সাধারণ মাথাব্যথা সারান আয়ুর্বেদিক ভেষজে

পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র

- লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনও সময়, কোনও না কোনও বয়সে মাথা ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। দেখা গিয়েছে মাথাব্যথা অন্য কোনও রোগের উপসর্গ হিসেবেই বেশি প্রকাশিত হয়। আবার মাথাব্যথা নিজেই একটি সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। অন্যান্য অসুখ বলতে প্রথমেই অতিপরিচিত রোগটির কথা বলা দরকার সেটি হল সাইনুসাইটিস।

সাইনুসাইটিস: কোনও ব্যক্তির সাইনুসাইটিস হলে অনেকগুলি লক্ষণের মধ্যে অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল মাথা ব্যথা। চার জোড়া সাইনাস আছে আমাদের করোটিতে। ফ্রন্টাল সাইনাস যা থাকে কপালে, তার নীচে এথময়ডাল সাইনাস, এছাড়া থাকে স্কিনয়েড সাইনাস আর বেসমেন্টে থাকে ম্যাক্সিলারি সাইনাস, যা গালের হাড় বা ম্যাক্সিলার সাথে সম্পর্কিত। সাইনাসগুলোর ভিতরে থাকে মিউকাস মেমব্রেন বা শ্লেষ্মক ঝিল্লি। এই ঝিল্লি বা কলাতে থাকে নানা মিউকাস গ্ল্যান্ড। এদের নিঃসরণ নাক দিয়ে বের হয়ে যায়। সাইনাস শ্বাসপথের রোগ জীবাণুকে দূরে রাখে। করোটিকে হালকা রাখে, যাতে দেহ সহজেই মাথাকে বইতে পারে। স্বরকে মিষ্টি করে। বাইরের আঘাত থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। শ্বাসপথের বায়ুকে উষ্ণ এবং আর্দ্র রাখে। কোনওভাবে রোগজীবাণু সাইনাসে প্রবেশ করলে সাইনাসে সংক্রমণ হয় ও সাইনাস অবরুদ্ধ হয়ে যায়। বায়ুকুঠুরিতে তৈরি হয় প্রদাহ।

প্রদাহের কারণে হয় সাইনুসাইটিস অসুখটি। সাধারণত আধুনিক চিকিৎসায় নাকে ড্রপ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় মাথা যন্ত্রণা ও সর্দি কমানোর ওষুধও। তবে ওষুধগুলি কখনওই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন বা সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান নয়।