খিচুড়ি। ভাত ও ডালযোগে রান্না করা খাবার। প্রাথমিকভাবে চাল ও মসুর ডাল দিয়ে তৈরি; তবে বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে বৈচিত্র্য। ভারতীয় উপমহাদেশে মসুরের ডাল ছাড়াও স্থান ও কালভেদে মুঞ্জ বা মুগ ডাল ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ করে মাখন মিশিয়ে খাওয়ার চল ছিল। তারা একে কুশারি বলত এবং প্রতিদিন সকালের নাশতায় উপভোগ করত। মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্রমণ করেছিলেন। খিচুড়ি খেয়ে এর স্বাদের উল্লেখ করেছেন ইতিহাসসম্পর্কিত লেখায়। এ খাবার প্রস্তুতিতে চাল ও ডাল, নির্দিষ্ট করে মুগ ডালের কথা বলেছেন তিনি। অন্যদিকে, রুশ বণিক, অভিযাত্রী ও লেখক আফানাসি নিকিতিন ছিলেন ভারতে ভ্রমণকারী প্রথম ইউরোপীয়দের একজন। ১৪৬৯ সালে ভ্রমণকাহিনিতে লিখেছিলেন, কীভাবে তার ঘোড়াগুলোকে ‘ডাল ও খিচুড়ি' খাওয়ানো হয়েছিল । তার লেখা থেকে জানা যায়, ভাত দিয়ে তৈরি এই খাবারে চিনি ও ঘি মেশানো হতো। সপ্তদশ শতাব্দীতে ফরাসি পর্যটক ও রত্ন ব্যবসায়ী জাঁ-বাপ্তিস্ত তাভার্নিয়ে ছয়বার ভারতে আসেন। তিনি খেয়াল করেন, সবুজ মসুর ডাল, চাল ও ঘি দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা হয়। একে তিনি ‘কৃষকের সন্ধ্যার খাবার' হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে, সে সময় ভারতের প্রায় সব বাড়িতেই খিচুড়ি খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। অন্যদিকে, সুদূর অতীতে তাকালে দেখা যায়, ৩০৫ ও ৩০৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে ভারতে কিছু ধর্মযুদ্ধ হয়। সে সময়কার গ্রিক জেনারেল ও তৎকালীন সেলুকিড সাম্রাজ্যের সম্রাট সেলুকাস উল্লেখ করেন, ভারতীয় উপমহাদেশে তখন চালের সঙ্গে ডাল মেশানো খাবার খুব জনপ্রিয় ছিল।
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Canvas.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Canvas.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
আর্কা ফ্যাশন উইক সামার ২০২৪
নিজস্ব আর নতুনত্বের সম্মিলনে শেষ হয়েছে আর্কা ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় আয়োজন। মার্কেটপ্লেস, সেমিনার, ফ্যাশন শো প্রদর্শনী আর ডিজাইন ল্যাবের উল্লাসে মেতে উঠেছিল নগরজীবন
জলস্পর্শেও জৌলুশদীপ্ত
বর্ষা উদ্যাপনে যেন বাদ না সাধে শখের অলংকার। উপাদানের উপযোগিতা যাচাই-বাছাইয়ে জরুরত এড়ানোর উপায় নেই । সেই তরিকাই বাতলাচ্ছেন সারাহ দীনা
পাফিফায়িং
উদ্দেশ্য, দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ । শীতে তো বটেই, হঠাৎ বৃষ্টিতেও তাপমাত্রার পারদের নিম্নগামিতায় দারুণ উপযোগী । প্রায় নব্বই বছর ধরে প্রয়োজনের তালিকায় অবস্থান । এবারের মনসুন মাতাবে ট্রেন্ডের শীর্ষে থেকে
মনসুর্নিং মান্ত্রা
পুরুষ ফ্যাশনিস্তাদের পোশাকে বর্ষা বাদ সাধবে, সে সাধ্যি আছে নাকি! শুধু সামান্য সচেতনতা আর স্টাইলিংয়ের পরিষ্কার ধারণা চাই ফুলপ্রুফ মনসুন লুকের জন্য; ব্যস
বর্ষাস্নাত
শুধু নীলই কি বৃষ্টির রং? নাকি খামখেয়ালি এ মৌসুমে পোশাকে প্রাণের সঞ্চারে কালার প্যালেটেও লেগেছে বদলের ছোঁয়া?
রেইন রেইন গো অ্যাওয়ে
বুলি আওড়াতেই বৃষ্টি বন্ধ! কিন্তু বাস্তব তো আর রূপকথার গল্পের প্লট নয় । তাই বৃষ্টি-বাদল মাথায় রেখেই সারা চাই শিশুদের স্টাইলিং। বর্ষাবান্ধব তো বটেই; হওয়া চাই বাস্তবসম্মত, ফ্যাশনেবল আর আরামের সঙ্গে আপোসহীন
রেইন-রুটিন
বৃষ্টির পানির সংস্পর্শে সৃষ্ট সব ত্বক সমস্যা থেকে সুরক্ষায় । মৌসুমকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে
চিবুক থেকে নিশ্চিহ্নে
হরমোনের তারতম্যে সৃষ্ট । তাই রাতারাতি বদল- সে আশার গুড়ে বালি । রূপ রুটিন থেকে জীবনযাপন, নিয়মের আওতায় নিয়ে এলেই মিলবে সুফল
মনসুন মাস্ক
রসদের খোঁজ আর বাইরে কেন! চোখ থাকুক রান্নাঘরে । বর্ষার মরশুমে বদলে যাক রূপ রুটিন। ত্বক আর চুল- দুয়েরই
আর্দ্রতায় অনাসৃষ্টি
ভঙ্গুরতার পাশাপাশি বাড়তে পারে ছত্রাক সংক্রমণের শঙ্কা । তাই বাড়তি মনোযোগ দেওয়া চাই নখের দুর্বলতা রোধে । নিয়মগুলো জানা আছে তো?