লুদ রঙের বাসটা দাঁড়িয়ে রয়েছে জবলপুর রেল স্টেশনের বাইরে। যাবে ভেড়াঘাট। সামনের দিক থেকে সব সিট আমাদের দখলে। আমরা দলে ২১ জন। হাওড়া স্টেশন থেকে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে দুপুর ১.১০-এ শুরু হল যাত্রা। ট্রেনের ডেস্টিনেশন জব্বলপুর।
ভোরে কখন পেরিয়ে এসেছি চৌপান। গাড়ি চলেছে সিংগ্রৌলির দিকে। আবছা আলো আঁধার পেরিয়ে এসেছি অচেনা এলাকা। রাত দশটার পর খেয়ে শুয়ে পড়া। সকালে মালভূমিকে দেখে, অস্বচ্ছ কাচে বিরক্তিকর লাগে। শিশিরের জল গড়িয়ে নামে কাচ বেয়ে। হালকা জঙ্গল, তার মধ্যে মাটির পায়ে চলা রাস্তা, ছোট বড় স্টেশন, কোথাও অনেকগুলো লাইন, কোথাও কম। ডালটনগঞ্জ ছাড়িয়ে তবেই চৌপান। ঝাড়খণ্ডের পর সামান্য হয়তো বিহার। তারপরে সিংগ্রৌলিতে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ।
এইসব পথ আগে ছিল জঙ্গি অধ্যুষিত সন্ত্রাসের অঞ্চল। হামেশাই রেল ডাকাতি হতে শোনা যেত। একবার ম্যাক্লাস্কিগঞ্জ এসেছিলাম। এখানকার লালমাটির পথ হাতছানি দেয়। হাই টেনশন লাইন আর ঝাঁটি জঙ্গল দূরে দূরে। স্টেশনগুলোতে মানুষজন নেই, বসার জায়গা, টিকিট ঘর, শৌচালয় সব পরিপাটি। চড়াই উতরাই পথ। পুরোপুরি প্রকৃতির স্নেহচ্ছায়ায়। মনোরম প্রকৃতি বর্ষার পর রুক্ষতার দিকে এগচ্ছে। ছোট ছোট সব নদী পেরিয়ে চলছি। স্বল্প জল বা শুকানো নদী। কিন্তু নদীখাতের গভীরতা বেশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে এল কাটনি জংশন। খাবার কিছু উঠছে না। সেই ভোরে চা খেয়েছি। পৌনে ৯টায় প্রাতরাশ, গত রাতের উদ্বৃত্তটা। বুদ্ধি করে ভাগ্যিস রেখেছিল সঙ্গী। খিদের মাথায় ব্যাগের শুকনো খাবার বেরচ্ছে। কাটনিতে কিছু পাওয়ার আশায় নামি। একটা পেটিতে পুরিসব্জির ওপর হামলে পড়ে বুভুক্ষু যাত্রী। এমন অবস্থায় ট্রেনের বাঁশি শুনে দৌড়।
শিহোরা রোড ছেড়ে দিলে শুরু করি নামবার তোড়জোড়। আর ৪০ মিনিটের মতো লাগবে। এখানে বিস্তৃত খোলামেলা প্রকৃতি। প্রশস্ত স্টেশন, রেল লাইন, সাইডিং, ইয়ার্ড। যাত্রীবাহী গাড়ি কম। তাই হয়তো হকার কম।
৩.২০-তে জব্বলপুর স্টেশনে নামা হল। এসক্যালেটর চড়ে স্টেশনের বাইরে এসে দেখি ছোট রেলের একটা ক্যারেজ রাখা মডেল হিসেবে বাইরের চত্বরে।
জাবালির ঋষির নাম অনুসারে মধ্যপ্রদেশের এই অংশের নাম হয়েছ জব্বলপুর। জাবালি ঋষি এই স্থানে নর্মদা নদীর তীরে বসে তপস্যা করেছিলেন।
Denne historien er fra 30 March 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 30 March 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
সুধাস্মৃতি আর্ট-এর ইয়াদ
মঞ্চ আলোকিত করেন দিল্লির কথক নৃত্যশিল্পী তথা পণ্ডিত বিরজু মহারাজের কন্যা মমতা মহারাজ এবং নাতনি রাগিণী ও যশস্বিনী মহারাজ।
বাংলার মন
চিত্রলেখা চৌধুরী গান 'তবু মনে রেখ' ও কেশবরঞ্জনের 'লজ্জা' কবিতাটি আনন্দ দেয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিনী লাহা।
যুগলবন্দি
অনুষ্ঠান শেষ হয় দ্বৈত কণ্ঠে ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা' গানে। সংবর্ধনা দেওয়া হয় অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জয় সরকার, গীতিকার সঞ্জয় বণিককে
বিড়ম্বনায় দেবেন্দ্রনাথ
তথ্যঋণ: ১) আত্মজীবনী: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত) ২) দ্বারকানাথ ঠাকুর বিস্মৃত পথিকৃত: কৃষ্ণ কৃপালনী (অনুবাদ: ক্ষিতীশ রায়) ৩) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: অজিতকুমার চক্রবর্তী।
সুন্দরী ডুয়ার্স
গিয়ে চলি আট কিমি দূরে হলং গেটের দিকে। সেখান থেকে গন্তব্য নিউ আলিপুরদুয়ার জংশন। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরব। বিদায় ডুয়ার্স!
জম্মু-কাশ্মীরের নয়া সমীকরণ
প্রশ্ন উঠেছে, যারা এতকাল উপত্যকায় রক্তপাত ঘটিয়েছে, তাদের কী করে মোদি সরকার মদত দেয়?
রাতে সূর্যের আলো বিক্রি!
তাই কীভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিজ্ঞানী মহল।
পারলৌকিক শুভপরিনর পরিনয় প্রথা
তিনি তাঁর ভৌতিক দাম্পত্য জীবনকে নরকতুল্য মনে করছেন। তাঁর ভূত-বরটি বেজায় মেজাজি, কেবল খাটায়।
সার্জারি করাবেন নাকি হোমিওপ্যাথি?
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান সার্জারি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি
আইএসএলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের স্বপ্নের উত্তরণ
এই ক্লাবই তাঁর বার্ধক্যের মক্কা, মদিনা। ওই ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হলেও প্রিয় দলের লড়াই দিল জিতে নেয় তাদের।