যাব নেপাল। টিকিট কাটা হয়ে গেছে। ট্যুর সংস্থার সঙ্গে কথাও হয়েছে। যাওয়ার দিন এগিয়ে আসছে এদিকে শরীর বেশ ক'দিন হল সায় দিচ্ছে না। ভ্রমণ যখন হাতছানি দিয়েছে ঘরে বেঁধে রাখে কার এমন সাধ্য! তার ওপর যাব যখন নেপাল—নির্ঝঞ্ঝাট এই বিদেশ সফর, পাসপোর্ট ভিসার ঝক্কি নেই, এমন সুযোগ কেউ ছাড়ে!
অন্যদেশ ঘোরার অনেক সময় এই ভিসা পাওয়াটাই হয়ে ওঠে চিন্তার। সে দিক দিয়ে বাঙালির বিদেশ ভ্রমণের সূচনা হতেই পারে নেপাল দিয়ে। আর নেপালে পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া গেলেও ভোটার কার্ড সঙ্গে রাখতেই হবে। ঠিক করলাম এবার যাবই যাব। ধাঁ করে কেটেও নিলাম কাঠমাণ্ডুর উড়ানের টিকিট। আর নির্দিষ্ট দিনে দমদম থেকে কাঠমাণ্ডুর বিমানে চড়ে বসলাম। এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটে পৌঁছেও গেলাম ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
প্রতিবেশী দেশ দেড় লক্ষ বর্গ কিলোমিটারেরও কম আয়তনের এই রাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। রাজনীতির কচকচানি বাদ দিলে নেপাল সম্পর্কে একটা কথাই বলা যায়, দেশটি অনিন্দ্যসুন্দর। বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ স্থান।
নেপাল হিমালযয়ের কোলে দক্ষিণ এশীয় দেশ। যার সঙ্গে উত্তরে ভারতের সঙ্গে চীন এবং দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। জনগণের ৮১ ভাগই হিন্দু ধর্মের বাসিন্দা। বেশ ছোট আয়তনের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের ভূমিরূপ অত্যন্ত বিচিত্র। আর্দ্র আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল, তরাই থেকে শুরু করে সুবিশাল হিমালয়; সর্বত্রই এই বৈচিত্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়। নেপাল ও চীনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতশৃঙ্গের ৮টিই অবস্থিত। এখানেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত।
কাঠমাণ্ডুতে আমাদের বরাদ্দ মোটে তিন দিন। শহরটি নেপালের রাজধানী ও বৃহত্তম মহানগর। আয়তন ৮৯৯ বর্গকিমি। বাস করে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। শহরের পুরনো নাম কান্তিপুর। রাজা গুণকাম দেবের হাতে শহরটির পত্তন হয়। নেপালে ঘুরতে হলে কাঠমাণ্ডুতেই প্রথমে আসতে হয়। অনেকেই পাহাড় দেখার আশায় এই শহরকে তালিকায় প্রাধান্য দিতে চান না। কিন্তু ঐতিহ্য, বাণিজ্য, নানাবিধ স্থাপত্যকীর্তির নিদর্শন নিয়ে শহরটি তার আপন মহিমায় উজ্জ্বল।
শহর থেকে মাত্র ২৮ কিমি দূরে ৭ হাজার ২৩৩ ফুট উঁচু নাগরাকোট থেকে হিমশৃঙ্গগুলির অপরূপ দৃশ্য দেখা যায়। হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে হলে এই নাগরাকোটই সেরা স্পট।
この記事は Saptahik Bartaman の 21 September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Saptahik Bartaman の 21 September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।
হীরের খোঁজে
হারিয়ে যাওয়া হীরে ৷ সম্পাদনা: সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ কমলা- গীতা-বীণা প্রকাশনী ৷৷ ২৯৯ টাকা৷ • অমিত ভট্টাচার্য
যাত্রারাজ্ঞী
আসরে বাসরে রুমা দাশগুপ্ত ৷৷ শীর্ষেন্দু মুখার্জি ৷ দে'জ পাবলিশিং (১৩, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কল-৭৩) ৷ ৩৫০ টাকা। • অরুণ মুখোপাধ্যায়
অগ্নিযুগের পাঁচ বিপ্লবী
রাজনৈতিক জগৎ আজ সেলিব্রেটিদের দখলে, কিন্তু এক সময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্বজ্জনরা। সুধীরকুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’ বইতে বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত, রাসবিহারী বসু, বাঘাযতীন, প্রফুল্ল চাকী এবং সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়কদের জীবনাবলীর এক দারুণ চিত্র এই বইয়ে।
কোজাগরী
এই গল্পের মধ্যে অতীন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। বাসে, গজদন্তী মেয়েটির সাথে সিটের জন্য বিতর্ক এবং পরবর্তীতে কেটোয়ার দিকে যাওয়ার পথে সেই মেয়েটির সঙ্গে টোটোতে আবার দেখা। নানা হাসি-মজা, ব্যঙ্গ এবং ছোটোখাটো ঝগড়ায় অতীন অস্বস্তিতে পড়লেও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশে কিছুটা প্রশান্তি লাভ করে।