রাত্রি বারোটায় শীত জড়ানো মাঘের রাতে মন্দির চত্বরে | তখন আর কোনও জনমনিষ্যি নেই, কেবল একজন • ঢাকি ছাড়া। মানুষটির কাঁধে ঢাক, চোখে কাপড় বাঁধা, সামনে দেবীর মূর্তি। রাত বারোটা বাজতেই ঢাকে কাঠি দেন তিনি। ধীরে ধীরে লয় বাড়ে, শুরু হয় নৃত্য। একটি মেয়েও যেন নেচে চলে তাঁর সামনে, টানা ত্রিশ মিনিট ধরে। কিন্তু তাকে কেউ দেখতে পায় না। শুধু ঢাকি বুঝতে পারেন একজন মেয়ে নাচছে। স্থানীয় এই প্রথার নাম 'নিশিচম্বুল' প্রথা, যেখানে একজন ঢাকিকে চোখ বেঁধে দেবী মায়ের মূর্তির সামনে বেশ কিছুক্ষণ ঢাক পরিবেশন করতে হয়, সম্পূর্ণ একাকী। স্থানটি বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত ক্ষীরগ্রাম। সে গ্রামের লীলাময়ী দেবী যোগাদ্যা । ঢাকি নিজে ঢাক বাজালেও মায়ের নৃত্য দেখা নিষেধ, কিন্তু অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তিনি অনুভব করতে পারেন ঢাকের বোলের সঙ্গে মায়ের সেই নৃত্যরত রাঙাচরণের তাল। একদা অমাবস্যা তিথিতে মায়ের নিকট নরবলিও হতো। আজ যদিও বলি সমাপ্ত হয়েছে, তবে নররক্ত নিবেদন ব্যতীত মায়ের পুজো সম্পন্ন হয় না। বর্তমান দেবীর মূর্তিটি নির্মাণ করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মূর্তি নির্মাতা নবীন ভাস্কর। প্রতি বছর বৈশাখ সংক্রান্তিতে মহাপুজোর দিন দূরপ্রান্ত থেকে আগত অগণিত ভক্তজন একদিনের জন্য ক্ষীরদিঘির জলতল থেকে উত্তোলিতা অপরূপা প্রস্তরময়ী প্রতিমা দর্শন ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে পরমতৃপ্তি লাভ করে ধন্য হন। দেবী যোগাদ্যা প্রতিমার অপূর্ব দিব্যদ্যুতি যুগ যুগ ধরে ভক্তদের মুগ্ধ করে। গোটা বাংলায় সর্বত্র এই দেবীর পুজোও যে ধুমধাম করে হয় তা নয়। কিন্তু আজও বর্ধমান ও আরও অনেক স্থানে নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে পূজিতা দেবী যোগাদ্যা। একটি লৌকিক গাথাও আছে এই দেবীকে ঘিরে। সেই কাহিনিতেই নিহিত রয়েছে দেবীত্বের অন্দরে মাতৃশক্তির অবস্থানের এক অনুপম রূপ। বর্ধমানের ক্ষীরগ্রাম থেকে দেবী যোগাদ্যার আবির্ভাব বার্তা সূচিত হয়েছিল।
この記事は Saptahik Bartaman の 03 August 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Saptahik Bartaman の 03 August 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
ম্যাচ ফিক্সিং ও ক্রিকেট!
শয়তানের মা (১ম ও ২য় পর্ব) ৷৷ কৌশিক দাশ ৷৷ শপিজেন বাংলা ৷ দাম যথাক্রমে ৩০০ ও ৩২০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
শব্দের চাবুক পাঠকের জন্য
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্পে ধরা পড়ে মানুষের জীবনযন্ত্রণা, প্রতিবাদ, আর সমাজের তীক্ষ্ণ বাস্তবতা। তাঁর কলমে কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞান চেতনা, জমি থেকে রাজনীতি—সব কিছুই যেন রূপকথার মতো বোনা। ‘গল্প সমগ্র’ সংকলনের প্রতিটি গল্প আমাদের ভাবায়, নতুন দুনিয়া দেখায়।
মহাবিশ্বের অজানা তথ্যভাণ্ডার
মহাবিশ্বের জানা অজানা কথা\" বইয়ে লেখক কৌশিক রায় আমাদের মহাবিশ্বের অসংখ্য রহস্যময় তথ্য তুলে ধরেছেন। নিরাপদ শহর, ক্যাপ্টেন জেমস কুকের দুঃসাহসী অভিযাত্রা থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উন্নত প্রযুক্তি—বইটির প্রতিটি রচনা আমাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে জানায়। বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বেও সিসিটিভি প্রযুক্তি থেকে মহাকাশের প্লুটো পর্যন্ত বিজ্ঞান বিষয়ক আকর্ষণীয় আলোচনা রয়েছে।
যিনি কবি তিনিই শিক্ষক
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহটা বাঙালির মনে বেদনার স্মৃতি বয়ে আনে। উৎসবের আবহে দু'দিনের ব্যবধানে আমরা হারিয়েছিলাম দু'জন প্রিয় কবিকে—২৩ অক্টোবর ২০১২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ সালে জীবনানন্দ দাশ। বিশেষ করে এই বছর, ১২৫ বছর পূর্তিতে বিষাদময় কবি জীবনানন্দকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়। শিক্ষকরূপে তিনি যেমন সমৃদ্ধ করেছেন শিক্ষা জগতকে, তেমনই তাঁর কবিতা আজও আমাদের অনুভূতিকে নাড়া দেয়।
প্রভুর লীলা
জগন্নাথদেবের দর্শনে ছুটে যাওয়ার গল্প অনেকের জীবনেই রয়েছে। আমার বাবাও ছিলেন জগন্নাথদেবের একান্ত ভক্ত। ১৯৮২ সালে তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। পুরীতে একটি হলিডে হোম তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে জগন্নাথদেবের দর্শনে গিয়ে তিনি বিগ্রহের মুখ দেখতে পাননি।
নিঃশব্দ পাথরের কথা ভাসাই ফোর্ট
তখন এই দুর্গ বরং সবুজের রঙে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। যেমন ভাবা তেমনই চলা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে শরীরটাকে এলিয়ে দিলাম।
হিটম্যানের আতঙ্ক
লরেন্স বিষ্ণোই, পাঞ্জাবের এক সাধারণ ছাত্র নেতা থেকে উঠে আসা এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার। তার নেতৃত্বে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপরাধ কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে বলিউড তারকা সলমন খানকে হত্যার হুমকি— প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে গ্যাংটি। মুম্বইয়ের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর, কানাডা পুলিসও তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। ভারতের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র গড়ে তুলতে এই গ্যাংয়ের ক্ষমতা ও প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে কেন?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌম্য পাত্র
বিদায়ের বাজনা বাজালেন না দা ল
রাফায়েল নাদাল তাঁর কেরিয়ারের গোধূলিতে পৌঁছেছেন, আর নভেম্বরেই শেষবারের মতো টেনিস কোর্টে নামবেন। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক, বিশেষ করে ফরাসি ওপেনে অপরাজিত সাম্রাজ্য গড়ে তোলা এই ক্লে কোর্টের সম্রাট চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়েও অবিচল ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তাঁর মহাকাব্যিক লড়াই টেনিস ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
সামি রহস্য ক্রমশ দুর্বোধ্য
চোট সংক্রান্ত যাবতীয় জল্পনাকে নিখুঁত ইয়র্কারে বোল্ডই করেছিলেন যেন!