কা -মানটির নাম দলমাদল। আবার কেউ বলেন, দল ও মাদল দুটি কামান। ইতিহাস বলে অন্য | কথা, মল্লরাজারা যে অঞ্চলে রাজত্ব করতেন সেই মল্লভূম ছিল ধর্মঠাকুরের অঞ্চল। একটি ধর্মশিলার নামও দলমাদল। বিষ্ণুপুর শহরে শাঁখারিবাজার এলাকায় ধর্মঠাকুরের পুরোহিত বিরলই শ্রেণিভুক্ত কর্মকার পরিবার। এই পরিবারের যে পূর্বপুরুষ কামানটি তৈরি করেন তিনি ধর্মঠাকুরের নামানুসারে নাম রাখেন ‘দলমাদল'। আরও একটি মতের কথা শোনা যায়, দল মানে শত্রু আর মর্দন মানে বিনাশ করা। এই কামানের সাহায্যে শত্রুসৈন্য বিনাশ করা হতো বলে নাম ‘দলমর্দন’ যা অপভ্রংশে হয়েছে দলমাদল। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর হাইস্কুল সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে পিচ ঢালা রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই ডানহাতে একটি আম গাছের পাশেই ইতিহাস খ্যাত সেই কামান দল-মাদল বা দলমর্দন। মাকড়া পাথরের তৈরি একটি বেদির উপর রেলিং দিয়ে ঘেরা আছে কামানটি। ২৪ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা বেদিটির প্রস্থ ১৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ২ ফুট ৬ ইঞ্চি।
সুবিশাল এই কামানটির ওজন ২৯৬ মন। তৈরি করিয়েছিলেন মল্লভূমের ৪৯তম মহারাজা বীর হাম্বির। তিনি সিংহাসনে বসেছিলেন ১৫৮৭ সালে। সেসময়ে কামান নির্মাণে খরচ পড়েছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। নির্মাণ শিল্পী জগন্নাথ কর্মকার। লম্বায় ১২ ফুট ৫ ইঞ্চি। সামনের ও মাঝখানের পরিধি ৬ ফুট ১০ ইঞ্চি কিন্তু পিছনের দিকের পরিধি ৮ ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চি। বারুদ ভরার মুখটির ব্যাস সাড়ে এগারো ইঞ্চি। অগ্নিসংযোগ করার জন্য রয়েছে পিছন দিকে চারকোনা একটি খাঁজের মধ্যে ১ ইঞ্চি ব্যাসের একটি ছিদ্র। নাম রঞ্জকঘর। কামান দাগার সময় এই রঞ্জকঘর বারুদে পূর্ণ করে অগ্নিসংযোগ করা হতো। কামানটির মাঝখানে দু’দিকে ৪ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি হাতল। লম্বায় ৬ ইঞ্চি। যুদ্ধের সময় এই হাতল দুটিতে বড় বড় চাকা লাগিয়ে হাতির সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হতো যুদ্ধস্থলে। তাছাড়াও যুদ্ধস্থলে গোলা সামনে ছোড়া হবে না দূরে, তাও ঠিক করা হতো এই হাতলের সাহায্যে, মুখ ওঠানো নামানো করে।
Denne historien er fra 27 August 2022-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 27 August 2022-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।