বুদ্ধের কোনও মৃত্যু নেই, শুধু জন্ম আছে। অসংখ্য জাতক জন্ম। সেইসব বিদেহী জন্মেরা ব্রাহ্মণ্যবাদের বারাণসী থেকে হিমালয়ের তরাই অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। কপিলাবস্তু থেকে সিদ্ধার্থনগর— এই ভূগোলে আজও তারা হেঁটে চলে বেড়ায়, তপস্যা করে আর পৃথিবীকে অমৃতবাণী শোনায়, বহুজনহিতায় বহুজনসুখায়, লোকানুকম্পায় ...। মৎস্য মশক বক শকুনি শূকর ... আরও কত জাতক, আরও কত গল্প! পুরাকালে বারাণসী নগরে রাজা ব্রহ্মদত্ত যখন রাজত্ব শুরু করেন, উত্তরের হিমালয় পাহাড় তার বহু আগে থাকতে জনপদ ভাঙছে গড়ছে। নরম পাললিক শিলা। দানো তিন্নাও বানগঙ্গার অববাহিকা দিয়ে কত পলি ভেসে গেল। তারও উত্তরে কালি গণ্ডকীর স্রোত। নদীর দু'পাশের সমভূমি জুড়ে ঘন জঙ্গল, ফসলের ক্ষেত, মানুষের গ্রাম। ষোড়শ মহাজনপদ। পদে পদে ঝগড়া বিবাদ। হিংসা কলহ দুঃখের পৃথিবী, তবু আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় ছিল। ঈশ্বর জন্মাবেন। অবশেষে কোন এক ঐতিহাসিক ভোরে জঙ্গলের পথে ভূমিষ্ঠ হল অন্য ইতিহাস। সিদ্ধার্থ জাতক। প্রাগৈতিহাসিক জাতকেরা আনন্দে নেচে উঠল, এতদিনে নির্বাণের খোঁজ পাওয়া যাবে!
বুদ্ধ যেন নো ম্যানস ল্যান্ডেই জন্মাতে চেয়েছিলেন, জানতেন তাঁর কোনও দেশ নেই জাতি নেই ধর্ম নেই। বুদ্ধ একটা শব্দ মাত্র। শব্দ ব্রহ্ম। তাই সুগৌলীর চুক্তি মেনে কপিলাবস্তু আর সিদ্ধার্থনগরের মাঝে বর্ডার হল। একদিকে নেপাল নামের দেশ, অন্যদিকে ভারতভূমি। জাতকেরা বর্ডার মানে না কিন্তু বাকিদের অনুমতি লাগে। বিদেশি হলে পাসপোর্ট, ভারতীয় হলে যে কোনও পরিচয়। লখনউ কিংবা গোরখপুর হয়ে পৌঁছনো যায়। না হলে কাঠমাণ্ডু পারো হয়ে সরাসরি হাওয়া-পথ। কত দিনের লোভ ছিল, সুযোগ ঘটেনি। অবশেষে এবার যেন জাতকের আমন্ত্রণ আসে। চল্ বাসন্তি ...!
Denne historien er fra October 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।
দেখি ফিরে ফিরে
বামপন্থী ইন্টেলেকচুয়াল, নাক উঁচু প্রগতিশীল মহল থেকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে যে, বিবর শুধু অশ্লীল নয়, সাহিত্য-সমাজের জন্য অতি ক্ষতিকর। অতএব এই বই বর্জন, এই বই যে-পড়বে তাকেও বর্জন! তবে শুধু বর্জন নয়, অন্যদিকে প্রশংসাও ছিল।
মুক্তিপণ
শহরটা এই দিকটায় বেড়েছে কম।
সমরেশ বসুর সন্ধানে
‘কালকূট’ ছদ্মনামে সমরেশ বসু লিখলেন দীর্ঘ উপন্যাস কোথায় পাবো তারে। সে-ই উপন্যাসে পুরনো ঢাকার একরামপুর, নারিন্দার পুল, ডালপট্টি, দোলাইখাল, কলুটোলা, সূত্রাপুর বাজার, দোলাইখালের ওপর লোহারপুল আর গেণ্ডারিয়ার কথা আছে। বুড়িগঙ্গার কথা তো আছেই।
বিধ্বংসী পৌরুষের ভাষ্যকার
সমরেশ বসুর \"বিবর,\" \"প্রজাপতি,\" এবং \"পাতক\" উপন্যাসের অনামা নায়কদের মাধ্যমে বিষাক্ত পৌরুষের গভীর দিকগুলি উন্মোচিত হয়েছে। নারীর শরীরের উপর আধিপত্য, আগ্রাসী আচরণ, এবং সমাজের তৈরি পৌরুষের ছাঁচে পুরুষ-নারীর সম্পর্কের জটিলতা—সবই এই উপন্যাসগুলিতে জীবন্ত। আজকের টক্সিক ম্যাস্কুলিনিটির আলোচনার সঙ্গে এই চরিত্রগুলি যেন আরও প্রাসঙ্গিক।
যে-হাতের খোঁজ মেলেনি
গামার চোখে স্তালিনের প্রতিকৃতি কেবল একজন নেতার ছবি নয়; তা ছিল সাম্য, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতীক। এই আখ্যান বস্তির নিঃশ্বাসহীন ঘর থেকে বিপ্লবের মশাল জ্বালানো এক সাধারণ মজদুরের অসাধারণ গল্প।
টিকিট
এই গল্পটি একটি দূর গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া একজন হেডমাস্টারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি গ্রামে এসে স্কুলের অবস্থান ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে স্থানীয় চরিত্রদের বিভিন্ন রকম আচরণ, হাস্যরস, এবং বাস্তব চিত্রের সম্মুখীন হন। একদিকে নীহারবাবুর মতো মহৎ ব্যক্তি, অন্যদিকে তার স্বার্থপর ভাই দিবে। এই দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় শিক্ষার অবস্থা এবং ব্যক্তিগত লড়াইয়ের একটি রূপক চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিচারের অন্তরাল: প্রত্যাশা ও প্রশ্ন
আইনের দেবীর চোখের পট্টি খুলে গেলেও আইনের দৃষ্টি আদৌ সক্রিয় কি, সন্দেহ সেখানেই
কবিতায় প্রেমে, প্রতিরোধে শাশ্বত
আধুনিকতাকে কাটিয়ে কবি এরিখ ফ্রিড প্রবেশ করেছেন উত্তরাধুনিক চিন্তার আনাচেকানাচে।
জলবায়ুর কথা ভাবছে কে? রাজনীতির অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক ক্ষমতায়ন প্রবেশ করেছে পরিবেশ-ভাবনার বিভিন্ন দিক ও উন্নয়নে।
প্যারিস চুক্তিতে সই করা দেশগুলোর আলোচনার ভিত্তিতেই জাতিসংঘের তত্বাবধায়ক একটি সংস্থা পূর্বেই বসে ঠিক করেছিল কার্বন অপসারণ ও মূল্যায়ন প্রকল্পের মান কীভাবে নির্ধারণ করা হবে।