নরেন্দ্র মোদির জমানায় আদানি-আম্বানির বিপুল সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে। যা দেখে বেশ কিছুদিন ধরেই রাহুল গান্ধীসহ বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বর্তমান সরকার মূলত এই দুই শিল্পগোষ্ঠীর হাতে একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার তুলে দিচ্ছে। ফলে এই মোদি জমানা পরিণত হয়েছে আদানি-আম্বানিদের যুগে। যদিও অনেকের মনে হয়েছে এ দেশে রাজনীতির সঙ্গে শিল্পমহলের আঁতাঁত নতুন কিছু নয়—জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরার গান্ধীর সময়েও তো ছিল টাটা-বিড়লাদের দাপট। কিন্তু সে যুগে তাদের দাপট থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নেহরু কিংবা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বহুক্ষেত্রেই টাটা বিড়লাদের বারবার সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছিল।
স্বাধীনতার পর দিল্লির বিড়লা হাউসে গান্ধীজি আসেন ১৯৪৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকে জাতির জনক জীবনের শেষ ১৪৪টি দিন কাটিয়েছিলেন ওই বাড়িতেই। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বিড়লা পরিবারের ওই বাসভবন চত্বরে প্রার্থনা করতে গেলে নাথুরাম গডসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল মহাত্মার। ১৯২৮ সালে ১২ শয্যা বিশিষ্ট দিল্লির ওই বাড়িটি গড়েছিলেন শিল্পপতি ঘনশ্যামদাস বিড়লা। গান্ধীজির নিয়মিত যাতায়াতে এই বিড়লা হাউস যেন হয়ে উঠেছিল তাঁর নিজের বাড়ি। শুধু গান্ধীজিকে ঘিরে সেই সময় আরও অনেক রাজনৈতিক নেতার আসা যাওয়া ছিল ওই ভবনে। স্বাভাবিকভাবেই গান্ধীজির মৃত্যুর পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু চেয়েছিলেন বাপুর স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে সরকার অধিগ্রহণ করে জাতীয় সৌধ রূপে গড়ে তুলতে। কিন্তু তখন এমন প্রস্তাবের কথা শুনে তাতে বাদ সেধেছিলেন গান্ধী ভক্ত বলে পরিচিত বিড়লা গোষ্ঠীর কর্তা ঘনশ্যামদাস বিড়লা। তিনি রাজি ছিলেন না গান্ধী স্মৃতিতে বাড়িটি হস্তান্তর করতে। ফলে এ নিয়ে রীতিমতো মতবিরোধ দেখা গিয়েছিল জি ডি বিড়লার সঙ্গে নেহরুর। ওই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি বিড়লাদের। এরপর নেহরু সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যেখানে মহাত্মা নিহত হয়েছিলেন ভবনের সেই অংশটি গান্ধীজির স্মৃতিতে হস্তান্তর করা হোক। এমনকী তখন সেটাও মানতে রাজি হননি জি ডি বিড়লা।
Denne historien er fra 21 December 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 21 December 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।