ভ্যান গখ-এর আঁকা তারাভরা আকাশের ছবিটি কে না দেখেছে? কত কবিতা আর গানের অনুপ্রেরণার উৎস এই ছবিটি! আজকালকার মিমের কথা নাহয় বাদই দিলাম। গবেষণা প্রবন্ধ, এমনকি গোটা বইও লেখা হয়েছে এই ছবি নিয়ে। নানাধরনের ব্যাখ্যা হাজির করেছেন শিল্পইতিহাসবিদরা। ছবিতে তারাগুলোর চারদিকে গোল চিহ্নগুলোর সঙ্গে অনেকে বায়ুমণ্ডলের হাওয়ার আবর্তের সম্পর্কও খুঁজেছেন। কেউ আবার সেগুলোকে ধরেছেন শিল্পীর সেই সময়কার মনের অবস্থার প্রতিফলন হিসেবে। কারণ, ভ্যান গখের সেই সময়কার আস্তানা ছিল মানসিক রোগীদের এক হাসপাতাল। সেটা ছিল উত্তর ফ্রান্সে প্রভঁস অঞ্চলের সাঁ-রেমি গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর বছরখানেক আগে আঁকা এই ছবিটি। অনেকের মতে ভ্যান গখের তখনকার মানসিক অবস্থা এবং হতাশার প্রভাব পড়েছে এই ছবিতে। মনের চাঞ্চল্যের ছোঁয়া লেগেছে তাঁর বুরুশের টানে।
কিন্তু এইসব ব্যাখ্যা করতে গেলে যা প্রথমে জানা দরকার সেটা হল উনি কি আকাশে যা দেখেছিলেন সেটাই এঁকেছিলেন? না কি এঁকেছিলেন পুরোপুরি মন থেকে? অথবা, যা দেখেছিলেন তার সঙ্গে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে এঁকেছিলেন ছবিটি? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন কয়েকজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। শুধু এই বিশেষ ছবিটিই নয়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও অনেক বিখ্যাত ছবি আঁকার দিনক্ষণ এবং জায়গা খোঁজার কাজে মুশকিল আসানের ভূমিকা নিয়েছেন। শিল্পের জগতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের এই গোয়েন্দাগিরির গল্প কম মজাদার নয়। ভ্যান গখের আকাশভরা ছবিটি দিয়েই শুরু করা যাক। ছবিটি দেখে প্রথম প্রশ্ন জাগে, এটা কি সন্ধ্যের পর আঁকা হয়েছিল, না কি শেষরাতে? ছবিতে চাঁদ এবং দিগন্তের দিকে নজর দিলে বোঝা যায়, এটা সূর্যাস্তের পরের সময়কার ছবি হতে পারে না। অন্তত উত্তর গোলার্ধে নয়। কেন, সেটা বুঝতে গেলে আমাদের পক্ষে কখন ভাঙা চাঁদ দেখা সম্ভব সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। চাঁদের যে অংশটি সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সেটাকেই আমরা ভাঙা চাঁদ হিসেবে দেখি। ভ্যান গখের ছবির চাঁদটির আলোকিত অংশ রয়েছে বাঁদিকে। অর্থাৎ, সূর্য রয়েছে দিগন্তের নীচে, চাঁদের খানিকটা বাঁদিকে।
Denne historien er fra April 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।
দেখি ফিরে ফিরে
বামপন্থী ইন্টেলেকচুয়াল, নাক উঁচু প্রগতিশীল মহল থেকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে যে, বিবর শুধু অশ্লীল নয়, সাহিত্য-সমাজের জন্য অতি ক্ষতিকর। অতএব এই বই বর্জন, এই বই যে-পড়বে তাকেও বর্জন! তবে শুধু বর্জন নয়, অন্যদিকে প্রশংসাও ছিল।
মুক্তিপণ
শহরটা এই দিকটায় বেড়েছে কম।
সমরেশ বসুর সন্ধানে
‘কালকূট’ ছদ্মনামে সমরেশ বসু লিখলেন দীর্ঘ উপন্যাস কোথায় পাবো তারে। সে-ই উপন্যাসে পুরনো ঢাকার একরামপুর, নারিন্দার পুল, ডালপট্টি, দোলাইখাল, কলুটোলা, সূত্রাপুর বাজার, দোলাইখালের ওপর লোহারপুল আর গেণ্ডারিয়ার কথা আছে। বুড়িগঙ্গার কথা তো আছেই।
বিধ্বংসী পৌরুষের ভাষ্যকার
সমরেশ বসুর \"বিবর,\" \"প্রজাপতি,\" এবং \"পাতক\" উপন্যাসের অনামা নায়কদের মাধ্যমে বিষাক্ত পৌরুষের গভীর দিকগুলি উন্মোচিত হয়েছে। নারীর শরীরের উপর আধিপত্য, আগ্রাসী আচরণ, এবং সমাজের তৈরি পৌরুষের ছাঁচে পুরুষ-নারীর সম্পর্কের জটিলতা—সবই এই উপন্যাসগুলিতে জীবন্ত। আজকের টক্সিক ম্যাস্কুলিনিটির আলোচনার সঙ্গে এই চরিত্রগুলি যেন আরও প্রাসঙ্গিক।
যে-হাতের খোঁজ মেলেনি
গামার চোখে স্তালিনের প্রতিকৃতি কেবল একজন নেতার ছবি নয়; তা ছিল সাম্য, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতীক। এই আখ্যান বস্তির নিঃশ্বাসহীন ঘর থেকে বিপ্লবের মশাল জ্বালানো এক সাধারণ মজদুরের অসাধারণ গল্প।
টিকিট
এই গল্পটি একটি দূর গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া একজন হেডমাস্টারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি গ্রামে এসে স্কুলের অবস্থান ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে স্থানীয় চরিত্রদের বিভিন্ন রকম আচরণ, হাস্যরস, এবং বাস্তব চিত্রের সম্মুখীন হন। একদিকে নীহারবাবুর মতো মহৎ ব্যক্তি, অন্যদিকে তার স্বার্থপর ভাই দিবে। এই দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় শিক্ষার অবস্থা এবং ব্যক্তিগত লড়াইয়ের একটি রূপক চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিচারের অন্তরাল: প্রত্যাশা ও প্রশ্ন
আইনের দেবীর চোখের পট্টি খুলে গেলেও আইনের দৃষ্টি আদৌ সক্রিয় কি, সন্দেহ সেখানেই
কবিতায় প্রেমে, প্রতিরোধে শাশ্বত
আধুনিকতাকে কাটিয়ে কবি এরিখ ফ্রিড প্রবেশ করেছেন উত্তরাধুনিক চিন্তার আনাচেকানাচে।
জলবায়ুর কথা ভাবছে কে? রাজনীতির অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক ক্ষমতায়ন প্রবেশ করেছে পরিবেশ-ভাবনার বিভিন্ন দিক ও উন্নয়নে।
প্যারিস চুক্তিতে সই করা দেশগুলোর আলোচনার ভিত্তিতেই জাতিসংঘের তত্বাবধায়ক একটি সংস্থা পূর্বেই বসে ঠিক করেছিল কার্বন অপসারণ ও মূল্যায়ন প্রকল্পের মান কীভাবে নির্ধারণ করা হবে।