বেল’স পলসি

হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।

বড়দের স্ট্রোক হয় শুনেছি। আমাদের পাড়ায় তো পনেরো বছরের মেয়েটারও স্ট্রোক হয়েছে। কী দিনকাল পড়ল বলুন দেখি! চেম্বারের বাইরে জমে থাকা ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন বললেন অপর কোনও এক অপেক্ষমাণ রোগীর উদ্দেশে।

চেম্বারের ভিতরে বিভিন্ন রোগের বিবিধ বর্ণনা শোনার মাঝেই কথাগুলো কানে এসেছিল। সহকারীকে ডেকে ভদ্রলোককে ভিতরে ডেকে পাঠালাম।

আমার কথার উত্তরে ভদ্রলোক বর্ণনা দিলেন, গত পরশু থেকে পাশের বাড়ির মেয়েটার স্ট্রোক হয়েছে। মুখ একদিকে বেঁকে গিয়েছে। ক্রমাগত লালা ঝরছে মুখ থেকে। একটা চোখ তো নষ্টই হয়ে গিয়েছে বোধহয়। কিছুতেই ওই চোখ বন্ধ করতে পারছে না। ভদ্রলোকের বর্ণনা শুনে ঈষৎ চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, শরীরের বাকি অংশে কিছু হয়নি? —না, আমাদের গ্রামীণ চিকিৎসক বললেন, ফেস স্ট্রোক হয়েছে, কলকাতা যেতে হবে। সিটি স্ক্যান করতে হবে।

গরিব পরিবার। ওদের তো মাথায় হাত! ভদ্রলোকের কথা শুনে বললাম, একবার আমার চেম্বারে আনতে বলতে পারেন। বিনা পারিশ্রমিকে একবার দেখে নিতাম না হয়। আমার কথা শুনে ভদ্রলোক তৎক্ষণাৎ ফোন ঘুরিয়ে ডাকলেন মেয়েটিকে। সকালের চেম্বারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেয়েটি এল না।