গোয়ারিঘাট আর ভেড়াঘাটের পথে
Saptahik Bartaman|30 March 2024
শুনে ভাবলাম চা শুরু হয়েছে। বেরিয়ে এসে দেখি বাস রিজার্ভ করে অন্য দল এসেছে। আমরা যাওয়ার তাই আমরা ব্রাত্য। ওদের খাতির যত্ন হচ্ছে। পুরো ডাইনিংয়ের দখলে ওরা।
রমেশ দাস
গোয়ারিঘাট আর ভেড়াঘাটের পথে

লুদ রঙের বাসটা দাঁড়িয়ে রয়েছে জবলপুর রেল স্টেশনের বাইরে। যাবে ভেড়াঘাট। সামনের দিক থেকে সব সিট আমাদের দখলে। আমরা দলে ২১ জন। হাওড়া স্টেশন থেকে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে দুপুর ১.১০-এ শুরু হল যাত্রা। ট্রেনের ডেস্টিনেশন জব্বলপুর।

ভোরে কখন পেরিয়ে এসেছি চৌপান। গাড়ি চলেছে সিংগ্রৌলির দিকে। আবছা আলো আঁধার পেরিয়ে এসেছি অচেনা এলাকা। রাত দশটার পর খেয়ে শুয়ে পড়া। সকালে মালভূমিকে দেখে, অস্বচ্ছ কাচে বিরক্তিকর লাগে। শিশিরের জল গড়িয়ে নামে কাচ বেয়ে। হালকা জঙ্গল, তার মধ্যে মাটির পায়ে চলা রাস্তা, ছোট বড় স্টেশন, কোথাও অনেকগুলো লাইন, কোথাও কম। ডালটনগঞ্জ ছাড়িয়ে তবেই চৌপান। ঝাড়খণ্ডের পর সামান্য হয়তো বিহার। তারপরে সিংগ্রৌলিতে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ।

এইসব পথ আগে ছিল জঙ্গি অধ্যুষিত সন্ত্রাসের অঞ্চল। হামেশাই রেল ডাকাতি হতে শোনা যেত। একবার ম্যাক্লাস্কিগঞ্জ এসেছিলাম। এখানকার লালমাটির পথ হাতছানি দেয়। হাই টেনশন লাইন আর ঝাঁটি জঙ্গল দূরে দূরে। স্টেশনগুলোতে মানুষজন নেই, বসার জায়গা, টিকিট ঘর, শৌচালয় সব পরিপাটি। চড়াই উতরাই পথ। পুরোপুরি প্রকৃতির স্নেহচ্ছায়ায়। মনোরম প্রকৃতি বর্ষার পর রুক্ষতার দিকে এগচ্ছে। ছোট ছোট সব নদী পেরিয়ে চলছি। স্বল্প জল বা শুকানো নদী। কিন্তু নদীখাতের গভীরতা বেশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে এল কাটনি জংশন। খাবার কিছু উঠছে না। সেই ভোরে চা খেয়েছি। পৌনে ৯টায় প্রাতরাশ, গত রাতের উদ্বৃত্তটা। বুদ্ধি করে ভাগ্যিস রেখেছিল সঙ্গী। খিদের মাথায় ব্যাগের শুকনো খাবার বেরচ্ছে। কাটনিতে কিছু পাওয়ার আশায় নামি। একটা পেটিতে পুরিসব্জির ওপর হামলে পড়ে বুভুক্ষু যাত্রী। এমন অবস্থায় ট্রেনের বাঁশি শুনে দৌড়।

শিহোরা রোড ছেড়ে দিলে শুরু করি নামবার তোড়জোড়। আর ৪০ মিনিটের মতো লাগবে। এখানে বিস্তৃত খোলামেলা প্রকৃতি। প্রশস্ত স্টেশন, রেল লাইন, সাইডিং, ইয়ার্ড। যাত্রীবাহী গাড়ি কম। তাই হয়তো হকার কম।

৩.২০-তে জব্বলপুর স্টেশনে নামা হল। এসক্যালেটর চড়ে স্টেশনের বাইরে এসে দেখি ছোট রেলের একটা ক্যারেজ রাখা মডেল হিসেবে বাইরের চত্বরে।

জাবালির ঋষির নাম অনুসারে মধ্যপ্রদেশের এই অংশের নাম হয়েছ জব্বলপুর। জাবালি ঋষি এই স্থানে নর্মদা নদীর তীরে বসে তপস্যা করেছিলেন।

この記事は Saptahik Bartaman の 30 March 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

この記事は Saptahik Bartaman の 30 March 2024 版に掲載されています。

7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。

SAPTAHIK BARTAMANのその他の記事すべて表示
দুধ, দই, ঘি, মাখন ও ছানা কীভাবে খাবেন?
Saptahik Bartaman

দুধ, দই, ঘি, মাখন ও ছানা কীভাবে খাবেন?

তবে ল্যাকটোজ হজমের সমস্যা যাঁদের আছে তাঁদের ছানা দেওয়া যাবে না।

time-read
7 分  |
29 June 2024
শিশুর জন্য মায়ের দুধ নাকি কৌটোর দুধ?
Saptahik Bartaman

শিশুর জন্য মায়ের দুধ নাকি কৌটোর দুধ?

শেষকথা মায়ের দুধেই সুস্থ শিশু, সুস্থ সমাজ গঠন করা সম্ভব। লেখক: ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

time-read
5 分  |
29 June 2024
আয়ুর্বেদে দুধের গুরুত্ব!
Saptahik Bartaman

আয়ুর্বেদে দুধের গুরুত্ব!

বে দই ও ঘোল যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, পিত্তস্থলী, পেটের রোগে পথ্য হলেও আর্থ্রাইটিস রোগে অপথ্য

time-read
5 分  |
29 June 2024
বিকল্প দুধেও আছে পুষ্টি
Saptahik Bartaman

বিকল্প দুধেও আছে পুষ্টি

এছাড়া ভিটামিন ই থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী। কারণ ত্বকের কোষের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র‍্যাডিকেলসকে ধ্বংস করে ভিটামিন ই

time-read
3 分  |
29 June 2024
বারান্দা
Saptahik Bartaman

বারান্দা

নিচু হয়ে ফুলদুটি তোলে মানস। মায়ের পোঁতা গাছ। ফুল গালে বোলায়। মায়ের স্পর্শ যেন মানস সিঁড়ি ভেঙে ওঠে। নিঃশব্দ বারান্দাটা কোল পেতে রয়েছে তারই অপেক্ষায়।

time-read
6 分  |
29 June 2024
স্বর্গের সম্মুখে কার্তিক স্বামী মন্দির
Saptahik Bartaman

স্বর্গের সম্মুখে কার্তিক স্বামী মন্দির

দেখতে দেখতে সূর্যদেব ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে হতে একসময় দৃষ্টির অগোচর হলেন।

time-read
4 分  |
29 June 2024
পাখির খোঁজে লাটপাঞ্চারে
Saptahik Bartaman

পাখির খোঁজে লাটপাঞ্চারে

আর যারা পাখি প্রজাপতি পাগল তাঁদের কাছে প্রতি বছর গেলেও নতুন কিছু পাবেন এমনটা জোর দিয়ে বলাই যায়।

time-read
5 分  |
29 June 2024
ইউরোপে ছড়াচ্ছে অশান্তি!
Saptahik Bartaman

ইউরোপে ছড়াচ্ছে অশান্তি!

তখন মস্কোর সামনে টিকে থাকার সামর্থ্য হারাবে কিয়েভ ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ডানপন্থীদের উত্থান এবং ইউরোপের নতুন অশান্তিতে চওড়া হচ্ছে পুতিনের হাসি !

time-read
2 分  |
29 June 2024
দ্বারকানাথের ঘড়ি
Saptahik Bartaman

দ্বারকানাথের ঘড়ি

১৯৫১ সাল, চলে গেলেন অবনীন্দ্রনাথ। তবে তাঁর চলে যাওয়ার সময়টি দ্বারকানাথের ঘড়ি ধরে রাখতে পেরেছিল কি না জানা নেই।

time-read
4 分  |
29 June 2024
রূপকথার ১৯৮৩
Saptahik Bartaman

রূপকথার ১৯৮৩

কপিলদের বিশ্বজয়ের স্মৃতি ঝাপসা হয়নি একটুও। কে জানে, প্রথমবার বিশ্বজয় বলেই হয়তো আবেগ তুঙ্গস্পর্শী!

time-read
2 分  |
29 June 2024