![প্ৰণয়পাশা প্ৰণয়পাশা](https://cdn.magzter.com/1415613292/1718278689/articles/VKrh7ua4C1718364359507/1718364612260.jpg)
জগদম্বা পুরকায়স্থ শহরের একজন নামজাদা ক্রিমিনাল লইয়ার। কোনও কেস চলাকালীন মিস পুরকায়স্থর নামে পুলিশ তো বটেই, বিচারকরাও যেন তটস্থ হয়ে থাকেন। ক্লাবে, পার্টিতে রঙিন জলের ফোয়ারা ছোটানোর সময়ও তাঁদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন জগদম্বা।
কোনও বিচারকের এজলাসে জগদম্বার কেস পড়লে, আগের দিন রাতে সেই বিচারকের ঘুম হয় না এই ভেবে যে, মিস পুরকায়স্থ তাঁকেই না কোনও প্যাঁচে ফেলে দেন। মিস পুরকায়স্থ যখন ভরা আদালতে গমগমে স্বরে সওয়াল করেন, সেখানে পিন পতনের শব্দ শোনা যায় না। পাবলিক প্রসিকিউটর পর্যন্ত জগদম্বার বক্তব্যে অবজেকশন করার আগে দু'বার ভাবেন। জগদম্বা কেস লড়লে ডাকসাইটে পুলিশ অফিসার নিজের তৈরি করা চার্জশিটের উপর মোটে ভরসা রাখতে পারেন না। একশোবার করে মিলিয়ে দেখেন কোথাও ফাঁক রয়ে গেল না তো! ছোটো সুচের মতো ছিদ্র পেলেও মিস পুরকায়স্থ তার মধ্য দিয়ে ফাল হয়ে বেরোবেন, সে কথা সকলেই এত দিনে জেনে গেছে। তাই কেউ তাঁকে ঘাঁটায় না।
এ-হেন জগদম্বা যে ঊনচল্লিশ বছর তিন মাস বাইশ দিন বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, এমন ভাবনা কারও সুদূর কল্পনাতেও আসেনি। আর সেটা অবশ্যই অকারণে নয়। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে হলে গোড়া থেকে শুরু করতে হয়। না হলে আধুনিকা পাঠিকা ভুরু কোঁচকাতেই পারেন। বলতেই পারেন, ঊনচল্লিশ বছর কী এমন বয়স? আর বিয়ে করাটাই জীবনের একমাত্র মোক্ষ নাকি? বিয়ে মানেই তো হাতে বেড়ি, পায়ে বেড়ি। তাই বিয়ে করে হেঁশেল ঠেলার চেয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচা অনেক ভাল।
স এ সব কথা সকলের জানা। কারণ, জগদম্বা পুরকায়স্থ নিজেও তিন মাস আগে পর্যন্ত এ সব কথা বলে এসেছেন। নারী কল্যাণ সমিতির অনুষ্ঠানে তাঁর অগ্নিগর্ভ ভাষণ শুনে তিনজন মেয়ে তাদের ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। বিয়ের সমস্ত কুফল একদম পয়েন্ট ধরে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেই তো আরও দু'জনের তাদের প্রেমিকের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আর মিসেস মজুমদার তো বরের আগেনস্টে ডিভোর্স কেস ফাইল করে বসে আছেন। আর সেই কেস তাঁর স্বামীই আদালতে লড়বেন। কারণ, মিস্টার মজুমদার এ শহরের
সবচেয়ে ভাল ডিভোর্স লইয়ার, সেটা কে না জানে! মিসেস মজুমদারের সোজা হিসেব। যতক্ষণ না ডিভোর্স হয়, ততক্ষণ তো মিস্টার মজুমদার তাঁর বর। সুতরাং ঘরে উকিল থাকতে বাইরের লোকের পকেট ভরবেন কেন শুধুমুধু!
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra June 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
![কবিতার খাতা কবিতার খাতা](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/1xgfGrgKe1737657875676/1737658057063.jpg)
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
![কলের গাড়ি কলের গাড়ি](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/R9KmXYeMy1737657598780/1737657869174.jpg)
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
![উপেনবাবুর মেয়ে উপেনবাবুর মেয়ে](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/Zizx7F8GL1737659126780/1737659331284.jpg)
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
![ভালবাসার গল্প ভালবাসার গল্প](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/7fv3dzwv51737658368724/1737658555349.jpg)
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
![তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/FFVnsu0DI1737659332115/1737659437137.jpg)
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
![সুখলালের কিস্সা সুখলালের কিস্সা](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/Nf1TOJHvn1737656848597/1737657141615.jpg)
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
![১৯৬৪ ১৯৬৪](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/30YGJCyq11737658059732/1737658362819.jpg)
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
![রক্ষক রক্ষক](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/FcZZGsLh81737658606740/1737658893125.jpg)
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
![ফুলের তোড়া ফুলের তোড়া](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/maUImPJai1737658899404/1737659121982.jpg)
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
![সমাজের শিকড়ে সমাজের শিকড়ে](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/-xQvqwfz61737659445604/1737659530346.jpg)
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।