'দেশ বিতর্ক 2024' শীর্ষক নিবন্ধে (মন্তব্য, ১৭ এপ্রিল ২০২৪) বলা হয়েছে, 'এখন বাংলায় রাজনীতি মানেই দুর্নীতি, উপস্থিত দর্শকরা সহমত হলেন বিতর্কসভার মতের সঙ্গেই।' দর্শকরা সহমত হবেন এটাই স্বাভাবিক। যাঁরা এই সভার বক্তা, তাঁরা মূলত এই ব্যবস্থার অভ্যন্তরে এই ব্যবস্থাকে কমবেশি মান্যতা দিয়ে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করেন কিংবা যাঁরা করেন তাঁদের অনুগামী। এর বাইরেও এক অন্য রাজনীতি আছে, যে-রাজনীতি উচ্চ হৃদয়বৃত্তির সন্ধান দেয়, উচ্চ হৃদয়বৃত্তির চর্চা করে। যে-রাজনীতি মনে করে রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতাসীন হওয়া নয়, মানুষের চিন্তা-চেতনা-চরিত্রকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার অন্যতম হাতিয়ার হল রাজনীতি। সে রাজনীতি ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিংহ, সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের আদর্শকে গ্রহণ করার, তাঁদের ধারাবাহিকতায় নিজেদের যুগোপযোগী করে, পরিবর্তিত করার সংগ্রামে নিয়োজিত। যে কারণেই হোক, এই বিতর্ক সভায় সে রাজনীতি তুলে ধরার মতো নেতার প্রবেশের সুযোগ ঘটেনি। ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতার কাছাকাছি আছেন এমন মানুষজনের রাজনীতির বাইরেও বৃহত্তর যে-রাজনীতি আছে, তার প্রতিনিধিদের এই বিতর্ক সভায় আহ্বান করা হলে একটা অন্য ছবি হয়তো পাওয়া যেত। সমাজের উপরতলার মানুষেরাই কেবল রাজনীতি বোঝেন, তার বাইরে থাকা মানুষ যাঁদের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই তাঁরা রাজনীতির কিছুই বোঝেন না এই ধারণা ভেঙে গিয়ে একটা ভিন্ন মানচিত্র ফুটে উঠত। গৌরীশঙ্কর দাস, খড়গপুর-৭২১৩০১
দুই - 'দেশ বিতর্ক 2024' শীর্ষক নিবন্ধটি পড়ে জানা গেল যে, সেদিন বিতর্কসভায় উপস্থিত অধিকাংশ দর্শকদের সমর্থন বিতর্কের বিষয় ‘এখন বাংলার রাজনীতি মানেই দুর্নীতি'র পক্ষে ছিল। বিষয়টি এমনই যেন অন্য কোনও রাজ্যে বা সরকারে দুর্নীতি নেই বা সেখানকার প্রশাসন সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। শুধু মাত্র বাংলার রাজনীতিতেই যেন যত দুর্নীতি! বরং সভার বিতর্কের বিষয় ‘এখন রাজনীতি মানেই দুর্নীতি' হলে বোধহয় আরও অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হত এবং তাতে ভারতীয় রাজনীতির সামগ্রিক চেহারাটা নবীন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের কাছে তাল ধরা যেত।
Denne historien er fra May 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra May 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।