দ শ ঘণ্টা পর গুগল ম্যাপের দেখানো পথ যেখানে শেষ হল তখন ঘড়িতে রাত ন'টা। ঘন অন্ধকারে মোবাইল টর্চ জ্বেলে দু'জন অল্পবয়সি মহিলা আর এক কিশোর অপেক্ষা করছে। গাড়ি থেকে নামতেই ঠান্ডার কামড়, কাঁপতে কাঁপতে জিনিস নামিয়ে চটপট জ্যাকেট চাপিয়ে নিলাম। এখন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি। এরপর শুরু হল জঙ্গল অভিযান।
আসলে রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে মনটা একটু ছুটি চাইছিল। প্রকৃতির কোলে ঘরোয়া শান্ত পরিবেশ যদি হয় তবে বেশ হয়। খুঁজতে খুঁজতে হিমাচলের কুলু জেলার জিভিতে এমনই এক জায়গার সন্ধান পাওয়া গেল। যেখানে সবুজ অরণ্য, চঞ্চলা নদী, ঢেউ খেলানো পাহাড়, ঝর্ণা সবই আছে। ঘরে বসেই আঙুলের ছোঁয়ায় গাড়ি, হোমস্টে বুকিং হয়ে গেল। ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লাম হেমন্তের পাহাড় দেখব বলে। ছবিতে দেখেছিলাম নদীর ধারেই আমাদের থাকার জায়গা, তখন তো খুশিতে অন্য কোনও জায়গার কথা আর ভাবিনি।
এদিকে নদীর শব্দ শুনতে পাচ্ছি, সেখানে যেতে হলে প্রায় দেড় কিমি উতরাই পথে হাঁটতে হবে। মোবাইলের স্বল্প আলোয় কুড়ি মিনিট হাঁটার পর রাত দশটায় হোমস্টের ঘরে পা রাখলাম। গলা শুকিয়ে কাঠ, সঙ্গে সঙ্গে জল নিয়ে হাজির দিদি, এই হোমস্টের কেয়ারটেকার। তাঁর দেওয়া গরম আদা মিশিয়ে চা পানের পর ক্লান্তি কাটল। রাতে দিদির হাতের রুটি আর চিকেন খেয়ে সোজা বিছানায়।
গতকাল রাত থেকে যে নদীর কলধ্বনি শুনতে পাচ্ছি সকালে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সেরে নিলাম। সবুজ পাইনের জঙ্গল ভেদ করে বরফ গলা জলের যে ধারা পাথরে ধাক্কা খেতে খেতে দুরন্ত গতিতে অবিরাম বয়ে চলেছে, সেই পুষ্পাভদ্রা নদীর ধারে বসে কোথা দিয়ে যেন সময় কেটে যায়। এটি কিছু দূরে বানজারে তিরথন নদীর সঙ্গে মিশেছে। এই নদীর নামেই হোমস্টে। জিভিতে যেমন এই ধরনের হোমস্টে আছে। তেমনই আজকাল অনেক হোটেলও তৈরি হয়েছে। ব্রেকফাস্টের সময় এখানকার কেয়ারটেকার দিদি এসব গল্প আমাদের বলছিলেন।
পাহাড়ে ঘেরা সবুজ মাখা এই ঠিকানার আর এক আকর্ষণ গাছভর্তি কমলা রঙের এক ধরনের জাপানি ফল। প্রথমবার এই ফল দেখলাম, তবে খাবার উপযুক্ত হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। পাহাড়ের ধাপে ধাপে যে ফল – পাতাহীন রিক্ত আপেল গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে, মাস দুয়েক আগে লাল সেগুলো আপেলে ভরে ছিল। এইভাবে এক এক ঋতুতে প্রকৃতি কখনও লাল কখনও কমলা— আলাদা আলাদা রঙে সেজে ওঠে, আবার মাস দুয়েক পর বরফের সাদা চাদরে ঢেকে যাবে।
この記事は Saptahik Bartaman の 24 August 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Saptahik Bartaman の 24 August 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।
হীরের খোঁজে
হারিয়ে যাওয়া হীরে ৷ সম্পাদনা: সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ কমলা- গীতা-বীণা প্রকাশনী ৷৷ ২৯৯ টাকা৷ • অমিত ভট্টাচার্য
যাত্রারাজ্ঞী
আসরে বাসরে রুমা দাশগুপ্ত ৷৷ শীর্ষেন্দু মুখার্জি ৷ দে'জ পাবলিশিং (১৩, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কল-৭৩) ৷ ৩৫০ টাকা। • অরুণ মুখোপাধ্যায়
অগ্নিযুগের পাঁচ বিপ্লবী
রাজনৈতিক জগৎ আজ সেলিব্রেটিদের দখলে, কিন্তু এক সময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্বজ্জনরা। সুধীরকুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’ বইতে বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত, রাসবিহারী বসু, বাঘাযতীন, প্রফুল্ল চাকী এবং সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়কদের জীবনাবলীর এক দারুণ চিত্র এই বইয়ে।
কোজাগরী
এই গল্পের মধ্যে অতীন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। বাসে, গজদন্তী মেয়েটির সাথে সিটের জন্য বিতর্ক এবং পরবর্তীতে কেটোয়ার দিকে যাওয়ার পথে সেই মেয়েটির সঙ্গে টোটোতে আবার দেখা। নানা হাসি-মজা, ব্যঙ্গ এবং ছোটোখাটো ঝগড়ায় অতীন অস্বস্তিতে পড়লেও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশে কিছুটা প্রশান্তি লাভ করে।