CATEGORIES
Kategorier
ম্যাচ ফিক্সিং ও ক্রিকেট!
শয়তানের মা (১ম ও ২য় পর্ব) ৷৷ কৌশিক দাশ ৷৷ শপিজেন বাংলা ৷ দাম যথাক্রমে ৩০০ ও ৩২০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
শব্দের চাবুক পাঠকের জন্য
স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্পে ধরা পড়ে মানুষের জীবনযন্ত্রণা, প্রতিবাদ, আর সমাজের তীক্ষ্ণ বাস্তবতা। তাঁর কলমে কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞান চেতনা, জমি থেকে রাজনীতি—সব কিছুই যেন রূপকথার মতো বোনা। ‘গল্প সমগ্র’ সংকলনের প্রতিটি গল্প আমাদের ভাবায়, নতুন দুনিয়া দেখায়।
মহাবিশ্বের অজানা তথ্যভাণ্ডার
মহাবিশ্বের জানা অজানা কথা\" বইয়ে লেখক কৌশিক রায় আমাদের মহাবিশ্বের অসংখ্য রহস্যময় তথ্য তুলে ধরেছেন। নিরাপদ শহর, ক্যাপ্টেন জেমস কুকের দুঃসাহসী অভিযাত্রা থেকে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উন্নত প্রযুক্তি—বইটির প্রতিটি রচনা আমাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে জানায়। বিজ্ঞান ও মহাবিশ্বেও সিসিটিভি প্রযুক্তি থেকে মহাকাশের প্লুটো পর্যন্ত বিজ্ঞান বিষয়ক আকর্ষণীয় আলোচনা রয়েছে।
যিনি কবি তিনিই শিক্ষক
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহটা বাঙালির মনে বেদনার স্মৃতি বয়ে আনে। উৎসবের আবহে দু'দিনের ব্যবধানে আমরা হারিয়েছিলাম দু'জন প্রিয় কবিকে—২৩ অক্টোবর ২০১২ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ সালে জীবনানন্দ দাশ। বিশেষ করে এই বছর, ১২৫ বছর পূর্তিতে বিষাদময় কবি জীবনানন্দকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়। শিক্ষকরূপে তিনি যেমন সমৃদ্ধ করেছেন শিক্ষা জগতকে, তেমনই তাঁর কবিতা আজও আমাদের অনুভূতিকে নাড়া দেয়।
প্রভুর লীলা
জগন্নাথদেবের দর্শনে ছুটে যাওয়ার গল্প অনেকের জীবনেই রয়েছে। আমার বাবাও ছিলেন জগন্নাথদেবের একান্ত ভক্ত। ১৯৮২ সালে তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। পুরীতে একটি হলিডে হোম তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে জগন্নাথদেবের দর্শনে গিয়ে তিনি বিগ্রহের মুখ দেখতে পাননি।
নিঃশব্দ পাথরের কথা ভাসাই ফোর্ট
তখন এই দুর্গ বরং সবুজের রঙে আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠবে। যেমন ভাবা তেমনই চলা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে শরীরটাকে এলিয়ে দিলাম।
হিটম্যানের আতঙ্ক
লরেন্স বিষ্ণোই, পাঞ্জাবের এক সাধারণ ছাত্র নেতা থেকে উঠে আসা এক কুখ্যাত গ্যাংস্টার। তার নেতৃত্বে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপরাধ কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে বলিউড তারকা সলমন খানকে হত্যার হুমকি— প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে গ্যাংটি। মুম্বইয়ের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর, কানাডা পুলিসও তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। ভারতের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র গড়ে তুলতে এই গ্যাংয়ের ক্ষমতা ও প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে কেন?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌম্য পাত্র
বিদায়ের বাজনা বাজালেন না দা ল
রাফায়েল নাদাল তাঁর কেরিয়ারের গোধূলিতে পৌঁছেছেন, আর নভেম্বরেই শেষবারের মতো টেনিস কোর্টে নামবেন। ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক, বিশেষ করে ফরাসি ওপেনে অপরাজিত সাম্রাজ্য গড়ে তোলা এই ক্লে কোর্টের সম্রাট চোট-আঘাতে জর্জরিত হয়েও অবিচল ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে তাঁর মহাকাব্যিক লড়াই টেনিস ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
সামি রহস্য ক্রমশ দুর্বোধ্য
চোট সংক্রান্ত যাবতীয় জল্পনাকে নিখুঁত ইয়র্কারে বোল্ডই করেছিলেন যেন!
স্মরণে মননে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য
মধুসূদন মঞ্চে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হারমোনিকার উদ্যোগে এক সঙ্গীতসন্ধ্যা আয়োজিত হয়। নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা তাঁর জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। রাজশ্রী ভট্টাচার্যের নজরুলগীতি থেকে শুরু করে স্বপন সোমের হেমন্ত-সুরের গান, কল্যাণ সেন বরাটের পরিচালনায় ক্যালকাটা কয়্যারের সমবেত পরিবেশনা এবং শিশুশিল্পী সমাদৃতার নৃত্য সকলের মন জয় করে।
দেওয়ালির বক্স অফিসে টক্কর
দীপাবলিতে বড় পর্দায় হতে চলেছে দুই বিগ বাজেট ছবির মুখোমুখি সংঘাত: ‘সিংহম এগেইন’ ও ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। রোহিত শেট্টির অ্যাকশনধর্মী ‘সিংহম’ সিরিজের তৃতীয় কিস্তি এবং আনিস বাজমির হরর-কমেডি ‘ভুল ভুলাইয়া’ সিরিজের তৃতীয় পর্ব একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে। ট্রেলার নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে, আর বক্স অফিসে কে শেষ হাসি হাসবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এখনই বিয়ের “কথা ভাবছি না
বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের কাছে আজও তিনি ‘রানি রাসমণি'। বড়পর্দা-ছোটপর্দা দু'দিকই সমানতালে সামলাচ্ছেন। কেমন কাটল এবারের পুজো? নতুন কাজ থেকে বিয়ের প্ল্যান নিয়ে মুখ খুললেন টলিউড অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
কারওর প্রতি কোনও অভিযোগ ছিল না
দেবরাজ, আমার বহু দিনের বন্ধু, একজন অনন্য, সরল, নিপাট ভদ্র মানুষ। বড়পর্দা, ছোটপর্দা, ও মঞ্চে অসংখ্য কাজ করেছি আমরা। ওঁর হাসি মাখা মুখ, মার্জিত ব্যবহার আর অতুলনীয় অভিনয় প্রতিভা চিরকাল মনে থাকবে। পার্শ্ব চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কখনও কোনও অভিযোগ ছিল না ওঁর। গভীর গাম্ভীর্য আর হাস্যরসের এক অপূর্ব মিশ্রণ ছিল দেবরাজ। নিঃশব্দে, অভিমান ছাড়াই প্রিয় জগৎ থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ দেখা আর হল না, তবে প্রাণবন্ত সেই মানুষটিকে চিরদিন মনে গেঁথে রাখব।
সুগার থাকলে কিডনির অসুখ হবেই?
নিয়ম মেনে চললে কিডনির অসুখ হওয়ার আশঙ্কা কমানো যায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত। অসুখ হলেও রোগের অগ্রগতি মন্থর করা সম্ভব হয় ৷ আর হ্যাঁ, একবার কিডনির সমস্যা ধরা পড়লে হার্টের সমস্যাও আছে কি না তা দেখে নেওয়া দরকার।
কিডনির অসুখ শুরু হয়েছে বুঝবেন কীভাবে?
অথবা আলট্রাসোনোগ্রাফি করে দেখে নিতে হবে যে কিডনিতে কোনও সমস্যা হয়েছে কি না। কারণ আগে থেকে ধরা পড়লেই কিডনি রোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস রুখতে প্রাণায়ামের গুরুত্ব
সা -ধারণত দু'ধরনের ডায়াবেটিসের সঙ্গে আমরা পরিচিত— টাইপ-১ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস। তাহলে জুভেনাইল ডায়াবেটিস আদতে কী? আসলে টাইপ-১ ডায়াবেটিসই জুভেনাইল ডায়াবেটিস নামে পরিচিত। অর্থাৎ এই ধরনের ডায়াবেটিস হামেশাই দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। এই শারীরিক অবস্থার ফলে অগ্ন্যাশয় খুবই অল্প পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন করে, আবার কখনও কখনও তা উৎপাদন করতে পারে না। প্রসঙ্গত, ইনসুলিন হল এক প্রকার হরমোন, যা শর্করাকে ভেঙে রক্তপ্রবাহ থেকে কোষে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। আর এভাবেই তৈরি হয় এনার্জি। জুভেনাইল ডায়াবেটিসের উপসর্গ: বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, শিশু জন্মের পর থেকে যেকোনও সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় শিশুদের মধ্যে হঠাৎ ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেয়। অত্যধিক তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত ক্ষুধামান্দ্য, দ্রুত ওজন হ্রাস, পেটে ব্যথা, বমি, মেজাজের পরিবর্তন এবং শিশুর দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। যে কোনও ধরনের ডায়াবেটিস রুখতে প্রাণায়াম: ডায়াবেটিসের সমস্যা আজ ঘরে ঘরে। এই রোগের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, মেদবাহুল্য রোগের রমরমা। এক রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল রোগ। ডায়াবেটিসের কারণ হল শরীরে ইনসুলিন হরমোনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভাব। জুভেনাইল ডায়াবেটিস যেহেতু বাচ্চাদের দেখা যায়, সেই কারণে তাদের খুব পরিশ্রম হয় এমন আসন করানো উচিত নয়। খুব হালকা কিছু আসন নিয়মিত অভ্যাস করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই আসনগুলি করতে পারেন। অনুলোম-বিলোম: অন্যতম কার্যকরী প্রাণায়াম। এই প্রাণায়ামটি হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসকে ভালো রাখে। এ ক্ষেত্রে একটি আঙুল দিয়ে এক দিকের নাক বন্ধ রেখে অন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিন। তারপর সেই নাকটি বন্ধ করে অন্য নাকটি খুলে শ্বাস ছাড়ুন। (এক্ষেত্রে নিয়ম হল বাম নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে ডান নাক দিয়ে ছাড়া। আবার ডান নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে বাম নাক দিয়ে ছাড়ুন। শেষ পর্যায়ের নিঃশ্বাস বাঁদিকেই ছাড়তে হবে।) যোগশাস্ত্রে বলা হয়, এই প্রাণায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জানুশিরাসন: সামনের দিকে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে গোড়ালি বাঁ পায়ে রাখুন। ডান পায়ের পাতার নীচের দিকটা বাঁ ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। বাঁ পা পূর্বাবস্থায় সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকবে এবং হাঁটুর নীচের দিকটা মেঝের সঙ্গে লেগে থাকবে। এবার দু'হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। এখন কোমর থেকে শরীরের উপরাংশ নিচু করে কপাল বাঁ পায়ের হাঁটুতে এবং দুই কনুই বাঁ পায়ের দু'পাশে মেঝেতে রাখুন। বাঁ হাঁটু যেন না ভাঙে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ২০ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এবার হাত আলগা করে আস্তে আস্তে সোজা হয়ে বসুন। ডান পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। এবার বাঁ পায়ের হাঁটু ভেঙে গোড়ালি দু'পায়ের সংযোগস্থলে রেখে দু'হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ধরে কোমর থেকে শরীরের উপরাংশ নিচু করে কপাল ডান পায়ের হাঁটুতে এবং দু' কনুই ডান পায়ের দু'পাশে মেঝেতে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে পূর্বের মতো ২০ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এভাবে পা বদল করে করে আসনটি ৮ থেকে ১০ বার করুন এবং প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন। ভুজঙ্গাসন: উপুড় হয়ে মাটির উপর শুয়ে পড়ুন। পা সোজা করে রাখুন। শ্বাসপ্রশ্বাস যেন স্বাভাবিক থাকে। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকবে শরীর ঘেঁষে। আগুপিছু করে আরামদায়ক ভাবে নিজের অবস্থান ঠিক করে নিন। কপাল মাটিতে স্পর্শ চোখ বন্ধ করুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মাথা ও বুক উপরের দিকে তুলুন। ভাঁজ করা হাত পাশে থাকবে। কিন্তু চেষ্টা করবেন হাতে ভর না দিয়ে পেটসহ শরীরের নীচের অংশে ভর দিয়ে মাথা ও বুক উপরের দিকে তোলার। খেয়াল রাখবেন, নাভি যেন মাটি থেকে ৩ ইঞ্চি উপরে ওঠে। এ বার দুই হাতে ভর দিয়ে শরীর যতটা সম্ভব উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে রাখুন। এর ফলে ঘাড়ে একটু টান পড়বে। এই ভঙ্গিতে ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারেন। এই আসন করার ফলে বাচ্চার শরীরে বৃদ্ধি ভালো হবে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বলের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। উত্থান পদাসন: চিৎ হয়ে শুয়ে দু'হাত শরীরের দু'পাশে রাখুন। দু’পা জোড়া ও সোজা রেখে মাটি থেকে এক হাত উঁচুতে তুলে রাখুন। পা মাটিতে নামিয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। এই রূপ ৮-১০ বার অভ্যাস করুন। এই আসনটি কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়ের কষ্ট, লো ব্লাডপ্রেশার সারাতে, পেটের চর্বি কমাতে পেটের পেশি মজবুত করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ধনুরাসন: সটান উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দুটো হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে পায়ের পাতা যতদূর সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এবার হাত দুটো পেছনদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে দু'হাত দিয়ে দু'পায়ের ঠিক গোড়ালির উপরে শক্ত করে ধরুন এবং পা দুটো যতদূর সম্ভব মাথার দিকে টেনে আনুন। বুক, হাঁটু ও ঊরু মেঝে থেকে উঠে আসবে। শুধু পেট ও তলপেট মেঝেতে থাকবে। এবার উপরদিকে তাকান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে এবং ২০ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এরপর হাত-পা আলগা করে আস্তে আস্তে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আসনটি ২-৩ বার করুন। প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন। কপালভাতি: একটি ফাঁকা জায়গায় শান্ত হয়ে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসুন। প্রথমে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন। শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে কিছু ক্ষণ ধরে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময়ে পেট যেন ভিতরের দিকে ঢুকে আসে, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই পদ্ধতি মেনে ২০ বার শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। মিনিট খানেকের বিরতির পর ২০ বার এইভাবে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া অভ্যাস করুন। প্রথম দিকে মিনিট দুয়েক এই আসন করুন, ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন। কিডনির সমস্যায় প্রাণায়াম: দীর্ঘদিন যদি কোনও ব্যক্তি সুগারে ভোগেন, তাহলে পরবর্তীকালে তাঁর কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলি এত মৃদু হয় যে, সব সময় বোঝা যায় না। তাই আগে থেকেই কিডনির খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য খাওয়াদাওয়া নিয়ম মেনে করতে হবে তো বটেই। সেই সঙ্গে ভরসা রাখতে হবে কিছু যোগাসনেও। শরীরচর্চা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে তা নয়। কিছু যোগাসন কিডনিরও খেয়াল রাখে। যার মধ্যে রয়েছে অনুলোম-বিলোম, ভুজঙ্গাসন। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু আসন কিডনির জন্য ভালো। অর্ধপদসেতুবন্ধনাসন: প্রথমে কোনও সমতল স্থানে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার পা দুটো হাঁটুর কাছে ভাঁজ করে, উলম্ব অবস্থায় এবার কোমর উঁচু করে নীচে হাত দিয়ে এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড স্থির থাকুন। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। তারপর আসন ত্যাগ করে, ১০ সেকেন্ড শবাসনে বিশ্রাম নিন। চেয়ার সিটিং ওয়াকিং: হাতল ছাড়া চেয়ারে বসে প্রথমে ডান হাঁটু তুলে পেটের কাছে নিয়ে আসবেন, তারপর পা নামিয়ে দেবেন। আবার বাঁ হাঁটু তুলে পেটের কাছে নিয়ে আসবেন। পাশাপাশি দুটো হাতও ঘোরাবেন। এইভাবে ৮ থেকে ১০ বার অভ্যাস করুন। এই আসন করার ফলে ইনসুলিনের ক্ষরণ ভালো হয়। চেয়ার সিটিং লেগ রাইজিং: প্রথমে চেয়ারটিকে দেওয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত করুন। এরপর দু'টি পা সমতলে রেখে ধীরে ধীরে অনেকটা ওঠানোর চেষ্টা করুন। এইভাবে দুটি পা-কে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নামান। এইভাবে ৮ থেকে ১০ বার করুন। শলভাসন: চিবুক মাটিতে লাগিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। দু' হাত সোজা করে পেট ও ঊরুর নীচে পাশাপাশি এমনভাবে রাখুন যেন হাতের তালু দু'টি মাটির ওপর পাতা থাকে। হাতের তালুর ওপর চাপ দিয়ে পা দু'টিকে জোড়া অবস্থায় আস্তে আস্তে সোজা করে ওপরের দিকে যতটা সম্ভব তুলুন। পা দু'টি যেন হাঁটুর কাছে বেঁকে না যায়। দশ থেকে পনেরো সেকেন্ড এই অবস্থায় থেকে উপুড় হয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসে তিন বার অভ্যাস করুন এই আসন। কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুধামান্দ্য, কোমরের ব্যথা, সায়াটিকা, স্পন্ডিলোসিস, স্নায়বিক দুর্বলতায় ফলদায়ক। লেখক: রাজ্য যোগা কাউন্সিলের সভাপতি সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ রক্ষিত চেয়ার সিটিং ওয়াকিং: হাতল ছাড়া চেয়ারে বসে প্রথমে ডান হাঁটু তুলে পেটের কাছে নিয়ে আসবেন, তারপর পা নামিয়ে দেবেন। আবার বাঁ হাঁটু তুলে পেটের কাছে নিয়ে আসবেন। পাশাপাশি দুটো হাতও ঘোরাবেন। এইভাবে ৮ থেকে ১০ বার অভ্যাস করুন। এই আসন করার ফলে ইনসুলিনের ক্ষরণ ভালো হয়।
সুগার রোগীদের কিডনির সুরক্ষায় আয়ুর্বেদ
আয়ুর্বেদে প্রমেহ (সুগার) একটি জীবনশৈলীগত রোগ হিসেবে পরিচিত। এটি যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা হয়, তবে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যেমন চোখ, নার্ভ, হার্ট এবং কিডনি। প্রমেহের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অতিরিক্ত তেষ্টা, ঘাম, চুল ও নখের দ্রুত বৃদ্ধি, এবং বারবার মূত্রত্যাগের প্রবণতা অন্তর্ভুক্ত। আয়ুর্বেদে প্রমেহের চিকিৎসায় শারীরিক পরিশ্রম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পঞ্চকর্ম চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিক কিডনি ডিজিজের জন্য রসায়ন চিকিৎসা এবং শোধন চিকিৎসা ফলপ্রসূ।
কিডনির অসুখ হলে কী খাবেন?
একজন কিডনি রোগীর জন্য যদি সারাদিনে দেড় লিটার তরল ধরা থাকে তাহলে তাঁকে চা পানও করতে হবে ওই দেড় লিটারের মধ্যে।
মুম্বইয়ে মা ফিরছে মাফিয়ারাজ:
ভারতীয় সিনেমার পর্দায় সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের সৃষ্ট বিজয়ের চরিত্র ছিল এক অবিস্মরণীয় প্রভাব। সিনেমার গল্পে বিজয় কখনও পুলিস অফিসার, কখনও মাফিয়া ডন, কখনও এমন একজন যিনি তাঁর বাবার অসম্মান ভোলেনি। বাস্তবে, সেই চরিত্রগুলোর মতোই আজকের মাফিয়া গ্যাংয়ের শক্তিশালী প্রধান, লরেন্স বিষ্ণোই, ভারতীয় অপরাধ জগতের নতুন মুখ হয়ে উঠেছে। সেলিম খান যেখানে এক সময় সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা ছেলেদের মাফিয়া হতে দেখিয়েছিলেন, আজ তারই পুত্র সলমন খানকে হত্যার হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে একটি নতুন অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে।
যেমন খুশি সাজো
এটি একটি গল্পের অংশ, যেখানে আলপনা নামের এক তরুণী শ্যামলী এবং আশুতোষের বাড়িতে রান্না করতে আসে। আলপনা একদিকে রান্না করছিল, অন্যদিকে হাস্যরসপূর্ণ গল্প আর হাসিতে বাড়ির পরিবেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শ্যামলী এবং আশুতোষ মনে করেন যে, আলপনা তাদের জীবনে আনন্দের একটি নতুন রেশ যোগ করেছে। তবে, শ্যামলী দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন, যা তাঁর ছেলে শীর্ষের মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত। একদিন, আলপনা তার ছেলেকে নিয়ে সন্ধ্যায় আসে এবং শ্যামলী গর্বের সাথে তার শহীদ সন্তানের গল্প শোনায়, যা বাড়ির সবার মধ্যে একটি নতুন অনুভূতির সৃষ্টি করে।
এখানে আকাশ নীল
একটি বৃষ্টিভেজা বিকেলে, বিমানবিহারী আর জুঁইয়ের মধ্যে মিষ্টি কথোপকথন। চায়ের আড্ডায় ভাগ হয়ে যায় সময়, যেখানে সম্পর্কের স্নেহ, প্রগাঢ় বন্ধুত্ব এবং হারানো স্মৃতির কথা উঠে আসে। নানা ছোট ছোট আনন্দের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের গভীরতা, যেখানে জীবন, সম্পর্ক ও বয়সের কথা মিলে তৈরি হয় এক অপূর্ব রূপকথা।
লেবাননে মোসাদের প্রথম অপারেশন
এই গুপ্তহত্যার মধ্যে দিয়ে লেবাননে যে অপারেশন মোসাদ শুরু করেছিল, তা এখনও শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে কেউ জানে না!
ফ্রন্টফুটেই অ্যাসিড টেস্ট সরফরাজের
সরফরাজের ‘সিগনেচার শট’ র্যাম্পই। মহেন্দ্র সিং ধোনির হেলিকপ্টার শট, বিরাট কোহলির কভার ড্রাইভ, রোহিত শর্মার পুল, ঋষভ পন্থের একহাতের ছক্কার মতোই। বাউন্সারের বিরুদ্ধে শরীর পিছনে হেলিয়ে নেওয়া রকমারি র্যাম্প শটই তাঁর মেজাজে থাকার ইঙ্গিত।
‘পরদেশ’ ছবির সেটে শাহরুখের সাজগোজ খুঁটিয়ে দেখতাম
জি-ফাইভের ‘দ্য সিগনেচার' ছবির মাধ্যমে আবার অভিনয় জগতে ফিরলেন তিনি। অসুস্থতা থেকে কামব্যাক— মনের ঝাঁপি খুললেন অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী।
ব্রাত্য মানুষটাই একটা রেকর্ড তৈরি করে
ওটিটিতে আসছে ফেলুদার নতুন সিরিজ ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’। ব্যস্ততার মধ্যেও ধরা দিলেন 'ফেলুদা' টোটা রায়চৌধুরী। সাফল্যের আনন্দ থেকে ইন্ডাস্ট্রির প্রতি অভিমান ঝরে পড়ল তাঁর গলায়।
দেখতে এক দুই শালিক
টালিগঞ্জের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে দুই অভিনেত্রী, নন্দিনী দাস ও তিতিক্ষা দাস, যাদের মুখের অদ্ভুত মিল দেখে দর্শকরা একে অপরকে যমজ বোন ভাবতেন, এখন একসঙ্গে অভিনয় করছেন স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘দুই শালিক’-এ। এখানেও তারা যমজ বোনের চরিত্রে, তবে কাহিনির twists অনুযায়ী, জন্মের পরেই তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। দু’জনের মুখের মিলের পাশাপাশি, তাদের চরিত্রও একে অপরের বিপরীত। নন্দিনী ও তিতিক্ষা জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অভিনয় করতে এসে তাদের জন্য এটি এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা, যা বাংলার টেলিভিশন জগতে এক নতুন নজির স্থাপন করেছে।
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।