কলকাতা থেকে রাত পৌনে ন'টায় প্লেন ছাড়ল। দুটোর সময় পৌঁছলাম দুবাই। আলো ঝকঝকে এয়ারপোর্ট তখন প্রায় খালি। আমরা স্বামী-স্ত্রী। আমাদের পাশের সিটের মেয়েটি দুবাই হয়ে লন্ডন যাচ্ছে। আমরা যাচ্ছি আলাস্কার কাছে মন্টানায়। দুবাইয়ে ছ'ঘণ্টা দাঁড়াবে প্লেন। তাই লাউঞ্জ বুক করা ছিল। দুবাই এয়ারপোর্টটা বিশাল। ভেতরে ছোট ট্রেন যাতায়াত করে। আমাদের জিপের মতো ছোট গাড়ি পৌঁছে দিল লাউঞ্জে।
দুবাই থেকে সকাল দশটায় আবার উড়ান। এবার আরও বড় প্লেন। আমার পাশে সহযাত্রীটি একজন আফ্রো-আমেরিকান মহিলা। মধ্যের সিটে একজন না আসায় একটু ছড়িয়ে বসার সুযোগ পাওয়া গেল ষোলো ঘণ্টার যাত্রায়। দীর্ঘযাত্রার পর সিয়াটেলে নামলাম সকালবেলা। ইমিগ্রেশন হল তারপর আমাদের চাপানো হল একটা ছোট্ট ট্রেনে। পৌঁছে দিল আলাস্কা এয়ারলাইনসের গেটে। বোজম্যানের প্লেন ছিল রাত আটটায়। বোজম্যানের ছোট প্লেনে দু'ঘণ্টার পথ। ওয়াশিংটনের সিয়াটেল থেকে যখন প্লেন ছাড়ল, সিয়াটেলের আকাশে চাঁদ উঠেছে। রাত বারোটায় পৌঁছলাম বোজম্যান। খাঁ-খাঁ এয়ারপোর্টে একটা বিশালাকার কাঠের ভাল্লুক দাঁড়িয়ে আছে। গ্রিজলি বিয়ার !
গ্রিজলি সাধারণ কালো ভল্লুকের চেয়ে অনেক হিংস্র। পরে বোজম্যানের বিভিন্ন হোটেলের লাউঞ্জে, রেস্তরাঁয়, মলে দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে। আমেরিকানরা পশু-পাখির খুব কদর করে। ইস্ট কোস্টে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, নিউজার্সিতে দেখেছি এরকম বড় বড় কাঠের প্যাঁচা, ঈগল। অবশেষে মধ্যরাতে মন্টানায় পৌঁছলাম। তারপর গাড়ি নিয়ে হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চললাম। এক জায়গায় রাস্তা দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একটি পথ চলে গেছে বেলগ্রেড শহরের দিকে। ওদিকেই মন্টানার রাজধানী হেলেনা। রাজধানী হলেও হেলেনা ছোট শহর। আমরা চললাম বোজম্যানের দিকে। দীর্ঘযাত্রার শেষে পেটে তখন খিদের আগুন। তর আর সয় না। বসে যাই খেতে। আহা! বড় তৃপ্তিদায়ক বাংলার রান্না – ভাত, ডাল, পোস্ত, মাছ। খেতে না খেতেই চোখ ঝাঁপিয়ে হানা দিল ঘুম। -
পরদিন যখন ঘুম থেকে উঠলাম, দেখলাম পাহাড়ের মাথায় সূর্য উঠছে। সামনেই ব্রিজার শৈলশ্রেণি। বোজম্যান শহর পাহাড় দিয়ে ঘেরা। এর দক্ষিণ দিকের পর্বতশ্রেণিকে বলা হয় গ্যালেটিন রেঞ্জ। ব্রিজার আর গ্যালেটিন আমেরিকার বিখ্যাত রকি পর্বতমালার শাখা। পাহাড়গুলো আমাদের হিমালয়ের মতো খুব উঁচু নয়।
Denne historien er fra 14 September 2024 -utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 14 September 2024 -utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।
হীরের খোঁজে
হারিয়ে যাওয়া হীরে ৷ সম্পাদনা: সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ কমলা- গীতা-বীণা প্রকাশনী ৷৷ ২৯৯ টাকা৷ • অমিত ভট্টাচার্য
যাত্রারাজ্ঞী
আসরে বাসরে রুমা দাশগুপ্ত ৷৷ শীর্ষেন্দু মুখার্জি ৷ দে'জ পাবলিশিং (১৩, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কল-৭৩) ৷ ৩৫০ টাকা। • অরুণ মুখোপাধ্যায়
অগ্নিযুগের পাঁচ বিপ্লবী
রাজনৈতিক জগৎ আজ সেলিব্রেটিদের দখলে, কিন্তু এক সময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্বজ্জনরা। সুধীরকুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’ বইতে বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত, রাসবিহারী বসু, বাঘাযতীন, প্রফুল্ল চাকী এবং সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়কদের জীবনাবলীর এক দারুণ চিত্র এই বইয়ে।
কোজাগরী
এই গল্পের মধ্যে অতীন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। বাসে, গজদন্তী মেয়েটির সাথে সিটের জন্য বিতর্ক এবং পরবর্তীতে কেটোয়ার দিকে যাওয়ার পথে সেই মেয়েটির সঙ্গে টোটোতে আবার দেখা। নানা হাসি-মজা, ব্যঙ্গ এবং ছোটোখাটো ঝগড়ায় অতীন অস্বস্তিতে পড়লেও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশে কিছুটা প্রশান্তি লাভ করে।