স্বাধীন বাংলাদেশে কফির চল ছিল খানিকটা অভিজাত গণ্ডির ভেতরেই । গত শতকের শেষ দশকে মূলত কফি-বিপ্লবের শুরু, অবশ্য সেটা কেবল ইনস্ট্যান্ট কফি । ঢাকায় যখন কফি বাজারজাত শুরু হয়েছিল, তখন এর চাহিদা ছিল অল্প । উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ২০০৩ সালে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কেজি কফি আমদানি করা হয়েছিল, যার ৬৭ শতাংশই ছিল নেসক্যাফের, অর্থাৎ ইনস্ট্যান্ট কফির। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ হলেও এই শতাব্দীর প্রথম দশকেও কফির বাজার তেমন বাড়েনি । তবে ঢাকা শহরে ইনস্ট্যান্ট কফির পাশাপাশি এসপ্রেসোভিত্তিক অর্থাৎ বিন-টু-কাপ কফির আগমন এ সময়েই । এই শতকের প্রথম দশকের মাঝামাঝি সময়ে কফি ওয়ার্ল্ড, বাস্কিন রবিন'সসহ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল এসপ্রেসোভিত্তিক কফি বিক্রি শুরু করে। সে সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও পরের দশক থেকে মূলত কফির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা- দুটোই আকাশচুম্বী হতে থাকে। ফলে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠতে থাকে বিন-টু-কাপ কফি পরিবেশনের নতুন সব আউটলেট বা ক্যাফে। কফি ওয়ার্ল্ড, বারিস্তা লাভাজ্জা, নর্থ এন্ড, স্মোক ক্যাফে, গ্লোরিয়া জিনস, কিভা হান, ক্রিমসন কাপ, তাবাক ইত্যাদি সবই এই শতকের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কফিসংস্কৃতি গড়ে ওঠার পরিচয় দেয়।
তবে দেখা গেছে, আমাদের এখানে কালো কফির (অর্থাৎ এসপ্রেসো বা আমেরিকানো) চেয়ে দুধের কফির চল বেশি। প্রশ্ন হতে পারে- কেন ? সাধারণভাবে একটা ঔপনিবেশিক মনোভাবের দোহাই দিয়ে এই প্রশ্ন পাশ কাটানো যেতে পারে। চৈনিক বা আসামের আদিবাসীদের রীতিতে পান করা চা যেমন আমাদের মুখে রোচেনি, ব্রিটিশদের দেওয়া দুধ-চা নিয়েছি, সেটার প্রভাব একটা কারণ হতে পারে। তবে সেই কারণের আড়ালে গিয়ে আমাদের সমস্যা কি ধামাচাপা দেওয়া ঠিক হবে? দুধ বা চিনি অথবা দুটোই কেন কফিতে যোগ করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন আসলে আমাদের আরেকটি মৌলিক প্রশ্নের সামনে নিয়ে যায়। আমাদের ক্যাফেগুলো কি কফিপ্রেমীদের ‘যথাযথ’ কফি পরিবেশন করছে? উত্তর হলো- না। পেপার কাপে কফি দিয়ে হয়তো পরিবেশনের অজ্ঞতা ঢাকা যায়; কিন্তু যে কফি মুখে যাবে, তার বেলা?
Denne historien er fra Canvas oct 2024-utgaven av Canvas.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra Canvas oct 2024-utgaven av Canvas.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
রুদ্রাক্ষরহস্য
অধ্যাত্মে আস্থা, নাকি ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষ উদ্দেশ্য যেটাই হোক, পরিধানে নজর কাড়বেই। শাস্ত্রোক্ত বিধি অনুযায়ী শুদ্ধ এবং অভিমন্ত্রিত হয়ে এর ধারণের অজানা আখ্যান রত্না রহিমার লেখায়
সেপ্টেম্বর রানওয়ে হাইলাইটস
সেপ্টেম্বরকে বলা যায় ফ্যাশন ক্যালেন্ডারের জানুয়ারি। নতুন বছরের প্রথম মাস যেন। যাকে ঘিরে আয়োজিত হয় নামীদামি ফ্যাশন উইকগুলো। চূড়ান্ত হয় আসছে বছরের ট্রেন্ড! একই সঙ্গে শেখা এবং শেখানোর সময় এটি। বলা যেতে পারে ফ্যাশন বাজারের ব্যাক টু স্কুল মোমেন্ট। বিস্তারিত লিখেছেন সারাহ্ দীনা
শিল্পসূচক
নারীচরিত । নির্মাণের আনন্দ অনির্ণেয় । তাই তো বেদ-উপনিষদের এ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীন শাস্ত্র, পুরাণ, কাব্য থেকে শুরু করে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় নানাবিধ নারী চরিত্র তৈরির আকর্ষণ শাশ্বত । হোক তা আধিদৈবিক, পৌরাণিক কিংবা মানবীয় । যুগে যুগে শাস্ত্রকার, পুরাণকার, কবিরা তো বটেই, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ছিলেন ভাস্কর আর চিত্রকরেরাও । যার কিছু এখনো প্রত্যক্ষ করা যায় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে অবশিষ্ট কিংবা রক্ষা পেয়ে যাওয়া গগনস্পর্শী মন্দিরের স্থাপত্যে, বর্ণোজ্জ্বল বিস্তৃত চিত্রকর্মে আর নানা আকৃতির অসংখ্য মূর্তিতে । প্রাচীন সেসব নারী ভাস্কর্য আর চিত্রকলা দেখে মানসপটে হঠাৎ ভেসে ওঠে সেকেলবাসিনীর জীবনযাত্রার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি । পুরাকালের সেসব শিল্পকলায় নারীদের বস্ত্র, অলংকার আর সেগুলো পরিধানের নানা কায়দা আজকের আধুনিকাদের বিস্মিত করে এতশত যুগ পরেও। এ যুগের মানুষের কাছে যেগুলো আজও উপস্থিত হয় বিশেষ সময়ের বিশেষ প্রবণতার প্রতীক হয়ে । সেই উৎস খোঁজের কিয়দংশ জাহেরা শিরীনের লেখায়
সায়েন্টিফিক্যালি ইওরস
দেখাবে ফ্যাশনদুরস্ত । দূর হবে দশার দুর্দশা। এক পোশাকের এত গুণ! শাস্ত্রে এ নিয়ে চর্চা বহু আগের। সম্প্রতি মিলেছে বিজ্ঞানসম্মত সমর্থন । আর কী চাই
পলিটিক্যালি পলিশড
লাইট, ক্যামেরা, রানওয়ে আর রেড কার্পেটে আটকে থাকার দিন শেষ। ফ্যাশন বিশ্ব ব্যস্ত এখন জনসভা, ভাষণ আর রাষ্ট্রীয় সফরে। সারাহ্ দীনার লেখায় বিস্তারিত
নিবিড়ের নিউইয়র্ক জয়
দেশের গণ্ডি পেরিয়েছেন বহু আগে। যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে হেঁটেছেন নিউইয়র্ক কতুর ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে। অর্জনের সোনালি মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক
কাঁসাকথন
প্রায় পাঁচ হাজার বছর পুরোনো আয়ুর্বেদিক সাধনী । নানামুখী ত্বকসমস্যা নিরাময়কল্পে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ভিড়ে আবার শিকড়ে ফিরে দেখা
অভয়াঙ্গ গুণে
নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা পুরোটাই । হাতের কারিশমার সঙ্গে প্রকৃষ্ট তেলের যুগলবন্দীতে প্রশান্তি প্রাপ্তির প্রয়াস । যেন স্বকীয় সত্তার যত্নের উপাখ্যান
কুণ্ডলকৃপায়
সৌন্দর্যের আধার । শক্তির উৎসও বটে। রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত বিশ্বের বহু সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে । যোগী, সাধু আর যোগব্যায়ামকারীদের আস্থায়। সাত্ত্বিক এ তত্ত্বের বিশ্বাস, এতে বাড়ে জীবনীশক্তি, অন্তর্দৃষ্টি আর মনের প্রশান্তি
ফেস ম্যাপিং ফ্যাক্ট
শাস্ত্র মেনে মনোযোগী চোখ মুখশ্রীর বিভিন্ন অংশে । তারপর? অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা