কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তাঁরা ‘এক দেশ, এক ভোট' সংক্রান্ত সুপারিশটি গ্রহণ করছেন। এবার বিল পাসের জন্যে বিষয়টি সংসদে পেশ করা হবে। এইখানে এগোনোর বদলে ছ'মাস পিছিয়ে যাওয়াটাই ভাল। গত মার্চে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপদস্থ কমিটি ‘এক দেশ এক ভোট' সংক্রান্ত একটি ৩২২ পাতার গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ করেন (আন্তর্জালে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন)। এর পরেই দেশ পত্রিকায় (২ এপ্রিল) এই বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি প্রচ্ছদ নিবন্ধ ছাপা হয়, যেখানে আমিও লেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। যে-কোনও রাজনৈতিক বিষয়ের মতোই এই ধরনের একটি সুপারিশ নিয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে মত থাকবে। তবে নিজের আগের লেখার শিরোনাম আর-একবার ঝালিয়ে নিতে চাই যে, ‘দেশ এক, ভোট নয়'। অর্থাৎ আমাদের দেশের যে-সার্বভৌমত্ব, যে-স্বাধীনতা, বৈচিত্রের মধ্যে যে-ঐক্য, যে-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বিধানসভা বা লোকসভায় যে-সংসদীয় পরিকাঠামো, তা প্রতিটি মুহূর্তের রাজনীতি ভাবনায় মনে করিয়ে দেয়, আমাদের দেশটা কতটা ঐক্যবদ্ধ, আমাদের গণতন্ত্র কতটা স্পন্দিত। এখানে টুকরো ব্যতিক্রম থাকতে পারে, কিন্তু সার্বিক প্রশ্ন ওঠার কোনও জায়গাই নেই। একইসঙ্গে, আমাদের যে-নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলে, তাতে অবশ্যই বহুমুখিতা আছে। তার কারণ, আমাদের গণতন্ত্র বহুদলীয় এবং মানুষের ভাবনা পরিবর্তনশীল। তাই তো সরকার বদল হয়। সেই জন্যেই তো ইন্দিরা গান্ধীর রাজত্বে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা অতিক্রম করে মানুষ আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে, আর সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে ভর করেই তিনি পরবর্তীকালে নির্বাচনে জয়ী হন। অর্থাৎ আমাদের দেশের যে-নির্বাচনী ব্যবস্থা, তাকে অতিক্রম করে কোনও নেতা বা কোনও রাজনৈতিক দলের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। বিজেপির চারশো আসনের বিজ্ঞাপনকে তাই হিসেব করে দুশো চল্লিশে নামিয়ে আনতে জানে চৌষট্টি কোটি কুড়ি লক্ষ অসামান্য মতদাতা। এই কারণেই ভোটের একমুখিনতা অতিক্রম করে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।
Denne historien er fra October 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 02, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।