পুজোয় বাহারি চুল

পরামর্শে ভারত সরকারের আয়ুর্বেদ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ সর্ষে বাটা দিয়ে মাথা ও শরীর পরিষ্কার করতেন।

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাহলেও মূলত শরতের দুর্গা পুজোকেই পুজো বলেই ধরে বা নেওয়া হয়। যে কোনও পুজোয় ছেলেমেয়েরা মাথার চুল নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়। পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই চুল কাটার উৎসাহ বেড়ে যায়।

প্রধান শত্রু খুশকি: চুল ভালো রাখতে চাইলে স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বক সর্বাগ্রে ভালো রাখা দরকার। চুলের প্রধান শত্রু খুশকি। আর খুশকি তাড়ানোর জন্য কত রকমেরই না ব্যবস্থা ছিটিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে। মাথার ত্বকের অবস্থা এবং চুলের গড়নের দিকে লক্ষ রেখেই এগুলি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই

প্রসাধনী দ্রব্য বারংবার পরিবর্তন নয়: বিজ্ঞাপনের দৌলতে কতরকমেরই সাবানশ্যাম্পুর ব্যবহার করে থাকি। বার বার এগুলির ব্যবহার, মাথার চামড়া ও চুলের গোড়ার দিকটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।

প্রসাধনী দ্রব্যের বার বার পরিবর্তন আমাদের চামড়া ও চুলের ক্ষতি করে দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এইসব সামগ্রী একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। আজ একটা তো কাল আর একটা প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করা যাঁদের অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছে, তাঁরা তা বন্ধ করুন।

আহারে সংযম: অতিরিক্ত মাছ, মাংস, ডিম খাবেন অথচ টাটকা শাকসবজি, ফলমূল নিয়মিত খাবেন না, তা কিন্তু করা যাবে না। নিয়ম মেনে সবকিছু পরিমাণমতো খেতে হবে। একসঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম খাবেন না। যে কোনও একটি খাদ্য মেনুতে রাখা উচিত। তেল, ঘি চর্বি জাতীয় খাবার কখনওই বেশি খাবেন না। সাদামাটা ঘরোয়া রান্না খেতে পারলে খুব ভালো হয়। অম্ল ও ক্ষারধর্মী আহারের মধ্যে একটা সমতা রাখা উচিত। অত্যধিক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা উচিত নয়। যখনই বুঝতে অসুবিধা হবে, তখনই চিকিৎসকের সাহায্য নেবেন।

কয়েকটি ঘরোয়া বিধান: প্রথমে খুশকিকে আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তারপর বাহারি চুলের ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েকটি ঘরোয়া বিধান পর পর সাজানো হল। যাঁর যেটি পছন্দ, তিনি একটি বা দুই তিনটি বেছে নেবেন।