পড়েছে নদীর বুকে। পাখিরা ঘরমুখো। মহর্ষি বাল্মীকি অন্য দিনের তুলনায় আগেই আশ্রমে ফিরে এসেছেন। সীতা সন্তানসম্ভবা। তাঁকে সর্বক্ষণ দেখার জন্য আশ্রমিক ও জঙ্গলের মহিলা বাসিন্দারা থাকলেও ক'দিন ধরেই তিনি লক্ষ করছেন, সীতার মন ভাল নেই। সারাক্ষণ তিনি নদীর দিকে মুখ করে বসে, অথবা শুয়ে থাকেন। চোখের দৃষ্টি যেন বহু দূরে, সেখানেও গভীর শূন্যতা। বাল্মীকি বোঝেন, সীতার এই সময় তাঁর স্বামী ও আত্মীয়দের দরকার ছিল। কিন্তু তিনি নিরুপায়। অদৃষ্টের পরিহাসে সবাই থেকেও সীতা একা। একা থাকার প্রেক্ষাপট বহু আগেই রচনা করেছিলেন তিনি। শুক-শারি দুই পাখিকে এনেছিলেন এই ঘটনা ঘটানোর জন্য। কিন্তু তখন তিনি বোঝেননি, এমন এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তাঁকে। তাঁরই আশ্রমে আশ্রয় নেবেন মিথিলা দুহিতা।
সীতাকে যখন লক্ষ্মণ ছেড়ে দিয়ে গেলেন বনে, তখন খবর পেয়ে তিনি আনন্দের সঙ্গে সীতাকে নিয়ে এসেছিলেন নিজের কুটিরে। সীতা প্রশ্ন করেছিলেন, “আমাকে কেন বার বার এই যন্ত্রণা পেতে হবে? অগ্নি পরীক্ষায় সফল হওয়ার পরে আমি সন্তানসম্ভবা হলাম। রামচন্দ্র আমার গর্ভের সন্তানের পিতা। অথচ তিনি এই অবস্থায়...” সীতাকে কথা শেষ করতে না দিয়েই বাল্মীকি তাঁকে শুনিয়েছিলেন, কেন এই বিয়োগ ব্যথা সীতাকে ভোগ করতে হচ্ছে। “সীতা, তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে, মিথিলার রাজপ্রাসাদের বাগানে একদিন তোমরা চার বোন খেলা করছিলে। সেই সময় দুটো টিয়া পাখি ডালে এসে বসেছিল। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল, রাম সীতা রাম সীতা। তুমি সেই কথা শুনে ঊর্মিলাকে বললে, টিয়া দু'টিকে তোমার কাছে ধরে আনতে।
ঊর্মিলা ধরে আনল তাদের। তারা ভয়ে কর্কশ স্বরে চিৎকার করছিল। তুমি তাদের অভয় দিলে, পাখি ভয় না পেয়ে আমাকে বলো, রাম কে? তোমরা আমার নামের সঙ্গে কেন তার নাম বলছ? “পাখিরা বলেছিল, আমরা বাল্মীকি নামে এক ঋষির কাছে থাকি। সেখানেই শুনেছি অযোধ্যায় রাম নামে এক রাজপুত্র আছে, তার সঙ্গে বিয়ে হবে সীতার। ঋষির কাছেই আমরা রামগান শিখেছি। এবার আমাদের ছেড়ে দাও। আমরা ফিরে যাই।
Denne historien er fra July 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।