নীচে নামতে। প্রকৃতি কী বস্তু, দেখতে পারিনি তিন বছর। এখন ওজন কমে হয়েছে ৭০ কেজি। শরীরও একটু হালকা হয়েছে। একটুআধটু বেরচ্ছি।

কিন্তু সব কাজ চলে গেছে। এখন পুরোপুরি বেকার। একটা পয়সাও রোজগার নেই। দুই মেয়েই সংসার চালাচ্ছে। ভাগ্নেও কিছু দেয়। নীচে একটা আলাদা ঘর আছে। ওটা থেকে ভাড়া পাই মাসে ৩৫০০ টাকা। এবার একটা কথা বলি, যেটা আসল সমস্যা।

この記事は Sarir O Sasthya の January 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

この記事は Sarir O Sasthya の January 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

SARIR O SASTHYAのその他の記事すべて表示
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
Sarir O Sasthya

ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?

পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ

time-read
3 分  |
October 2024
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
Sarir O Sasthya

দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই

পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত

time-read
2 分  |
October 2024
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
Sarir O Sasthya

সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি

পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য

time-read
5 分  |
October 2024
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
Sarir O Sasthya

গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়

পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল

time-read
3 分  |
October 2024
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
Sarir O Sasthya

বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি

পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস

time-read
3 分  |
October 2024
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
Sarir O Sasthya

ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?

পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু

time-read
3 分  |
October 2024
নজর থাক শিশুর চোখে
Sarir O Sasthya

নজর থাক শিশুর চোখে

সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।

time-read
2 分  |
October 2024
নিখরচায় নকল চোখ!
Sarir O Sasthya

নিখরচায় নকল চোখ!

বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।

time-read
3 分  |
October 2024
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
Sarir O Sasthya

কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?

বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।

time-read
2 分  |
October 2024
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
Sarir O Sasthya

কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?

জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়

time-read
2 分  |
October 2024