বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী

ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট লিগেও দল কিনেছেন। শুধু খেলার জগৎ নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও নজর রয়েছে শাহরুখ খানের।

কো ন বাণিজ্যে নিবাস তোমার কহো আমায় ধনী’... ঠিক এমনটিই যেন বাস্তব বলিউড সেলেবদের ভাগ্যরেখায়। কথায় আছে চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। গ্ল্যামার দুনিয়ার ক্ষেত্রে এ কথাটি আরও খাঁটি। আসন সবসময় টলমল। আজ মাথায় সাফল্যের মুকুট, তো কাল সবটাই অতীত!

আজ যে রাজা কাল সে ফকির... সেলেবদের বাড়ি-গাড়ি সবকিছুই রাজকীয়। যাপনরেখা এতটাই আকাশছোঁয়া যে সেই খরচ সামলাতে রীতিমতো মোটা টাকার দরকার। দিন বদলেছে। একটা সময় ছিল যখন স্টাররা দু’হাতে খরচ করে শেষ বয়সে প্রায় ঠাঁইনাড়া অবস্থায় কাটাতেন। হালফিলের ফ্রন্টলাইনের অভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেকেই অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নানারকম ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন। শাহরুখ খান, সলমন খান, অনুষ্কা শর্মা— কে নেই এই তালিকায়। ক্যাটরিনা কাইফ তো আবার ফ্যাশন দুনিয়ায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কেউ কেউ আবার খুলেছেন রেস্তরাঁ।

ফিল্ম দুনিয়ায় সবকিছুর মধ্যমণি বিগ বি। সে টেলি শোএর অ্যাঙ্কারিং হোক বা প্রোডাকশন ব্যবসা। এবিসিএল দিয়ে শুরু। যদিও এবিসিএল-এর ঋণের বোঝায় একসময় পথে বসেছিলেন অমিতাভ। সেই ধাক্কা সামলে ইদানীং একাধিক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে

বিগ বি সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ‘জিন্দু’তে প্রায় ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। এই ক্লাউড স্টোরেজ কোম্পানি ছবি-ভিডিয়ো-ডকুমেন্ট ডিজিটালি সংরক্ষণ করে। এছাড়াও একাধিক ম্যাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে তাঁর। ফিনোটেক্স কেমিক্যালস, নিউল্যান্ড ল্যাবরেটরিজ ও বিড়লা প্যাসিফিক মেডস্পাতে তাঁর বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আছে। একটি সার্চ ইঞ্জিনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্ট্যামপিড ক্যাপিটালেও তাঁর শেয়ার আছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ হাজার শেয়ারের মালিক অমিতাভ। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর খাতায় নিজের নাম তুলেছেন শাহেনশা। সঙ্গী বলিউডের প্রযোজক ও পরিবেশক আনন্দ পণ্ডিত।