জটিলতা বাড়ছে কচ্ছথিবু নিয়ে
Desh|May 02, 2024
ভারত ও শ্রীলঙ্কার পারস্পরিক সৌহার্দ্য তো নষ্ট হচ্ছেই, আগামিদিনে সবচেয়ে ক্ষতি হবে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের।
সুপ্রতিম কর্মকার
জটিলতা বাড়ছে কচ্ছথিবু নিয়ে

তামিলনাডু আর শ্রীলঙ্কার মাঝে অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, যেমন রামেশ্বরম, কচ্ছথিবু, নিদানথিবু, নায়নাথিবু প্রভৃতি। ভারতের রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে দশ মাইল উত্তর-পূর্বে ও শ্রীলঙ্কার জাফনার মাঝে রয়েছে প্রায় ২৮৫ একরের ‘কচ্ছথিবু’ দ্বীপটি। রামেশ্বরম শিলালিপিতে এই দ্বীপটির পুরনো নামের উল্লেখ পাওয়া যায় ‘কচ্চি' বলে। এবারের লোকসভা ভোটে কচ্ছথিবুকে নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি সরকার নিশানা করছে কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজমাধ্যম 'এক্স'-এ লিখছেন ‘New facts reveal how Congress callously gave away Katchatheevu... বিজেপির তরফে অভিযোগ, স্থানীয় আবেগকে উপেক্ষা করে এবং কার্যত মর্জিমাফিক কচ্ছথিবু হাতছাড়া করেছে কংগ্রেস সরকার।

পুরো বিষয়টি বোঝার জন্য প্রসঙ্গত জেনে নেওয়া দরকার কচ্ছথিবু দ্বীপটি সম্পর্কে কিছু কথা। সপ্তদশ শতকে কচ্ছথিবু ছিল রামনাড়ের রাজার অধীনে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশরা আসার পর এই দ্বীপটি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯২০ সালে এই দ্বীপের অধিকার দাবি করে শ্রীলঙ্কা। ১৯২১ সালে অক্টোবর মাসে মাদ্রাজ ও সিলনের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) মধ্যে চুক্তি হয় ও কচ্ছথিবুকে সিলন তাদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে। স্বাধীনতার সময় সীমান্তের যখন পুনর্বিন্যাস হয়, তখন ফের কচ্ছথিবু দখল নিয়ে বিবাদ বাধে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শিরিমা আর ডি বন্দরানায়েক জলসীমা (পক প্রণালী থেকে অ্যাডামস ব্রিজ বা রামসেতু পর্যন্ত এলাকা) নিয়ে চুক্তি সাক্ষর হয়। ইন্দিরা গান্ধী সেই সময় কচ্ছথিবুকে শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দেন। ২৬ ও ২৮ জুন ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত দু'দেশের যৌথ স্টেটমেন্টে-এ লেখা হয় ‘in conformity with the historical evidence, legal international principles and precedents' এ ছাড়া ওই চুক্তিতে আরও উল্লেখ করা হচ্ছে ‘this boundary falls one mile off the west coast of the uninhabited...

Denne historien er fra May 02, 2024-utgaven av Desh.

Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.

Denne historien er fra May 02, 2024-utgaven av Desh.

Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.

FLERE HISTORIER FRA DESHSe alt
কবিতার খাতা
Desh

কবিতার খাতা

দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।

time-read
8 mins  |
January 02, 2025
কলের গাড়ি
Desh

কলের গাড়ি

এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।

time-read
10+ mins  |
January 02, 2025
উপেনবাবুর মেয়ে
Desh

উপেনবাবুর মেয়ে

গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।

time-read
10 mins  |
January 02, 2025
ভালবাসার গল্প
Desh

ভালবাসার গল্প

বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।

time-read
9 mins  |
January 02, 2025
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
Desh

তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন

জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।

time-read
4 mins  |
January 02, 2025
সুখলালের কিস্সা
Desh

সুখলালের কিস্সা

সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।

time-read
10+ mins  |
January 02, 2025
১৯৬৪
Desh

১৯৬৪

শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।

time-read
10 mins  |
January 02, 2025
রক্ষক
Desh

রক্ষক

আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।

time-read
10+ mins  |
January 02, 2025
ফুলের তোড়া
Desh

ফুলের তোড়া

বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”

time-read
9 mins  |
January 02, 2025
সমাজের শিকড়ে
Desh

সমাজের শিকড়ে

মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।

time-read
5 mins  |
January 02, 2025