চাপা রঙেও রঙিন রাঙা বউ

একটু ভেবে স্বর্ণেন্দুর উত্তর, ‘সে রকম কোনও পরিকল্পনা ছিল না নিশ্চয়ই। নিন্দুকরা তো অনেক কথাই বলতে পারে। কখনওই সেগুলোকে গুরুত্ব দিইনি

রা মত পোহাল। বিয়েও হল। কিন্তু কনে বউ আর সাজা হল না। অনেকটা ওই, ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ের মতো যে...

অথচ এ যাবৎ গ্রামের যে মেয়েরই বিয়ে হয়েছে, তাকে প্রাকৃতিক উপাদানে কনে সাজিয়ে দিয়েছে পাখি। বাপ-মা মরা, মামা-মামির মর্জিতে বড় হওয়া মেয়ে তাই নিজের চাপা রংকে ঢাকা দেওয়ার ফুরসত পায়নি। উত্তর কলকাতার বনেদি পরিবার শীলবাড়ির ‘রাঙা বউ’ তার দাম্পত্যে দীক্ষিত হল নিন্দিত হয়েই। আলো করা রূপের হাটে পাখি যেন সত্যিই বেমানান এক বিড়ম্বনা। বর কুশের কাছে অবশ্য সে লাবণ্যময়ী। রহস্যময়ীও। এত অপমানের পরেও প্রাণ প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ হয় কী করে সে? মিষ্টি মেয়ে পাখির মনের সৌন্দর্যে তাই মাতোয়ারা ভুলো মনের মানুষ কুশ। আর এটাই জি বাংলায় সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘রাঙা বউ’-এর ইউএসপি। অন্তরের সৌন্দর্যটাই আসল। অথচ বর্ণের বিচার করেই সেই বালিকা বয়স থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তুমি কালো, অতএব ভালো কিছুর যোগ্য নও তুমি।