তিন বেলায় ওজন কমানোর সেরা রেসিপি!

পরামর্শে রুবি জেনারেল হাসপাতালের জেনারেল হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান স্বাগতা মুখোপাধ্যায়

- লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

আমাদের ধারণা ওজন কমানোর ডায়েট মানেই বিস্বাদ ট্যালটেলে ঝোল! মোটেই তা নয়। আমাদের হাতের কাছেই অসাধারণ সব খাদ্যের বিকল্প আছে যা ঘুরিয়েফিরিয়ে সকাল, দুপুর, বিকেলে খেলে স্বাদেরও হেরফের হয় না, আবার ওজনও কমে তরতরিয়ে।

ওজন বা ভুঁড়ি কমাতে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য যে খাবারই নির্বাচন করুন না কেন, তা যেন সুষম হয়। না হলে ওজন কমাতে গিয়ে পুষ্টির সঙ্গে আপস করতে হবে যা মোটেই কাম্য নয়। আবার এই যে আমরা রেসিপি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, সেই রেসিপির প্রস্তুতির তবে মাছ, চিকেন, ডিম বা সয়াবিন, ডাল, দুধের মধ্যেও খানিকটা হলেও ফ্যাট থাকে। সেই ফ্যাট শরীরের জন্য যথেষ্ট। তাই ব্রেকফাস্ট অয়েল ফ্রি থাকলেই ভালো। তাই সকাল সকাল অয়েল ফ্রি স্মুদি খেলে তা ওজন ঝরাতে অত্যন্ত উপকারে আসতে পারে।

শসা আর দই-এর স্মুদি: প্রধান উপাদান হল শসা। এমনকী শসার খোসা না ছাড়ালেও চলবে। শুধু দুই দিকের মাথা ছাড়িয়ে একটু আঠা বের করে নিতে হবে। এরপর শসা, টক দই, কাঁচা আমলকী, দানা বাদ দেওয়া টম্যাটো, ধনেপাতা বা পুদিনা পাতা একসঙ্গে মিক্সার গ্রাইন্ডারে একবার ঘুরিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। গরম কালেও এই স্মুদি অত্যন্ত উপাদেয় কারণ পুদিনাপাতা ও দই-এর যুগলবন্দি পেটে একটা ঠান্ডাভাব নিয়ে আসে। এছাড়া স্মুদিতে প্রচুর জল থাকে। তাই বডি কুলিং এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে। সম্ভব হলে গ্লাসে ঢেলে খাওয়ার আগে গোটা চারটে চীনাবাদাম বা কাজুবাদাম যোগ করতে করতে পারেন। এছাড়া স্মুদিকে আরও স্বাদু করে তোলার জন্য তার মধ্যে দেওয়া যায় চাট মশলা, রক সল্ট ইত্যাদি। প্রশ্ন হল এহেন স্মুদি খেয়ে কী লাভ? একাধিক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে এই স্মুদিতে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি হয় না। তার সঙ্গে প্রচুর ফাইবার থাকায় দ্রুত ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। তবে এই স্মুদি তৈরিতে ফ্যাট ফ্রি দই ব্যবহার করাই ভালো।